ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত ৬

জাতীয়, 20 March 2023, 502 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৬ মহিলা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।

আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রুমা-কেওক্রাডং সড়কের বগালেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ও নিহতদের নাম তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে রেমাক্রী ইউনিয়নের থাইক্ষ্যং পাড়া ও স্লৌপি পাড়া থেকে রুমা-কেওক্রাডং সড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত খালি ট্রাকে করে রুমা বাজারে আসছিলেন ভিজিডির চাল নিতে যাচ্ছিলেন।

ট্রাকটি বগালেক পাহাড় নামার সময় উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জন। পরে স্থানীয়, সেনাবাহিনীর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো এক মহিলা। এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন । এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রুমা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বামংপ্রু বলেন, রুমায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৪ জনের মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ নারী ও একজন পুরুষ।

Leave a Reply

ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে Read more

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মাটি ও Read more

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ…

চলারপথে রিপোর্ট : গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বাধীনতার Read more

আগামীকাল ডিসেম্বর মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রি…

অনলাইন ডেস্ক : প্রতি মাসের বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি Read more

‘সিআইডি’ ধারাবাহিকের ফ্রেডরিক্স মারা গেছেন

বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক প্রথম টিভি সিরিজ ‘সি. Read more

চিনাইরে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার…

চলারপথে রিপোর্ট : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান Read more

রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে মিগজাউম

অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। Read more

আমারই ফল্ট ছিল: ডলি সায়ন্তনী

অনলাইন ডেস্ক : পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের Read more

নির্বাচনী হলফনামা : শূন্য থেকে ৬৫…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী Read more

নবীনগরে নিখোঁজের পরদিন নদীতে মিললো শিশুর…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগর উপজেলায় মেঘনা নদীতে নিখোঁজের একদিন পর Read more

ফেসবুকে ট্যুর প্যাকেজ, বুকিং মানির নামে…

অনলাইন ডেস্ক : ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টের কাজ করেন নাহিদ হাজারিকা ইতি। Read more

নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন জোটের প্রার্থীরা…

অনলাইন ডেস্ক : জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে Read more

চার হাসপাতালে অভিযান, জরিমানা

জাতীয়, 25 September 2023, 128 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে চারটি প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন।

এসময় শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, এসআর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন বলেন, কোনো হাসপাতালের লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, কোনোটি আবেদন করা হয়েছে, আবার কোনোটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এসব কারণে বেসরকারি ক্লিনিক অধ্যাদেশ ১৯৮২ ধারায় চারটি ক্লিনিককে জরিমানা করে সতর্ক করে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাগজপত্র হালনাগাদ না করলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এসময় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুদেব চক্রবর্তী, উপজেলা সেনিটারি পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম দুলাল, উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।

কারাদণ্ড নয়, থাকবে জরিমানার বিধান: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 7 August 2023, 170 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে, সেখানে মানহানির মামলায় কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে। যখন নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন হবে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে না।

আজ ৭ আগস্ট সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মন্ত্রিসভার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।

আইনমন্ত্রী বলেন, জামিন অযোগ্য ধারা পরিবর্তন করে নতুন আইনে জামিন যোগ্য করা হচ্ছে। আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন তা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে সেই ক্ষেত্রে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে কিছু বলা হলে আগে ১০ বছর শাস্তির বিধান ছিল। এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকগুলো ধারায় পরিবর্তন করা হবে।

দেশে বিরোধিতার মুখে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে সরকার। বিভিন্ন মহল থেকে বিতর্কিত এই আইন বাতিল বা সংশোধনের দাবি উঠেছিল। মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের অভিযোগ, ডিজিটাল জগতে নিরাপত্তার কথা বলা হলেও আইনটি গণমাধ্যম ও বিরোধীদের কণ্ঠ রোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করার আহ্বান জানান।

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নাম ব্যাপ্তি বাড়াতে: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 8 August 2023, 176 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘পরিবর্তনগুলো এতই বেশি ছিল যে, তখন যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (নাম) রাখা হতো, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা (সংশোধন) আইন হতো। এটি বিভ্রান্তিকর হতো। এ জন্য এটিকে সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবিত নতুন আইন নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

প্রশ্ন উঠেছে পুরোনো আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মামলা এবং সেগুলোর শাস্তি এখন কী হবে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শাস্তি, সেই শাস্তি অপরাধীকে দিতে আদালত বাধ্য। কিন্তু সেখানে চিন্তাভাবনা করা হবে, এই (প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন) আইনে যেহেতু শাস্তির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো হয়েছে এবং সেই কমানোটিই সরকারের এবং আইনসভার উদ্দেশ্য। তাই সেই কমানোটি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।’

তার আগে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নতুন আইনটি হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে সাজা যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি অনেকগুলো অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানি মামলার জন্য কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে নতুন আইনটি করা হচ্ছে, সেটি এখনো তিনি (গোয়েন লুইস) সম্পূর্ণভাবে দেখেননি। দেখেননি বলেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মন্তব্য করতে পারছেন না। এটির যে পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি যেটি শুনেছেন, সেটি যদি হয়ে থাকে, তাহলে এটি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গতকাল আপনাদের যা বলেছি, ওনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনাতেও একই কথা বলেছি। সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি দফায় (ধারা) আছে এটিকে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) রহিত করা হয়েছে এবং এটিকে রহিত করা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব কারিগরি ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও আছে। সে জন্য সব সময় বলে আসছি, এটি পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশোধনও হয়নি, আবার কেউ যদি বলে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে না। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে।’

সরকারী সকল শূন্যপদে নিয়োগের দাবীতে জেলা যুব মৈত্রীর বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 1225 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রী। সমাবেশে উচ্চশিক্ষা শেষ করে সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষার প্রহরের পর প্রহর গুণতে যুব সমাজের মাঝে হতাশা তৈরি হওয়া নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়। দেশকে এগিয়ে নিতে যুব সমাজকে দেশের অর্থনৈতিক ও চালিকাশক্তি কর্মকা-ে জড়িত করতে সরকারের সকল শূনপদগুলো দ্রুত পূরণের আহ্বান জানানো হয়।

জেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাড. মো. নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি কমরেড ফজিলাতুন্নাহার, সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আল আমিন, জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ খান ও কাজী তানভীর আহমেদ শিপন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে যে পরিমাণ চাকুরি প্রত্যাশী তার তুলনায় চাকুরির সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। শ্রম মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ জনশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এই কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি আর ৯৫ শতাংশ বেসরকারি খাতের। উচ্চশিক্ষা শেষ করে অনেকে সরকারি চাকুরির জন্য অপেক্ষা করেন বছরের পর বছর। একাধিক বিসিএস এবং একের পর এক সরকারি চাকুরির পরীক্ষা দিতে দিতে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল চাকুরির সুবিধা পরিবারে পরিবারে পৌঁছে দেওয়া। যেখানে রাজস্ব খাতভুক্ত পদের বড় সংখ্যা শূন্য থাকে, সেখানে ক্ষমতাসীন দলের এ প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে সরকারী ৩লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৩৭ শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরী করা ও বেকার ভাতা চালুর দাবী জানান।
সমাবেশে যুব মৈত্রীর দাবীর সাথে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

আজ জেলহত্যা দিবস

জাতীয়, 3 November 2023, 61 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলহত্যা দিবস আজ। ইতিহাসের আরেক কলঙ্কময় বেদনাবিধুর দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। মধ্যরাতে কারাগারের ভেতরে এমন জঘন্য ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেদিনের ওই ঘটনা দেশবাসীসহ সারাবিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এ চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে। তারা আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে।