ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একটানা ২২ বছরের সফল পৌর চেয়ারম্যান মৌড়াইল এর কৃতিসন্তান, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাবেক এন এম এ, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের নেতা আজিজুর রহমান মোল্লা ওরফে জারু মোল্লার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মার্চ পালিত হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল এর মাধ্যমে উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম জারু মোল্লা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম জারু মোল্লার সুযোগ্য পুত্র সাবেক সফল পৌর মেয়র ও জেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জেলাবাসীর কাছে উনার পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। “ভালো মানুষ ভালো দেশ-স্বর্গভূমি বাংলাদেশ”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল আজ ২১ মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় ফারুকী পার্কে (অবকাশ) বিশেষ এক মেডিটেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
২০২১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো এ দিবস পালন করে কোয়ান্টাম। এর ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও তৃতীয়বারের মত এই দিবসটি উদ্যাপন করা হল।
এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হল ধ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বমহলে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সেইসাথে নতুন প্রজন্মের মাঝে সমৃদ্ধ ও সমমর্মী বাংলাদেশের একটি স্বপ্ন তুলে ধরা।
উক্ত মেডিটেশন প্রোগ্রামে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, এডভোকেট, গৃহিণীসহ নানান শ্রেণি-পেশার সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। তারা বলছেন নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করে শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ আছেন।
ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল কার্যক্রম আরো গতিশীল করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার সকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সকাল ১১টায় স্থানীয় ইউনাইটেড কলেজ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ এফ জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ডাঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকনসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মোস্তাকের অনুসারীরা সব সময় ঘাপটি মেরে থাকে। ১৯৭১ সালেও এই মোস্তাক ছিলো কিন্তু সে সময় কেউ তাকে চিনতে পারেনি। সেই মোস্তাক ১৯৭৫ সালে তার প্রকৃত চরিত্রের বহিঃ প্রকাশ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। বাংলার জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তারা মানুষ হত্যা করেছে আর আমরা নিজেদের রক্ত দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রক্তের ঋণ শোধ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য শোকাবহ দিন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ ছাত্রলীগ নেতাসহ ১২জনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০১১ সালের এইদিন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগ নেতা বর্তমানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র সফর সঙ্গী হয়ে টুঙ্গীপাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ সন্তান।
এরা হচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী আলম শান্ত (৩১), সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস আরিফুল ইসলাম বাবু (৩০), জেলা ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন লিয়েন (২৮), মোর্শেদ আলম (২৯), শাহজাহান রহমতুল্লাহ রুমেল (২৮), অ্যাডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদ (২৯), শেখ রায়হান উদ্দিন (২৮), হাফেজ আব্দুল্লাহ মাসুদ তানভীর (২৯), মোঃ ইমরানুর রেজা ইমরান (২৮), নূরুল আসিফ চৌধুরী (২৮) ও মিজানুর রহমান (৩৫)। পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোঃ আলমগীর (২৮)।
পরবর্তীতে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চের প্রধান ফটকের সামনে তাদের স্মরণে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় চলতি আমন মৌসুমে জমে উঠেছে ধানের চারার হাট। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত থাকে হাটটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ জেলা থেকে কৃষকরা আসেন এই হাটে ধানের চারা কিনতে। প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় ৮ লাখ টাকার চারা বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুরের এই ধানের চারার হাটটি বেশ পুরাতন। আমন মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে এই হাটটি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতারা বাজারে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দসই ধানের চারা কিনছেন। বিক্রেতারাও তাদের চারার প্রকারভেদে দাম চাচ্ছেন। এই হাটে ধানের চারা আটি ভেদে বিক্রি করা হয়। ছোট চারার আটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করা হয়।
এবার এই হাটে বিআর-২২, খাসা, নাজির, ও বিনা ধান-৭ এর চারা বেশী বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদে পছন্দসই চারা কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যান।
সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোঃ সফর মিয়া বলেন, তিনি এই বাজারে ধানের চারা কিনতে এসেছেন। প্রতি বছরই তিনি এই বাজার থেকে তার চাহিদা অনুযায়ী ধানের চারা কিনেন।
তিনি বলেন, বিআর-২২ জাতের ২০ আটি চারা ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে ১ কানি (৩০শতাংশ) জমি রোপন করতে পারব। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর চারার দাম একটু বেশী। তিনি বলেন, এই বাজারের চারার মান অনেক ভালো। চারা ভালো হলে ধানের ফলনও ভালো হয়।
ধানের চারা কিনতে আসা জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের স্বপন মিয়া বলেন, আমন মৌসুমে এই অস্থায়ী ধানের চারার বাজারটি বেশ জমজমাট হয়। আমি গত কয়েক বছর ধরে আমার ৬ কানি জমিতে রোপন করার জন্য এই বাজার থেকেই চারা কিনি। বিআর-২২ জাতের ২৮ আটি চারা ২ হাহার ৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে দেড় কানি জমি রোপন করতে পারবো।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা থেকে আসা কৃষক রমিজ মিয়া বলেন, তিনি দুই কানি জমির জন্য চারা কিনবেন। চারা বিক্রেতারা প্রকারভেদে চারার দাম চাচ্ছেন। চারার দাম আমাদের নাগালেই মধ্যেই আছে। প্রকার ভেদে ছোট চারা প্রতি আটি ৮০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি ২০০-২৫০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এই চারার হাটে কোন দালাল নেই। মহাসড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যানবাহনও সহজে পাওয়া যায়।
হাটে চারা বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ২ কানি জমিতে ধানের বীজতলা করেছি। চারা ভালো দামেই বিক্রি করছি। ছোট চারা আটি ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই হাটে বিআর-২২, খাসা, বিনা ধান-৭সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশের জেলার কৃষকরা এই বাজারে আসেন তাদের পছন্দসই চারা কিনতে।
বাজারে চারা বিক্রি করতে আসা সুহিলপুর ইউনিয়নের মিন্টুর রঞ্জন দাস বলেন, আমন মৌসুমে অস্থায়ী এই ধানের চারার হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। এই হাটে যে কেউ চারা বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন, দেড় কানি জমিতে বীজতলা করেছি। দেড় কানি জমি বীজতলা করতে তার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জমিতেই পাইকারের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় চারা বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, প্রতিদিনই নন্দনপুরের এই অস্থায়ী হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়। এই বাজারে মান সম্মত চারা পাওয়া যাওয়ায় আশপাশ জেলা থেকেই কৃষকরা আসেন চারা কিনতে। তিনি বলেন, উন্নত বীজতলা তৈরীর জন্য আমরা কয়েকজন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এই বাজারে প্রতিদিন ৮/ ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়। এবছর এই হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে আশা করি।