চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা ও দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপনের পরিচালনায় শোক সভায় উপস্হিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ রন্জন নাগ, প্রগতিশীল জোটের আহব্বায়ক কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রন্জন সরকার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ রায় প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, কোষাধক্ষ্য এনায়েত খান ও প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আহাদ।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।
পরে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করেন মাওঃ ইসরাক হোসাইন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্কাউটস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৬০৯তম স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্সের এবং সদর উপজেলা স্কাউটের ৩৮০টি ইউনিটের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির ৪ হাজার বৃক্ষরোপন কর্মসূচি আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ স্কাউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শাহগীর আলম পৌর এলাকার ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত স্কাউটিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কোর্সের এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে ও শিক্ষিকা শারমীন সুলতানার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, বাংলাদেশ স্কাউট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কমিশনার ও প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, জেলা স্কাউটের সম্পাদক অধ্যক্ষ নিয়াজ মোহাম্মদ কাজল, ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শামীম উদ্দিন প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাউটিং সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে হবে। স্কাউট যদি দাঙ্গা প্রতিরোধ বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে তাহলে লজ্জায় হলেও তারা দাঙ্গা করবে না। কর্মপরিকল্পনা করে স্কাউটের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। মানুষকে সঠিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে, মানুষ পরিবর্তন হবে। তিনি আরো জানান, তিনি বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ৮জন মারা গেছেন। তালগাছ বজ্রপাত প্রতিরোধ করে। মানুষ তালগাছ কেটে ফেলেছে বলেই এর প্রতিদান মানুষকে প্রাণ দিয়ে দিতে হচ্ছে। এর আগে তিনি বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষ রোপন করে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপমহাদেশীয় রাগ সংগীতে প্রবাদ-প্রতিম সংগীত সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সুরসম্রাটের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংগীত পিপাসুদের মধ্যে উচ্চাঙ্গ সংগীতের মহাগুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাম জানেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি অজপাড়াগা শিবপুরে জন্ম নিয়ে কিভাবে একটি মানুষ স্বীয় সাধনা বলে রাগ সঙ্গীতের উচ্চ শিখরে কিভাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারেন – তা এক মহা বিস্ময়ের বিষয়। সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ, লক্ষ্যে পৌঁছুবার কঠোর সাধনা, অখণ্ড অধ্যবসায়ই তাঁকে সংগীতের উচ্চাসনে নিয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সংগীতে অনুশীলনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র কঠিন সাধনার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পরিবারের বিরাট অবদান রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ তহবিল গড়তে আমেরিকার মেডিসিন স্কয়ারে জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে যে কনসার্ট ‘ফর বাংলাদেশ’- অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে এ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর পুত্র ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ ও মেয়ে জামাতা রবি শংকর সরোদ ও সেতার পরিবেশন করে হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাকে মাতিয়ে রেখেছিলেন, – আজকে যা ইতিহাস।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। প্রধান আলোচক ছিলেন কবি জয়দুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতাঙ্গনের অধ্যক্ষ ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিচালনা করেন সংগীত প্রশিক্ষক রুনাক সুলতানা পারভীন, সংগীত প্রশিক্ষক মনি সাহা। তবলা লহরা পরিচালনা করেন তবলা প্রশিক্ষক আবিদুল হোসেন বাবলু, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক জিয়া আমিন। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন বিটিভির সংগীত পরিচালক ও সুরকার আলী মোসাদ্দেক মাসুদ (ম্যান্ডোলিন), ওস্তাদ সামছুদ্দিন খান (বেহালা), দিলীপ বণিক (তবলা), কিরণ রায় (তবলা), খোকন সেন (তবলা)। অনুষ্ঠান সহযোগী ছিলেন সাজন সরকার ও বকুল ঋষি। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও উপস্থাপনা করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম। সাংস্কৃতিক পর্বের বিভিন্ন শাখায় অংশগ্রহণ করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। বৃষ্টি-বিঘ্নিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ ও অভিভাবক মন্ডলী মিলিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক দর্শক শ্রোতা এই যত্নশীল ও ছিমছাম অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অতিথিবর্গ ও সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঐদিন সকালবেলা আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয?। দোয?া পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি কালীবাড়ি মোড় প্রদক্ষিণ শেষে কালীবাড়ি মোড়ের মোল্লা প্লাজার সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম গোলাপের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও আনিছুর মঞ্জু, সদর উপজেলা যুবদরেল আহবায়ক জিয়াউল হক প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশ জেলা কারাগারের ফটক থেকে বারবার মিথ্যা মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমকে গ্রেপ্তার করে। বক্তারা অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানান।
স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাবেকুন নাহার সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ভুইয়ার ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
নিহত সনির ফুপাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম ইমন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা তিনমাস ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। একমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে। একটি থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান।’
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা স্থানীয় বাজারের বড় মসজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মামা মেয়েকে হারানোর পর ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গনের’ দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন। সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন থেকে ৮ জুন ‘সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই কর্মসূচিতে তিনি প্রতিবছর উপস্থিত হয়ে তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে আসছিলেন। মামা মারা গেছেন কিন্তু আফসোস, দীর্ঘ ২১ বছরেও উনি তার সন্তান সনি হত্যার বিচার কার্যকর হতে দেখে যেতে পারেননি।’
২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপ। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলের সামনে সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সাবেকুন নাহার সনি কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) লেভেল ২, টার্ম ২ এর ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়।
২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদন্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। পলাতক রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরু। শুধু জেলে রয়েছেন টগর।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইলে ব্যস্ত ৩ বন্ধু। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত একজন। নিহত তরুণের নাম রিমঝিম (২০)। এ সময় অন্য আরো দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
রিমঝিম শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন : সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল চাপছিলেন। তারা গভীর মনোযোগে মোবাইল ব্যবহার করায় দ্রুতগামী ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এসময় তিন তরুণই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রিমঝিম মারা যায়। বাকী দুই তরুণের পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।