চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ১২ মার্চ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
সভায় মাহে রমজান উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিং, মাদক বিরোধী টাস্কফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন ও আজমপুর স্টেশনে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার, শহরের যানজট নিরসন, রমজান মাস উপলক্ষে শহরের কয়েকটি রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা, শহরের পুরাতন কোর্ট রোড, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ও ফরিদুল হুদা রোডের সান্ধ্যকালীন মাছ বাজার ও নিউ মার্কেটের পেছনের কসাইয়ের দোকানগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় রমজান মাসে টিসিবি ও ওএমএসের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সভায় শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা মার্চ মাসের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ছাড়া সকল ধরনের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, রমজান মাসে কোন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি ব্যাংকে বড় অংকের টাকা লেনদেন করেন এবং ওই ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি পুলিশের সহায়তা চান তাহলে পুলিশী নিরাপত্তার মাধ্যমে তারা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে জনপ্রতিনিধিদেরকেও কাজ করতে হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানগণ, ৯ উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে রয়েছে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে কাজ করতে হবে। পুলিশ বিভাগসহ সকল এজেন্সির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আজ ১১ জুন মঙ্গলবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সকলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হলে আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, ন্যায়ের শাসন ছাড়া একটা দেশ অগ্রসর হতে পারে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ন্যায়ের শাসনের বিকল্প নেই।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (সিআইডির) আবুল খায়ের, পুলিশ সুপার (পিবিআই) শচীন চাক্মা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম, জজ কোর্ট পিপি এডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম কামরুজ্জামান মামুন, জেল সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরএমও ডাঃ মোঃ শরীফুল হক, কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম।
এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্যসহ জেলার প্রতি থানার অফিসার ইনচার্জ ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত “সৌধ হিরন্ময়” চত্বরে পুষ্পস্তক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকালে সৌধ হিরন্ময়ে পুষ্পস্তক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পুষ্পস্তক অর্পন করেন নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, জাতিকে মেধা শুন্য করার নীল নকসা বাস্তবায়নের জন্যে বিজয়ের আগ মুহুর্তে সারা দেশে বুদ্ধিজীবীদেরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ইতিহাসের বর্বর হত্যাকান্ড চালানো হয়। আমি আজকের দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় শহরের অন্নদা স্কুলের বর্ডিং মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস.এম শান্তনু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপসহ ১০৮টি ইভেন্টে অংশ নেয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং, লক্ষ্য নির্ধারণ, যোগাযোগ ও হ্যাপিনেস নিয়ে আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালা আজ ২ আগস্ট বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
হুসাইন আলি রুবেল কোচিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ ও স্নাতকের শিক্ষার্থীরা এই আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালায় অংশ নেয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এস.এম শফিকুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম। কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রশিক্ষক, সাক্সেস মাইন্ডসেট কোচ ও সুডেন্ট কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসাইন আলী রুবেল। সংগঠনের পক্ষে স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও মোটিভেশনাল স্পিকার সাবিহা বেগম কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় ছাত্রীরা কিভাবে তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়বে, তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিভাবে নির্ধারণ করবে, কিভাবে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং কিভাবে নিজের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ রেখে একটি সুস্থ এবং সুন্দর জীবন যাপন করা যায় এসবের উপর আলোচনা হয়।
কর্মশালায় মোহাম্মদ হুসাইন আলী বলেন, আমরা নানা কারণে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে থাকি। দুঃখে আমাদের মন ভারী হয়ে ওঠে। ভালো থাকার জন্য দুঃখকে সুখে রূপান্তর করা জরুরি। তাই সব কিছুর মধ্যে হ্যাপিনেস খুঁজতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারলে জীবনে উন্নতি করা যায় না।
মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসা, মাওয়া আক্তার বলেন, এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। কারণ এটা তাদের আত্ম উনয়নে, ক্যারিয়ার গঠনে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসাইন আলি রুবেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘ এক বছর ধরে এই ধরণের কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছেন।
দুলাল মিয়া :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
এছাড়া, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত কলম) প্রতীক ২৭২৮, আব্দুল করীম (মোটর সাইকেল) প্রতীক ২৮২, মোহাম্মদ লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) ১৯৬ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রবিউল আলম (চশমা) প্রতীক ৩৬ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম) প্রতীক পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৩৩ ভোট।
এছাড়া, শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতীক ১৯ হাজার ৮১৭, মো: আনিছ খাঁন (টিউবওয়েল) ১৫ হাজার ২১৬, মোঃ আজহারুল ইসলাম (তালা) ৭হাজার ৫৯০, মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই) ৬ হাজার ৬৮২, তফাজ্জল শিকদার (উড়োজাহাজ) ৫ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল) প্রতীক ৩৯,১৩৪ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতীক পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৬ ভোট।
এছাড়া, উম্মে হানি সেতু (কলস) প্রতীক ২৭ হাজার ৯২৬ এবং নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) প্রতীক পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৫৯ ভোট।