চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ ৪ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দি ব্লুমিং ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক তাজুল ইসলাম বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল, রামকানাই হাই একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আশিকুর রহমান পাঠান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রকিব।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেদের আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হয়ে ওঠতে হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা করলে মনের পরিতৃপ্তির পাশাপাশি সুস্থ সবল থাকা সম্ভব। আজ যারা বিজয়ী হবে তারা আগামীতে আরো ভালো করার চেষ্টা করবে, আর যারা বিজিত হবে তারা বিজয়ী হরার চেষ্টা করবে।
উল্লেখ্য, ৬৫টি ইভেন্টে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মো: ওয়ালিউল্লাহ নিবিড় (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিবিড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল এলাকার আমান মিয়ার ছেলে। সে শহরের ইউনাইটেড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো।
রেলওয়ে পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের স্বজনেরা জানান, রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের দরজায় বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসছিলেন নিবিড়। ট্রেনটি স্টেশনের ফ্লাটর্ফমে প্রবেশ করার সময় ফ্ল্যাটফর্মের দেয়ালে ধাক্কা লেগে ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে যায় সে। পরে স্টেশনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবারের অনআপত্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়র ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৬ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সকাল সোয়া ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ. এস.এম. শফিকুল্লাহ, প্রফেসর খালেদ খান, আহসান শাহরিয়ার তোফা, মোঃ সাইদুল ইসলাম খান, শায়েলা ইয়াসমিন, মোঃ মোসলেম উদ্দিন, শামসুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত সরকারি কলেজ সমূহে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে ১২ হাজার ৪৪৪ টি পদ সৃজনের প্রস্তাব আটকে আছে ৯ বছর ধরে।
উপরন্ত আমরা লিখিতভাবে আপত্তি জানাবার পরেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভুত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি চুড়ান্ত করা হয়েছে। এটি সুষ্পষ্টই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের উপর আঘাত। আমরা এ সকল কর্মকান্ডকে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল মনে করি। শিক্ষা ক্যাডারকে অন্ধকারে রেখে এই বিধি করার এখতিয়ার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেই। আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিরোধী এসকল কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে এই বিধি বাতিলের দাবি করি।
আমাদের দাবি না মানলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২ অক্টোবর সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে। এতে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১০, ১১, ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রশাসনসহ অন্যান্য সেক্টরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস রয়েছে। কিন্তু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনের জন্য শক্তিশালী শিক্ষা প্রশাসন গড়ে উঠেনি। দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত জেলা ও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ, এমআরপি তে সিগারেট বিড়ি বিক্রি নিশ্চিত করা এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল ৩১ মে বুধবার সকালে তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক ও ভিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এসএম শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম. বাবুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী লোকমান হোসেন ও শিপনুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রাহিম, এসএম মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে আরো বলেন, তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে উক্ত ভূমিতে অধিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য ফলাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রামকানাই হাই একাডেমির এসএসসি-৯৭ ব্যাচের বন্ধুদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল ও আইনজীবী ইয়াছিন মিয়াকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত একই ব্যাচের বন্ধুদেরও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
গতকাল ৭ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় শহরের সিও অফিস সংলগ্ন গ্রীণ ফুড কর্নারে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রামকানাই হাই একাডেমির এসএসসি-৯৭ ব্যাচের এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী শিশু ট্রাইবুনাল-২) হিসেবে যুক্ত হওয়া এবং সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এ সম্মাননা প্রদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত এসএসসি ৯৭ ব্যাচের বন্ধু কিশোরগঞ্জ জেলার তানভীর আহমদ (পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), কুড়িগ্রাম জেলার মো. রেজাউল করিম (উপ পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), কুমিল্লা জেলার মো. মাহবুবুল আলম (উপ পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), একই জেলার মো. আবদুল হালিম (উপ পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানা), ফেনী জেলার মো. নূরুল ইসলাম মজুমদার (উপ-পুলিশ পরিদর্শক, ডিএসবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও টাঙ্গাইল জেলার এনএস সোহেল (অধ্যক্ষ, শাহীন স্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া)কে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজন সফল করতে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন সাঈদ উদ্দিন, মোফাজ্জল হক, সোহেল আহাদ, এনামুল হক, আলমগীর হোসেন ও এমরান হোসেন। অন্যান্য বন্ধুদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, আল সাঈদ রুবেল, উজ্জ্বল, আল আমিন, ফায়জুল, সজল, অলক, আশিক, শহিদুল, বিশ্ব, কবির প্রমুখ।