বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ

জাতীয়, 15 March 2023, 918 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ১৫ মার্চ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’।

১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির উদ্যোগে মার্কিন কংগ্রেসে ক্রেতা-ভোক্তার স্বার্থে চারটি অধিকার স্বীকৃতি লাভ করে। মার্কিন কংগ্রেসে ক্রেতা-ভোক্তা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ১৫ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস।

১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে জাতিসংঘ ভোক্তা অধিকার রক্ষার নীতিমালায় কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরো আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করা হয়।
বিশ্বজুড়ে ১১৫টি দেশে ২২০টি ভোক্তা অধিকার সংগঠন দিবসটি পালন করে থাকে।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লেনিন…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও জেলা Read more
ফাইল ছবি

ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর সরকার শেখ…

অনলাইন ডেস্ক : ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে Read more

ফুল টাইম প্রশাসক পাচ্ছে সিটি করপোরেশন,…

অনলাইন ডেস্ক : সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও Read more
ফাইল ছবি

হজের সর্বনিম্ন খরচ ৪ লাখ ৭৮…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছর হজে যেতে সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ Read more

নাসিরনগরে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা…

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, Read more

শিক্ষকের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক Read more

শ্রীমঙ্গলের ইউপি সদস্য পিয়াস দাস আখাউড়ায়…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার Read more

নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে :…

অনলাইন ডেস্ক : আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন Read more

ট্রেনের টিকিট পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে

অনলাইন ডেস্ক : রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা বাণিজ্য, পুলিশের সতর্ক বিজ্ঞপ্তি

চলারপথে রিপোর্ট : একটি প্রতারক চক্র মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা Read more

রিমান্ড শেষে শিউলি আজাদ কারাগারে

চলারপথে রিপোর্ট : হত্যা মামলায় আট দিনের রিমান্ড শেষে সংরক্ষিত Read more

অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়ায় আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে Read more

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, সংগঠনের বিচার‌ও সম্ভব

জাতীয়, 9 February 2024, 384 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনগুলোর বিচার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু সংগঠনের বিচার এখনো হয়নি। আমার মনে হয় সেটাও সম্ভব যদি আমরা চিন্তা করি। কিন্তু মুশকিলটা হলো, এখনো বিভ্রান্ত করার সুযোগ রয়ে গেছে, অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।’

আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে এই স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রথমত তাঁকে চিনেছি আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য। দ্বিতীয়ত, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে অসামান্য অবদানের কারণে।’

ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধপদ্ধতির বিচার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক ও দুইয়ে আজ পর্যন্ত ৫৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বিচারকাজে বাকি চ্যালেঞ্জগুলোও জয় করা (ওভারকাম) সম্ভব। সে জন্য ক্রমাগত চাপ ও দাবি অব্যাহত রাখতে হবে।’

যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারে ট্রাইব্যুনালের জনবলসংকটকে ‘প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কেউ কেউ মারা গেছেন, অনেকের বয়স হয়েছে। এখন প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় নতুন করে সদস্য নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিচারকাজ চালু রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’

মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে নানা রকম বিষোদগার করছে। বিটিসিএলের উচিত এসব ভিডিও সরিয়ে দেওয়া।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আমরা সবাই ন্যায়বিচার পাইনি। যেটুকু পেয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার স্বামীকে (শহীদ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী) নির্মমভাবে হত্যা করেছে আলবদররা। কিন্তু আলবদরের মতো সংগঠনগুলোর বিচার তো হয়নি। তাহলে আমি কি ন্যায়বিচার পেয়েছি? এই দুঃখ আমাদের আছে।’

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি ট্রাইব্যুনালে ৩০টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এই মামলাগুলোতে আনুমানিক ২০০ জন অভিযুক্ত আসামি রয়েছেন। এই মামলাগুলোতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন ২০০ থেকে ২৫০ সাক্ষী। তদন্ত সংস্থার কাছে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ মামলা তদন্তের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আসামি এবং সাক্ষী সবার‌ই বয়স ৭০-এর বেশি। প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়তো আর তিন-চার বছর পর এদের কাউকেই আমরা বিচারের জন্য পাব না। তাই দুটি বা প্রয়োজনে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলমান মামলাগুলো নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ৩২ বছর আগে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল, এর প্রধান নেতাদের অন্যতম অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিজড়াদের গল্প একটি নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে মন্দির ভাঙচুরের মাধ্যমে আমাদের এই দেশে মৌলবাদের যে একটি ক্রমবর্ধমান উত্থান ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমরা এই দেশ গড়েছিলাম মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতির ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা এখনো এই নীতিগুলোকে ধারণ করেন তারা কবীর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুঁজে ফেরেন অনুপ্রেরণার আশায়।’

কসবার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জীবন ঢাকায় গ্রেফতার

কসবা, জাতীয়, 20 October 2024, 36 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা পল্টন থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার কাকরাইল অরোরা স্পেশালাইড হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাশেদুল কাওসার জীবন কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কোনাঘাটা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুর রশিদ ভূইয়ার ছেলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

আজ ২০ অক্টোবর রবিবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা, কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে ভাংচুর, হত্যাসহ বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেয়। আন্দোলন কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা বিএনপি কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এই মামলার অন্যান্য আসামী ও আটককৃতসহ ৫/৬ শ লোক ত্রাস সৃষ্টি করে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলিবর্ষন করে। ওই সময় এতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ওই ঘটনার সময় মকবুল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মামলা রুজু হয়। মামলা নং- ৪৮। ওই মামলায় তাকে গতকাল শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। পরে আজ রোববার তাকে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রিপন দাস জানান, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার জীবনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কসবা থানায় কোনো মামলা হয়নি। তাকে ঢাকার পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

পরের কথা শুনে মন খারাপ করবেন না, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 19 March 2023, 1082 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্যাণের জন্য করা হয়েছে, অকল্যাণের জন্য নয়- জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবিরোধী একটি শক্তি আছে, যত কাজই হোক সেটা তাদের চোখে পড়ে না। আর একটা শ্রেণি আছে যারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বদনাম করে। এর বিনিময়ে আর্থিক সুবিধাও পায়। বাংলাদেশের উন্নতি তাদের চোখেই পড়ে না। এ সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেন।

পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র‌্যাবের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান জানিয়েছেন, র‌্যাবের ওপর যখন নিষেধাজ্ঞা আসে তখন অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিল, তবে তিনি বলেছেন, ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

আজ ১৯ মার্চ রবিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দফতরে র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। তবে পবিত্র রমজান মাসের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ১৯ মার্চ এগিয়ে আনা হয়েছে। সংস্থাটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে আজ। র‌্যাবের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান হলো- ‘নিরাপত্তা রক্ষায় গণমানুষের আস্থায়’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশ র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অনেকে তখন ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, ঘাবড়ানোর কিছু নেই। প্রথমে সবাই বোধহয় মন খারাপ করেছিল। তবে এখন আর চিন্তা নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালিয়ে একটি বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। কোন উদ্দেশে তারা এটা করেছে সেটাও বের করতে হবে।’

র‌্যাবের কেউ অপরাধ করে পার পাবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি যেহেতু সরকারে আছি কে ভালো করছে, কে মন্দ করছে সেটা আমি দেখব। কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।’

র‌্যাবকে শান্তি, নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস নির্মূলসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই র‌্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে।

বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান ছাড়া জঙ্গিরা তেমন কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এক্ষেত্রে র‌্যাবের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি।

কিশোর গ্যাং দমনে র‌্যাবকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাদক নির্মূলে র‌্যাবের ভূমিকাও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মাদকাসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ধনিক শ্রেণি থেকে শুরু করে দরিদ্র পর্যন্ত সবখানে এর প্রভাব। একটা পরিবারে একজন মাদকাসক্ত থাকলে অশান্তির কোনো সীমা থাকে না। র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে তাকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। সবাইকে মাদক নির্মূলে আরও সক্রিয় হতে হবে।

এ সময় তিনি ভেজালবিরোধী অভিযানে র‌্যাবের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, রমজান মাস এলেই যেন কিছু মানুষের মুনাফার অভিলাস জাগে। অথচ এই মাস হলো কৃচ্ছ্বতার মাস। আরেকটি হলো খাদ্যে ভেজাল দেওয়া। এই বিষয়গুলো প্রতিরোধেও র‌্যাব ভূমিকা রাখছে।

আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয়, 7 September 2024, 64 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের অবস্থার খোঁজখবর নেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আট শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১১ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন চার শিক্ষার্থীর অবস্থা দেখেছেন। চারজনই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

নির্বাচনে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 20 April 2023, 1147 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের আমরা স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গণভবনে যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এসময় তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

কিছু স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের আলাদা এজেন্ডা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় চরম দারিদ্র্যের হার ৫.৬ এবং দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।

তিনি বলেন, গত মার্চে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাধ্য করতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। কারণ বর্তমান শিশুর সঙ্গে ৪০ হাজার নবজাতক শিশু যুক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য এটা বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে। রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করে। শেখ হাসিনা অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ এ যুদ্ধে সারা বিশ্ব ভুগছে। তিনি বলেন, আমরা সব সময় যে কোনো যুদ্ধের বিপক্ষে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তাদের সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।