চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুলিশের পৃথক অভিযানে দুই হাজার ৫৫ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।
৩ মার্চ শুক্রবার রাত থেকে ৪ মার্চ শনিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন (২৪), খাড়েরা ইউনিয়নের আবু মুসার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২) ও জয়নাল (৪০)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক দল তিনটি স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে দুই হাজার ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি মোটর সাইকেলসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৮ কেজি গাঁজাসহ সাইফুল ইসলাম জয় (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকবহনকারী একটি অটোরিক্সাও জব্দ করা হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কসবা পৌর এলাকার তালতলা ব্রীজের উপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম জয় কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ির মোঃ গোলাম মোস্তার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে কসবা তালতলা ব্রীজের উপর একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় তল্লাশী চালিয়ে ১৮ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী জয়কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রাক চাপায় হরদম আলী (৯০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হরদম আলী কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে। পুলিশ ট্রাক চালক চন্দন সরকারকে আটক করে ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুপুরে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ২০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) এবং নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন।
আজ ২২ মে বুধবার দুপুরে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বাসভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করে গত ২১ মে মঙ্গলবার কসবায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মান্দারপুর ভোট কেন্দ্র, শাহপুর ভোট কেন্দ্রসহ ২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের ( আনারস প্রতীক) বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ পিরিচ প্রতীক) সমর্থকরা আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগীতায় ব্যালেট পেপারে সীল মেরেছে।
তিনি বলেন, আমি ও মনির (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন আইন-শৃংখলা বাহিনীর এলোপাথারি মারধোরে তার ৫ শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০টি ভোট কেন্দ্রের সামনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মী সমর্থকদেরকে মারধোর করে সরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সীল মারে। এসব ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও তার কাছে আছে দাবি করে তিনি প্রহসনের এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন বলেন, উপজেলার বায়েক এলাকার তাদের একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনো তারা পাননি। তারা বলেন, প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ভয়ে তাদের সমর্থকরা এখন আতঙ্কে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ পিরিচ প্রতীক) ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।
অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭৬৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯১৯১ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৩ জুলাই শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় গুদামের মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যান।
কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহাম্মেদ জানান, শনিবার রাতে নয়নপুর বাজারের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান ও অমিত হাসান জয়ের গোডাউন থেকে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুর থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে এই বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালিয়ে ৭টি বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিদেশী বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে ৬জন আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ সবুজ মিয়া (২৬), মোঃ রাকিব (২৬), কামাল মিয়া (৪০), রিপন (২৬). বাহারম (২৭) ও ফারুক (৩২) নামে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুইয়াপানিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পানির নিচে থাকা সাতটি বস্তায় ভর্তি ১২০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলগত কারণে এসব মদ পানির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলো।