চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যেগে আজ ৬ মার্চ পৌর মুক্তমঞ্চে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে পার্টির ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডঃ সৈয়দ মোঃ জামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড আছমা খানম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আহমেদ হোসেন, শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি এম এ রাকিব, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, উদীচীর জেলা সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস রহমান,জেলা টি ইউসির সদস্য সচিব আল মামুন, রিক্সা- ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেদ প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্বের ৫২ বছর পর মানুষ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। দুর্নীতি লুটপাট পাহাড় সমান। মানুষের মধ্যে প্রতিদিন বৈষম্য বাড়ছে। দেশে আজ দুই ধরনের অর্থনীতি চলছে, একটি বড় লোকের অর্থনীতি আর একটি গরীবের অর্থনীতি, বড় লোকের জন্য এক ধরনের শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্যনীতি আর গরীব মানুষের জন্য আর এক ধরনের শিক্ষা চিকিৎসা ও খাদ্য নীতি। আজ ও মানুষ ভাতের জন্য সংগ্রাম করতে হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দুই বড় দলই আজ সাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদকে তেষন করছে। তাই আজকে মুক্তিযুদ্বের চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে এবং বৈষম্য-শৌষন ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে জোরদার করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি।
বিচার বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ কর্মকতাও বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন।
মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলার চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাভোগী জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও নিশ্চিত করার জন্য ছোটোখাটো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকর ভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরত্বআরোপ করছে।
সভায় গ্রাম আদালতের বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলম গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. তারিখে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অসুবিধার কারণে সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একটি আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ আগস্ট বিকালে সংগঠনের জরুরী সভা আমিন কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্যরে সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আরজু, সহ-সভাপতি মোঃ এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোঃ সাবেরিন ভূইয়া লিটন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবু নাসের রতন, সদস্য আব্দুল মালেক, আজকের হালচাল প্রতিনিধি মোঃ আশরাফুল হক প্রমুখ।
সভায় উপস্থিতি সকলে সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগ পত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
সকলের মতামতের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করে এবং সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্যকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় সংগঠনের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার অভিযোগ করেন, রাতে রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক তোলা ছিল। তাই রিকশা বিনা বাধায় ক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর স্বামী নিহত হন ও এক মেয়ে আহত হয়। লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক নামানো থাকলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, কমিটির সদস্যরা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে গেটম্যান সুমন মিয়া জানিয়েছেন, লেবেল ক্রসিংয়ে প্রতিরোধক নামানো ছিল। ওই যাত্রীরা নিজেরা প্রতিরোধক উঠিয়ে লেবেল ক্রসিং এলাকা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা যান।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, পুনিয়াউট লেবেল ক্রসিং এলাকায় গেটম্যান গেট ফেলেননি। আমাদের পরিদর্শক সেখানে গিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করব। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বিভাগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। এ ছাড়া নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ এলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক উন্নয়নে আলাদা দলীয় তহবিল বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে যাতে দক্ষ নারী নেতৃবৃন্দ দলীয় মনোনয়ন লাভ করতে পারে এবং নির্বাচনে দলীয় প্রচারনায় দলীয় তহবিল এর জোগান নিশ্চিত করারও দাবি উত্থাপন করেন।
আজ ১১ মার্চ সোমবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই শিরোনামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির নারী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কে গুরুত্বপূর্ন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতির মাঠে একজন নারী নেতা অর্থনৈতিকভাবে কি কি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয় তার বাস্তব চিত্র সকলের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। দেখা যায় দল হতে নারীদের কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না , আবার যারা দক্ষ ও যোগ্য স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয় না, এমনকি অস্বচ্ছল কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দলের মূল কমিটিতেও তাদের স্থান দেয়া হয় না। ফলে সবক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে যাতে দলের যোগ্যনারী নেতৃত্ব যাতে ঝড়ে না পরে বা প্রতাপশালীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকটে না পারে , সেজন্য তাদের সুরক্ষা দেওয়া নিজ নিজ দলের দায়িত্ব। পাশাপাশি গনমাধ্যম ও সুশীল সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে এই সকল যোগ্য নারী নেতৃবৃন্দের পক্ষে কথা বলা এবং সমাজে ও দলের কাছে তার ইতিবাচক ইমেজকে প্রচার করা। এ লক্ষ্যে যদিও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপকমিটি নিজ দলে অ্যাডভোকেসি করছে, পাশাপাশি এক দলের নারী নেতৃবৃন্দ অন্য দলের যোগ্যতাসম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ কে সহায়তা করছে পারে সে জন্য মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপ-কমিটি সক্রিয় রয়েছে।
ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা করেছে।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, এডভোকেট ইসমত আরা, আবু কাউছার খান, মো, মনির হোসেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান পাঠান, মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, নারীনেত্রী এডভোকেট জেসমিন, আনোয়ারা বেগম, হালিমা মোর্শেদ, মুক্তি খান, রুনাক সুলতানা পারভীন, খালেদা মুন্নী, আফরিন ফাতিহা জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়।