চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্টে ঋণ দিয়ে এখন বেকায়দায় পড়েছে। সরকারের সিন্দুকে এখন ডলার সংকট। ডলার নিয়ে আইএমএফ ও সরকারের তথ্যের মিল নেই। দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো হতে যাচ্ছে। তাই সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন টাকা ছাপাচ্ছে।’
আজ ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। আওয়ামী লীগসহ অন্য কয়েকটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। মুখে মুখে কেউ কেউ গণতন্ত্রের মানস কন্যা, মানসপুত্র বললেও পৃথিবীর কোনো দেশে এখন আর বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের দেশ বলে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন সত্য কথাও বলতে পারি না। দেশদ্রোহী মামলা হবে, ফাঁসিতে ঝুলাবে। মানুষ এখন দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। সরকারের মদদে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। দেশকে দেউলিয়া করে ফেলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের মূল্য কাল, তাও ঠিক থাকে না। আমরা দাবি তুলেছিলাম দরিদ্র মানুষকে রেশন কার্ড দিতে। কিন্তু সরকার তা করেনি।’
ডলারের প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ছে, টাকার দাম কমে যাচ্ছে। তাই জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। এখানে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগ, দুদক, মানবাধিকার কমিশন সব সরকারের নিয়ন্ত্রণে।’
আগামী নিবাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সরকারকে একটি ফর্মুলা দেব, কিন্তু তা হয়তো তারা (সরকার) গ্রহণ করবে না, কারণ সরকার এখন গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে।’
দলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সল চিশতী, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল কবির মোহন, হুমায়ুন কবির মুন্সী, আলমগীর কবির মজুমদার, অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, আবুল কাশেম, জাপা নেতা নাজমুল হক সেলিম, জোসনা বেগম, সোহেল রানা, জোনাকী মুন্সী, জসিম উদ্দিন মাস্টার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, হুমাযূন কবির মুন্সী সিনিয়র সহসভাপতি ও ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে দলের দক্ষিণ জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ আর ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
এদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আগামীকাল থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রবিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট চত্বরে শান্তি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, এহসান উল্লাহ মাসুদ, সালাহউদ্দিন সরকার, রাকিব আহমেদ সোহেল, রিটন রায়, আমজাদ হোসেন রনি, জসিম উদ্দিন রানা, আকবর হোসেন লিটন, আলী আজম প্রমুখ।
শান্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামাত দেশব্যাপী সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে।
যারা এদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে রাজপথেই কঠোরভাবে প্রতিহত করবে যুবলীগ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২৩টি শর্তে সমাবেশের জন্য বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ অনুমতি দেওয়া হয়।
ডিএমপির কমিশনারের পক্ষে বিশেষ সহকারী সৈয়দ মামুন মোস্তফা সই করা এক লিখিত স্মারকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির শর্তে উল্লেখ করা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১২ জুলাই দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে (পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থানে) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বার্তা দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কার কাছে ক্ষমতা দেবে? আপনার দণ্ডিত খুনি যুবরাজের কাছে? আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়ে গেলাম, আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আরো বার্তা দিচ্ছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।’
‘খেলা হবে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর কবরস্থানে শুয়ে আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম উৎসাহিত। কেন উৎসাহিত? আমি বলি, পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে!’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা সাহেব, পশ্চিমারা নিজেদের ঘর সামলাতে সামলাতেই ব্যস্ত। আপনাদের সামলাবে কখন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে। এই খেলায় জিততে হবে। তারা নাকি রাস্তায় নামবে। দাঁড়াতেই দেব না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন ‘বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানের অধীনে বাংলাদেশ চলে। বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে বিএনপি-জাতীয় পার্টি স্বৈরশাসনের সময়ে অনেক ফুটবল খেলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ফুটবল খেলা বন্ধ করেছে। এখন বাংলাদেশে সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হবে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মীসভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় নির্বাচনের আগে তিন মাসের জন্য কেয়ারটেকার সরকার হতো। ওই কেয়ারটেকার সরকারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হলে হাইকোর্ট রায় দেয় কেয়ারটেকার সরকারের কোন বৈধতা নাই, এটা বৈআইনি। এই মামলাটি আপিল বিভাগে গেলে আপিল বিভাগও কেয়ারটেকারকে অবৈধ বলে রায় দেয়। পরে সংসদে ১৫তম সংশোধনী পাশ হয়েছে। সেখানে কেয়ারটেকার সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল তা বাতিল করা হয় এবং ‘৭২-এ সংবিধান যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপহার দিয়েছিলেন সে মোতাবেক নির্বাচন এবং বাংলাদেশ চলবে এটাই সিদ্ধান্ত হয়। এখন সেই মোতাবেকই বাংলাদেশ চলছে। আগামী নির্বাচন সেই মোতাবেক হবে। কোন নির্দলীয় সরকার, কোন কেয়ারটেকার সরকার থাকবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন করবে কমিশন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালানোর দায়িত্ব ন্যাস্ত থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেভাবেই গত ৩ বার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এবারও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ।
দেশে আইনের শাসন নেই বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারসহ হত্যা করা। এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে পারবে না বলে আইন পাশ করেছিল খন্দকার মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান। সেটা আইনের শাসন মনে করে বিএনপি। আমরা মনেকরি আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমাদের সময়ে আইনে যা আছে জনগণকে তা পালন করতে হয়। আমরা মনেকরি সেটাই আইনের শাসন। এখন দেশে আইনের শাসন আছে। হত্যার বিচার হয় না এমন কথা কেউ এখন বলতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করতে পারে নাই। তারা মুখে আবার আইনের শাসনের কথা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেলিম ভূইয়া, মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।