চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক ডজন মামলার আসামী ও চিহ্নিত চোর আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছার মিয়া-(৩৭) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেটকার জব্দ ও বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকার (২ ভরি ৫ আনা) এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার অনন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছার মিয়া সরাইল উপজেলার রানীদিয়া গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার অন্নদা মোড়ে চেকপোষ্ট বসানো হয়। এ সময় চেকপোষ্ট এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহ হলে প্রাইভেটকারসহ আসাদ উল্লাহ প্রকাশ কাউছারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে বিভিন্ন প্রকারের স্বর্ণ অলংকার যার ওজন (২ ভরি ৫ আনা) ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের ফজলু মিয়ার ঘরে থেকে এই স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে কাউছার। সে একজন পেশাদার চোর।
এ ব্যাপারে বিরুদ্ধে ১২টি চুরির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে খাদিজা বেগমের (৪৫) পরিবারের দুই ছেলে প্রতিবন্ধী। বড় ছেলে আশেক মিয়া (২২) শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী। মেজ ছেলে লাদেন মিয়া (১৮) শারীরিক প্রতিবন্ধী। মিথ্যা মামলায় স্বামী দুলাল মিয়া (৫০) জেলখানায়। মেয়ে একটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। বইখাতা ও বেতনের অভাবে লেখাপড়া বন্ধের পথে।
বড় ছেলে আশেক জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কিছুটা চলাফেরা করতে পারলেও লাদেন ঘরের বাইরে যেতে পারে না। লাদেনের যখন আট বছর বয়স তখন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে সময় লাদেনের বাবা জমিজমা বিক্রি করে দেশের নামিদামি বহু হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও লাভ হয়নি। সেই থেকে লাদেনের হৃদয় যেন বেদনার বালুচর।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধূলা করা ছোট্ট লাদেন এখন হয়ে গেছেন প্রতিবন্ধী। তখন থেকে বাইরে বের হয়ে দিনের সূর্য আর রাতের চাঁদ কিছুই দেখা হয় না তার। ছোটবেলার ছোটাছুটি আর বন্ধুদের সঙ্গে মাতামাতি এখন কেবলই স্মৃতি। সবই বিধাতার খেলা। আশা ছেড়ে দিয়েছেন সুস্থ হওয়ারও। এখন আর চিকিৎসা করার মতো কোনো ব্যবস্থাও নেই। কোথায় পাবেন অত টাকা? কোথায় করাবেন চিকিৎসা? প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা দিয়ে কোনোরকমে অর্ধাহার-অনাহারে চলে তাদের সংসার।
সকালে খেলে বিকালের খাবার থাকে না। ক্ষুধায় ছটফট করে কাটে সারারাত। তাদের শেষ সম্বল যেটি ছিল, সেই ভিটেবাড়িটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। অসুস্থ ছেলেমেয়েদের মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় খাদিজা আশ্রয় নিয়েছেন লাদেনের চাচার বাসায়।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী খাদিজার স্বামী ফেঁসে গেছেন মিথ্যা মামলায়। জেলখানায় রয়েছেন ছয় মাস ধরে। একদিকে দুই সন্তান অসুস্থ, মেয়ের পড়ার খরচ, স্বামী জেলখানায়। অন্যদিকে ২০১২ সাল থেকে বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। চারবার করিয়েছেন বেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন। তাতেও সফল হয়নি। ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে গেছে পুরো শরীরে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেলা থাকতেও যেন আঁধার এসে গ্রাস করেছে তাকে। শুধু মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই তার।
উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে বৃহস্পতিবার সরেজমিন যান এ প্রতিবেদক। তার কাছে নিজের এ ভাগ্যবিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন মৃত্যুশয্যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদিজা। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চান স্বামীর। জানান বাঁচার আকুতি। বাঁচাতে চান ছেলেমেয়েদেরও। দুই ছেলের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করতে চান। পড়াতে চান মেয়েকে। আর এ জন্য দেশবাসীর কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। চাইছেন তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াক। আর এ জন্য দিয়েছেন বিকাশ নম্বর। খাদিজার বিকাশ নম্বর ০১৭৭২২৯৪৬৮৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মণি রানী নাগ (৩৮) নামের এক স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ১৩ আগস্ট রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান।
মণি নাগ উপজেলার শাহবাজপুরের অজিত নাগের মেয়ে। তিনি উপজেলার কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার স্বামী উপজেলার অরুয়াইলের ফটো স্টুডিও ব্যবসায়ী অনিক রায়। ঘটনার পর পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ১৮ বছর আগে মণি রাণী নাগকে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের সাহাপাড়ার জিতু ধরের ছেলে অনিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে মণির বাবা অনিককে ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মণির ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন স্বামী অনিক। তারপরও সংসার করে যাচ্ছিলেন মণি।
বিয়ের দুই বছর পর মণি কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এরই মাঝে তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারপরও স্বামী অনিকের নির্যাতন থেমে থাকেনি। বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এসব ঘটনায় তাদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও হয়। দুই মেয়ের কথা ভেবে সেই মামলা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেন মণি নাগ।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরের পর আত্মহত্যা করতে চালে দেওয়ার কেড়ির বড়ি খান মণি নাগ। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্বামী অনিকসহ মণিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মণির চিকিৎসা শুরু করলে পালিয়ে যান স্বামী অনিক। এর কিছুক্ষণ পর মণি রানী নাগ মারা যান।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তার স্বামী অনিক রায়কে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলাপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচী সরাইল উপজেলা শাখার আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও কলামিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা হয়েছে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ইভটিজিং মাদক ও বাল্যবিয়েসহ বিভিন্ন গুরূত্বপূর্ণ বিষয়ে। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সংগঠনের সম্পাদক মো. সুমন পারভেজের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. মোজাম্মেল পাঠানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সরাইল প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রাশেদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য এড. কামরুজ্জামান আনসারী, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য অ্যাড. সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, উদীচী জেলা শাখার সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সম্পাদক ও মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সমাজসেবক ও কলামিস্ট মো. ফজলুল হক মৃধা, অরুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাকিম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় ও উদীচীর সদস্য শিক্ষক দেওয়ান রওশন আরা লাকী প্রমুখ।
বক্তারা দীর্ঘদিন পর সরাইলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজক স্থানীয় উদীচীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা লালনকারী সংগঠনের নাম উদীচী। তারা নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে দেশ ও মানুষের জন্য সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মৌলবাদের বিরূদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তারা বারবার জঙ্গিবাদের উগ্র হামলার শিকার হয়েছে। রক্তাক্ত শরীরেও কখনো মাথা নত করে পিছু হটেনি উদীচী।
উদীচীর বৈঠক চলাকালে রঞ্জীত কুমার দেবনাথ ও আলমাসের নেতৃত্বে ত্রিতালের সকল শিক্ষার্থী শিল্পীরা আঞ্চলিক আর দেশাত্ববোধক গান গেয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে রেখেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি ঠেকাতে সাত কিলোমিটার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার সরাইল থানা ও কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ধরন্তি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের দুই পাশে ছোট গাছপালা গজিয়ে ঝোপঝাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই এ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতের দল এসব ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। এ কারণে যাত্রী ও পরিবহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ অবস্থায় সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ থেকে ধরন্তি কুইট্টা ব্রিজ পর্যন্ত এবং কুইট্টা থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, সড়কে নিরাপত্তার জন্য সরাইলের অংশ আমরা পরিষ্কার করছি। নাসিরনগর থানা পুলিশ বাকি অংশ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার একমাত্র গণগ্রন্থাগারটি গত ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে তালাবদ্ধ। এটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সরাইল শাখা।
আজ ১০ মার্চ রবিবার সকালে সরাইল সদরের শহিদ মিনার চত্বরে স্থানীয় সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গের অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে গ্রন্থাগারটির কমিটি না থাকার কারণে এমন অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী এই গ্রন্থাগারটি এক সময় এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। দিনে রাতে আলো ছড়াতো গ্রন্থাগারটি। কিন্তু হঠাৎ করে এক সময় ছন্দ হারিয়ে ফেলে গ্রন্থাগারটি। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন ইউএনও’র প্রচেষ্টায় কমিটি হয়। সচল হয় গ্রন্থাগারটি। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে আবারও তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কেটে যাচ্ছে ১০ বছর। ফলে গ্রন্থাগারে রক্ষিত সহস্রাধিক মূল্যবান বই গুলোতে পোকায় ধরেছে। কিছু বইয়ের উপরে পড়েছে ধূঁলোবালির স্তুপ। সন্ধ্যার পর গ্রন্থাগারটির চারিদিকে বিরাজ করে ভূতুড়ে অবস্থা। সুযোগে মাদকাসক্তরা সেখানে আড্ডায় মেতে ওঠে। তাই উপজেলার একমাত্র গ্রন্থাগারটির প্রাণ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের চোখ ফিরাতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় উদীচী।
উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মো. মোজাম্মেল পাঠানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উদীচী জেলা শাখার সহসভাপতি আহমদ হোসেন, সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, কমিউনিষ্ট পার্টি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, ঠিকাদার মো. শফিকুল ইসলাম সেলু, শিক্ষক মো. সামছুল আলম, সরাইল প্রেসক্লাবের সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির, উপলব্ধির নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন ও শিল্পী মাহফুজা বেগম।
বক্তারা বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যোগ্য লোকদের দ্বারা কমিটি গঠন করে গ্রন্থাগারটির তালা খুলে সচলাবস্থা ফিরিয়ে আনুন। মানুষ গ্রন্থাগারে আসুক। বই পড়ুক। সাহিত্য চর্চা হউক। নজরুল রবীন্দ্র জয়ন্তী হউক। সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি পাক।