চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বিধিনিষেধ অমান্য করে কৃষিজমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ফসলি জমির এসব মাটি দিচ্ছেন সাতজনের ওই সিন্ডিকেট। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িঘর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবনির্মিত সড়ক দিয়ে সারিবদ্ধভাবে জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর। নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর চলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান চলাচল কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের পাশের কৃষি জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ট্রাক্টরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশপাশের অন্তত ছয়টি ইট ভাটায়। প্রতিটি জমি থেকে ৩ থেকে পাঁচ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে শত শত একর কৃষি জমি থেকে মাটি পুড়ানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালাম, সুমন, জাহান, মক্কা, প্রভাতি ও তিতাস নামক ইটভাটায় হাসান, আনিস, শাহ আলম, হাকিম, মোবারক, সৈয়দ ও মজিদ মাটি সরবরাহ করছেন।
জমিতে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় দুজন ট্রাক্টরচালক জানান, আমরা মাটি নিচ্ছি প্রতিদিন ৮০০ টাকা বেতনে। মাটি জমির মালিক থেকে কিনে মক্কা ও তিতাস নামের দুটি ইটভাটায় বিক্রি করেছেন মজিদ ও শাহ আলম।
আলফাজ নামের এক ট্রাক্টর চালক জানান, আমরা শুধু মাটি পরিবহন করছি। কৃষিজমি থেকে মাটি কিনেছেন হাসান।
মজিদ নামে ইটভাটায় মাটি সরবরাহকারী বলেন, মাটিতো অনেকে কাটছেন। তাতে কোনো সমস্যা নাই। আমরা মাটি কিনেছি জমির মালিক থেকে।
হাসান নামের আরেক মাটি সরবরাহকারী বলেন, আমিও কিছু কেটেছি। অনেকেই তো ইটভাটায় মাটি দিচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা ইটভাটায় মাটি দিতে একজনকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি। সে মাটি দিচ্ছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অ্যাসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বলেন, মাটি কেটে টপ সয়েল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত খারাপ কাজ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৭-৮টি বেকু জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন করা উচিৎ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রাম থেকে জামায়াত ইসলামী ও শিবিরের ৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৩১ মে শুক্রবার সকাল ১১টায় ওই এলাকার আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: নবীনগর উপজেলার আব্দুর রশিদ (৬৫), বাদল মিয়া (৪৮), শাহিন ইসলাম (২৪), সদর উপজেলার ডা. আবু হানিফ (৬৫), সাহেদ আলম (২১), বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আলম (৫৩) ও আশুগঞ্জ উপজেলার মো. মামুন মিয়া (৩৭)।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, এলাকায় নাশকতা সৃষ্টি ও আসন্ন নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য উপজেলার নারুই গ্রামের রশিদ মিয়ার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা জামায়াত-শিবিরের নেতারা একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়েত ইসলামী ও শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে কয়েকজন পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে বৈঠকর ব্যানার, নির্বাচন বিরোধী লিফলেট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কে এম মামুন অর রশীদ আজ ২৪ আগস্ট শনিবার নবীনগর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় তিনি দেশে বন্যা কবলিত মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে সকলকে তাদের পাশে দাঁড়াবার আহবান জানান।
আলোচনা কালে তিনি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই ফ্যাসিবাদি দলটি রাষ্টের প্রতিটি স্তম্ভ ও প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতির আতুড়ঘর বানিয়েছে। তাদের দুঃশাসনে পঙ্গু হওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সময় প্রয়োজন।
তিনি অন্তর্বর্তীকালিন সরকার রাষ্ট্রের সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটা যৌক্তিক সময়ের নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
তিনি বলেন, আমি আমার জন্মভূমি নবীনগরে তৃণমুল রাজনীতি থেকে উঠে এসে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসেছি। আমি নবীনগরবাসির পাশে থাকতে চাই। আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিএনপি বড় দল হিসাবে গ্রুপিং থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, গ্রুপিং না থাকলে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হয় না ঠিক কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ। দল যাকেই মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমরা কাজ করব। মতবিনিময়কালে তিনি প্রেসক্লাবের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে দাতা সদস্য হওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সৌরাফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সাদেকুল হক সাদির, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জুরু মিয়া, কৃষক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল, পৌর কৃষক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার খান, বিএনপি নেতা রাজন দে, কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট ডেস্ক :
নবীনগর পুকুরে পানিতে ডুবে শিবা আক্তার নামে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার সকালে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সে ওই গ্রামের শিপন মিয়ার মেয়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শিবা সকালে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলা করার সময় পানিতে পড়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধ্যান পাওয়া যায় নি। পরে পুকুর থেকে অচেতন অকস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় চাকার সঙ্গে গলায় থাকা উড়নার প্যাচ লেগে সাইমা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সাইমা উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের শেমন্তঘর গ্রামের শহিদুল আলমের মেয়ে। সে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শিবপুর আফতাব উদ্দিন খাঁ মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাইমা ও তার সহপাঠি চাচাতো বোন মারিয়া টিফিন পিরিয়ডে ঝালমুড়ি কিনে স্কুল থেকে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অজান্তেই তার গলায় থাকা উড়না ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে প্যাচ লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইজিবাইক চালক আশিক দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার এসআই আবুল কাসেম জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে ঝুমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
২০ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঝুমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবু লাল মিয়ার মেয়ে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ বছর আগে ঝুমা আক্তারকে নবীনগরের শিবপুর গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী ইয়াকুব মিয়া কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন।
বিয়ের পর থেকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় তারা থাকেন। তাদের সংসারে জাকারিয়া নামে একটি ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে একাধিকবার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট জাঁ আফরোজার হাতে মার খেতে হয়েছে। দু’দিন আগেও ঝুমাকে মারধর করেছে তারা৷ এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে সোমবার রাতে জুমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।
ঝুমার বাবা আবু লাল মিয়ার অভিযোগ, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছোট জাঁ ঝুমাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জুমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যার পর কীটনাশক খাওয়ানো হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে দুপুরে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।