রমজানে অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ

জাতীয়, 13 March 2023, 1008 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত অফিসের সময় সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এবারের রোজায় অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

banner

এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে।

সোমবার সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য রমজান মাসের অফিসের এ সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সময়-সূচি নির্ধারণ করা হয়।

Leave a Reply

গ্লোবাল সুপার লিগ : চ্যাম্পিয়ন রংপুর…

অনলাইন ডেস্ক : টানা দুই ম্যাচ হারের পর টানা দুটি Read more

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উদযাপিত হলো থ্যাংকস গিভিং ডে

অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উদযাপিত হলো থ্যাংকস গিভিং ডে। Read more

ভক্ত-অনুরাগীদের চমকে দিলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা শন…

অনলাইন ডেস্ক : প্রেম ও সম্পর্কে বয়স যে কোনো বাধা Read more

সৌদি আরবে নীল শাড়িতে মেহজাবীন

অনলাইন ডেস্ক : নতুন সিনেমা ‘সাবা’ নিয়ে হাজির সৌদি আরবের Read more

আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রার্থী Read more

নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

চলারপথে রিপোর্ট : ৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ Read more

বরিশালে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক : আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নগরীর বান্দ Read more

ভারতের সাথে প্রতিবেশীর মতো সম্পর্ক হবে…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই Read more

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। হবিগঞ্জে র‌্যালি Read more

মেহেরপুর মুক্ত দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। দিবসটি উদযাপন Read more

৪৪ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এক বিশেষ অভিযানে Read more

মেহেরপুর মুক্ত দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক : ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস। এই দিনে Read more

ভয়াল কালরাত আজ

জাতীয়, 24 March 2024, 348 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত। ১৯৭১ সালের এ রাতেই বাংলার বুকে নেমে এসেছিল মৃত্যুর ঘনতমসা। পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের একটি ঘটেছিল আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমিতে।

banner

রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হিংস্র হায়েনার মতো বর্বর শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরীহ-নিরস্ত্র স্বাধীনতাকামী বাঙালি জনগণের ওপর। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ণ সামরিক সম্ভার নিয়ে রাত ১০টার পর সারা দেশে পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা শুরু করে তারা।

সামরিক ভাষায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত ছিল পাক-হানাদারদের এ হত্যা-অভিযান। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ এড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বাঙালি হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের পথেই এগিয়েছিল। অত্যাচার, উৎপীড়ন, পাশবিকতা, নৃশংসতা আর হিংস্রতার কালো থাবায় বিভীষিকা ছড়িয়ে দিয়েছিল পুরো ঢাকা শহরে।

বর্বর হত্যাযজ্ঞের এ দিনটি ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে। কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার সেই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বর্বরোচিত হামলায় বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে দেখেছিল উন্মত্ত পাক বাহিনীর গণহত্যাকাণ্ড। মধ্যযুগীয় কায়দায় হানাদাররা রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা ঢাকা শহরে চালায় হত্যাযজ্ঞ, করে অগ্নিসংযোগ। এই রাতেই গ্রেফতার করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। ২৫ মার্চের কালরাতের বেদনাদায়ক ঘটনা সমগ্র জাতিকে শিহরিত করে। নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি চালিয়ে হত্যা করে সেদিন মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি। ভয়াবহ সেই কালরাতের হত্যাযজ্ঞ বাঙালিকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জোগায়।

প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের এই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরাসরি এয়ারপোর্ট চলে যান। রাত পৌনে ৮টায় তিনি গোপনে বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন নিরপরাধ বাঙালির ওপর কাপুরুষোচিত সশস্ত্র হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে। পাক হানাদার বাহিনী জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে জল্লাদের মতো বাংলার নিরপরাধ জনগণের ওপর মেশিনগান, মর্টার আর ট্যাংক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে।

রাত ১টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২২তম বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা পিলখানা ইপিআর হেডকোয়ার্টারে আক্রমণ চালায়। কেন্দ্রীয় কোয়ার্টারে ১৮ জন বাঙালি গার্ড থাকলেও তারা পালটা আক্রমণের সুযোগ পাননি। পিলখানা আক্রমণের পাশাপাশি রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারী বাজারসহ ঢাকাজুড়েই শুরু হয় প্রচণ্ড আক্রমণ। বিভিন্ন এলাকাতে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ করে চলে বর্বর পাক হানাদার বাহিনী।

মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে ট্যাংক, সঙ্গে সেনা বোঝাই লরি। ইকবাল হল (বর্তমানে জহুরুল হক হল), জগন্নাথ হলে মধ্যযুগীয় কায়দায় চলে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতা। শহিদ হন কয়েকশ ছাত্রছাত্রী। ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের নয়জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।

হানাদাররা চলার পথে রাস্তার দুই পাশে গুলি ছুড়ে মেরে ফেলে অসংখ্য নিরীহ, গরিব মানুষকে। মেডিকেল কলেজ ও ছাত্রাবাসে গোলার পর গোলা ছুড়ে হত্যা করা হয় অজস্র মানুষকে। রাজারবাগে পুলিশের বাঙালি সদস্যরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাদের সামান্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই। ট্যাংক আর ভারী মেশিনগানের মুখে এ প্রতিরোধ বেশিক্ষক্ষণ টেকেনি। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুরো সদর দপ্তর।

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। গোপন ওয়্যারলেস বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ছাত্র-জনতা-পুলিশ-ইপিআর শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি ঘোষণা করছি আজ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বস্তরের নাগরিকদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুন, যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবিলা করুন। এই হয়তো আপনাদের প্রতি আমার শেষ বাণী হতে পারে। আপনারা শেষ শত্রুটি দেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যান।’

এর আগে সকালে প্রেসিডেন্ট ভবনে ভুট্টো-ইয়াহিয়া এবং ইয়াহিয়া ও পিপলস পার্টির উপদেষ্টাদের মধ্যে আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ঢাকা ত্যাগের খবর সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে ছিল। রাত ৯টার পর বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া খান সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট অখণ্ড পাকিস্তানের সমাপ্তি টানতে চলেছেন।

পিলখানায় ইপিআর ব্যারাক ও অন্যান্য স্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার লিখিত বাণী ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে মেসেজ আকারে পাঠানো হয়। এ বার্তা চট্টগ্রাম ইপিআর সদর দপ্তরে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম উপকূলে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজও এ বার্তা গ্রহণ করে। চট্টগামে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী সাইক্লোস্টাইল করে রাতেই শহরবাসীর মধ্যে বিলির ব্যবস্থা করেন। রাত ১টায় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের অদূরে শুক্রাবাদে ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। এখানে প্রতিরোধ ব্যুহ ভেঙে হানাদাররা রাত দেড়টায় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে আসে। হানাদার বাহিনী এলাপাতাড়ি গুলি চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রবেশ করে। বঙ্গবন্ধুকে রাত দেড়টায় তার বাসভবন থেকে বন্দি করে শেরেবাংলা নগরের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে সেনানিবাসে স্থানান্তর করা হয়। সকাল পর্যন্ত আদমজী কলেজের একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধুকে আটক রাখা হয়।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের রাতে ১ মিনিট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। অন্ধকারে থাকবে দেশ।

স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা প্রকাশ

জাতীয়, 15 January 2024, 515 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রবেশ পর্যায় ছাড়া অন্যান্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

banner

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১০ জানুয়ারি পরিপত্র জারি করেছে। এতে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক ও নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আওতা (প্রবেশ পর্যায়ের পদ) ব্যতীত অন্যান্য পদে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে প্রতিষ্ঠানভেদে পদ্ধতিগত ভিন্নতা রয়েছে। এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রমে অভিন্নতা ও স্বচ্ছতা আনার জন্য নির্দেশমালা জারি করা হলো।

শূন্য পদের চাহিদা: পরিপত্রে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১’ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শূন্য বা নবসৃষ্ট পদের প্রাপ্যতা নিরূপণ করবে। শূন্যপদের ধরণ (কাঠামোভুক্ত, সৃষ্ট, অননুমোদিত সৃষ্ট, খণ্ডকালীন, চুক্তিভিত্তিক) উল্লেখপূর্বক শূন্যপদের বিবরণী প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত গভর্নিং বডি বা ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যমান না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।

এতে উল্লেখ করা হয়, প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগ করা যাবে না। প্রাপ্যতাবিহীন পদে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগ করা হলে তার সমুদয় দায়ভার নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়োজিত সবার ওপর ব্যক্তিগতভাবে বর্তাবে। নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর শতভাগ বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করতে হবে।

প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগকৃত কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) প্রস্তাব পাঠানো যাবে না। এ ধরনের প্রস্তাব পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগের জন্য মাউশির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করাও যাবে না।

শূন্য পদ পূরণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি: পরিপত্রে বলা হয়, শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দেশের বহুল প্রচারিত দুটি দৈনিক পত্রিকায় (একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয়) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও সম্ভাব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির ব্যাপক প্রচার করতে হবে।

‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’ ও এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী শূন্যপদের ধরন (এমপিও কিংবা নন-এমপিও পদ), সংখ্যা, বিষয়, আবেদন ফি, প্রত্যেক পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার আবশ্যকীয় শর্তাবলি, বেতন গ্রেড, আবেদন দাখিলের নিয়ম এবং আবেদন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ও সময় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে।

প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই-বাছাই: এতে উল্লেখ করা হয়, প্রাপ্ত আবেদনের সংক্ষিপ্ত তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি কর্তৃক রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে তিন সদস্যের একটি ‘আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি’ গঠন করতে হবে। ওই কমিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী প্রত্যেকটি পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার শর্তাবলি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে বৈধ আবেদনকারীর তালিকা প্রণয়ন করবে। প্রাপ্ত আবেদন ও বৈধ আবেদনের তালিকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর বণ্টন ও সময়, মূল্যায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি, ফল প্রকাশ, নিয়োগের সুপারিশ, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির করণীয় পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

জাতীয়, 17 October 2024, 71 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো-
(ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার।
(খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ০৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হলো-
(ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
(ঘ) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (০১টি শনিবার)।
(৪) ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত মোট ছুটি (০৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত) ২৬ দিন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের অনুমোদিত মোট ছুটি (০২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২২ দিন।

banner

৯৯৯-এ দেওয়া যাবে ভোটের অভিযোগ

জাতীয়, 5 January 2024, 496 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দেওয়া যাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ।

banner

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জননিরাপত্তা বিভাগের সম্প্রতি জারি করা পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকেও নির্বাচন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা সেলে অভিযোগ জানাতে ৯৯৯ এ কল করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সার্বক্ষণিক সেবা দানের জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯-এ বিশেষ টিম গঠন করে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ওই টিম ভোট সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ বা তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে প্রেরণ করবে।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সেল গঠন করেছে। এই সেল যেকোনো অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিমগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট লাখের মতো সদস্য মাঠ পর্যায়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

যে কোনো জরুরি মুহূর্তে নাগরিকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করে। এই নাম্বারে বিনামূল্যে ফোন দিয়ে যেকোনো অভিযোগ বা সহায়তা চাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 18 October 2023, 560 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

banner

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রুনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের রাষ্ট্রদূত।

এদিন প্রধানমন্ত্রী মানবজাতির কল্যাণে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, আমরা গতকাল (ইসরায়েল কর্তৃক গাজায়) হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি। আমি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি- যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনোই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।