চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৬ মহিলা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রুমা-কেওক্রাডং সড়কের বগালেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ও নিহতদের নাম তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে রেমাক্রী ইউনিয়নের থাইক্ষ্যং পাড়া ও স্লৌপি পাড়া থেকে রুমা-কেওক্রাডং সড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত খালি ট্রাকে করে রুমা বাজারে আসছিলেন ভিজিডির চাল নিতে যাচ্ছিলেন।
ট্রাকটি বগালেক পাহাড় নামার সময় উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জন। পরে স্থানীয়, সেনাবাহিনীর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো এক মহিলা। এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন । এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রুমা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বামংপ্রু বলেন, রুমায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৪ জনের মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ নারী ও একজন পুরুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগেও তাদের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিলো। মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বুত পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সৌজন্য সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ৮ম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে -এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে- এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।
বিএনপির কিছু নেতা বলছেন, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তারা পুরো মুক্ত নন, বাক-স্বাধীনতা নেই এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে তারা বলছে বাক-স্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হাতাশার মধ্যে এ সব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।’ সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জিএমপির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কুনিয়া তারগাছ এলাকার শহিদুল শেখের ছেলে সাগর শেখ (২৪), একই এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে রতন (২০) ও সজল দাসের ছেলে শান্ত দাস (১৯), চান্দুরা এলাকার মৃত মিজানের ছেলে মো. হাশেম (২৩), একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে শ্যামল আহমদ (২১) এবং হামিদুর রহমানের ছেলে শাহীন (২০)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জানান, গত ২২ আগস্ট রাত সোয়া দুইটার দিকে সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা এলাকার সেটার্ন গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে ৭/৮জন সশস্ত্র ডাকাত। এসময় তারা ওই মাইক্রোবাসের সামনের ও সাইডের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে এবং দুই আরোহীকে মারপিট ও আতংক সৃষ্টি করে। ডাকাতেরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাস আরোহীদের কাছ থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল লুণ্ঠন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনায় কুনিয়া, তারগাছ ও চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে যাত্রীবেশে, পথচারী সেজে সঙ্গবদ্ধ ভাবে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ডাকাতি করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইউএনওর বোন পরিচয়ে হতদরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ, চাকরিসহ নানান সরকারি অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নাসিমা আক্তার স্বপ্না নামে এক নারী।
এ ঘটনায় প্রতারক স্বপ্নাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী হতদরিদ্র নারীরা।
অভিযুক্ত প্রতারক নাসিমা আক্তার স্বপ্না আদিতমারী টিএনটি পাড়ার নুর ইসলামের মেয়ে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রামীণ হতদরিদ্র বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রতিশ্রুতিতে সেলাইসহ নানান প্রশিক্ষণ ও মাসিক ১০ হাজার করে সম্মানী দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি দুই/তিন হাজার করে কয়েকশ নারীর কাছ থেকে টাকা নেন নাসিমা আক্তার স্বপ্না। একই সঙ্গে তাদের মহিলা বিষয়ক, সমাজসেবা, সমবায় ও যুব উন্নয়ন দফতরের বিভিন্ন সরকারি ভাতাসহ নানান সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চার/পাঁচ হাজার করে টাকা আদায় করেন তিনি। নাসিমা আক্তার স্বপ্না নিজেকে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বোন পরিচয় দিয়ে গ্রামীণ নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন।
প্রথমদিকে নিজেকে ইউএনওর বোন পরিচয় দিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আদিতমারী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার ব্যানার ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ চালু করেন। যা দেখে গ্রামীণ নারীরা সত্য বলে মেনে নিয়ে তার প্রতারণার ফাঁদে পা বাড়ান। এভাবে পুরো উপজেলায় জাল বিস্তার করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন নাসিমা আক্তার স্বপ্না।
চার/পাঁচ মাস আগে স্থানীয়রা বিষয়টি ইউএনওকে মৌখিকভাবে জানালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে স্বপ্নার প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেন। পরে প্রতারক স্বপ্না কৌশলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিজ বাড়ি আদিতমারী হ্যালিপ্যাড এলাকায় স্থানান্তরিত করেন। এরই মাঝে প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীদের প্রশিক্ষণের তিন মাস মেয়াদ শেষ হলেও সম্মানী পাননি। ফলে সম্মানী নিয়ে নারীদের সঙ্গে কয়েক দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে স্বপ্নার। প্রতিবাদকারী নারীদের শায়েস্তা করতে স্বপ্নার রয়েছে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী।
এতেই শেষ নয়, অনেক বেকার নারীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চার/পাঁচ লাখ করে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন স্বপ্না। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে স্বপ্না সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নিকট আত্মীয় পরিচয় দিতেন বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
চাকরি, সরকারি অনুদান বা প্রশিক্ষণের ভাতা না পেয়ে একপর্যায়ে ভুক্তভোগীরা তার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও প্রতারক স্বপ্নার প্রতারণা বন্ধ না হওয়ায় ফুঁসে ওঠেন নারীরা।
প্রতারিত ও ভুক্তভোগী শত শত হতদরিদ্র নারী ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে প্রথমে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে থানার গেটে মানববন্ধন করে প্রতারক স্বপ্নার গ্রেপ্তার দাবি করেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে নারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদিতমারী ইউএনও অফিস ঘেরাও করে দ্রুত প্রতারক স্বপ্নার গ্রেপ্তার দাবি করেন। এ সময় একই দাবিতে ইউএনওকে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, প্রশিক্ষণে সম্মানী ও সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা বলে স্বপ্না ইউএনওর বোন ও মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছে টাকা নেন। ইউএনওর বোন জন্যই স্বপ্না মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অফিস করেছিলেন। এটাই আমাদের বলে প্রতারণা করেছিলেন। ইউএনওর বোন ছাড়া সরকারি অফিসে তার প্রশিক্ষণ হত না। এটা ভেবে আমি টাকা দিয়েছি। এছাড়া অভিযোগ দিয়েও যখন তার প্রতারণা বন্ধ হয়নি। তখন আমরা ভেবেছি, হয়ত স্বপ্না ইউএনও এবং মন্ত্রীর আত্মীয় হবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নাসিমা আক্তার স্বপ্নাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রশিদা বেগম বলেন, আদিতমারী মহিলা উন্নয়ন সমিতি স্বপ্নার মায়ের। চার মাস আগে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে তার মাকে এ ব্যানার ব্যবহারে নিষেধ করা হয়। পরে তারা ব্যানার ছাড়াই এসব প্রতারণা করছে। তাদের কোনো ফান্ড বা প্রজেক্টও নেই। এটা তাদের প্রতারণা বলে মনে হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিআর সারোয়ার বলেন, স্বপ্না প্রতারণা করতে আমার বোন বলে পরিচয় দিতে পারে, কিন্তু বোন তো দূরের কথা তাকে আমি চিনিও না। প্রতারণা একটি ফৌজদারি অপরাধ। তাই ভুক্তভোগীদের মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুর্বধলায় ১১০ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ব্যাপারে ডিবি’র এস আই সঞ্জয় সরকার বাদী হয়ে আটককৃত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে বুধবার বিকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হচ্ছে- জেলার দূর্গাপুর উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. মাহফুজুল ইসলাম (২২) এবং পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নারায়ণ ডহর গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (৩৮)।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এর দিক নির্দেশনায় ওসি, ডিবি (পশ্চিম) মোহাম্মদ শাহনূর আলমের নেতৃত্বে এস আই সঞ্জয় সরকার, এ এস আই ম. মফিজুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৪ অক্টোবর (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পূর্বধলা চৌরাস্থার ইলাশপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১১০ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরছেন। আজ ২ মার্চ শনিবার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন সীমান্তের শূন্য রেখায় ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীর নিকট হস্তান্তর করেন।
এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুসহ একজন নবজাতক রয়েছে। একই পরিবারের ৫ জন রয়েছে। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের তথ্য ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ফেরত নাগরিকরা হলো নরাইল জেলার কালিয়া উপজেরার পার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ আহাদ মিনা, মোঃ আল আমিন মিনার স্ত্রী মোছাঃ কুলছুল বেগম, আল আমিন মিনার ছেলে রিফাত মিয়া, সিফাত মিনা, একই গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা, মুজিবুর শেখের ছেলে মোঃ রাজু শেখ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মোঃ কদর আলীর মেয়ে মোছাঃ সাজিদা খাতুন, আবুল কাসেমের মেয়ের সুমি আক্তার কাজলী ও কাজলীর নব জাতক পুত্র শিশু সানজিদ মোল্লা।
পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সীমান্তপথে তারা ভারতে পাড়ি জমায়। পরে দালালরা তাদের সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
সীমান্তের শূণ্য রেখায় শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন ২ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে আটকা করে। এরমধ্যে ২ ছেলে, এক ছেলের বউ, ২ নাতি রয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর পর তাদেরকে ফেরত পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সেই কামনা করি।
এ ব্যপারে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশী এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে সাজা ভোগ করে। ত্রিপুরার নরসিংগড়ে একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিল। বিষয়টি বাংলাদেশ হাই কমিশন জানতে পেরে আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নিই। তাদের নাম ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠাই। দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, মোঃ ওমর শরীফ, বিএসএফ ত্রিপুরাস্থ ডেপুটি কমান্ড রাম নরেশ সিং, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ওসি হাসান আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।