চলারপথে রিপোর্ট :
মুগদায় ট্রাকে গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাদ্দাম সর্দার (২৬) নামে এক যুবক মারা গেছেন। ট্রাকের হেলপার ছিলেন ওই যুবক। এ ঘটনায় মো. হিমেল নামে একজন আহত হন।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে মুগদার একটি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, মুগদার দেশ সিএনজি পাম্প স্টেশনে ভোর পাঁচটার দিকে ট্রাকে গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে হেলপার সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হিমেল নামে আরো একজন আহত হন। হিমেলকে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে হিমেলকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত যুবকের নাম ছাড়া পুরো পরিচয় জানা যায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢামেকের মর্গে রয়েছে। আহত হিমেল জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লায় তরুণী দিয়ে ফাঁদ পাতা হতো। প্রেমের অভিনয় করে নিয়ে যেতো কোনো বাসায়। শারীরিক সম্পর্কের ছবি তুলে রাখা হতো। সেই ছবি দেখিয়ে খালি স্ট্যাম্পে সই রাখা হতো। ভুয়া পুলিশ ও সাংবাদিক সেজে ভয় দেখানো হতো। এভাবে কুমিল্লা শহরতলীর এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আদায় করেছে একটি চক্র।
আজ ৪ মে শনিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভুয়া পুলিশ ও সাংবাদিক সেজে এক নারী সদস্যকে দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রবাসীর বাবার নিকট থেকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তারা হচ্ছেন-কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সুবর্ণপুর গ্রামের ভুয়া ডিবি পুলিশ সৈয়দ আয়াতুল্লাহ (৩৭), বালুতোপা গ্রামের কবির হোসেন (২৮), একই গ্রামের ভুয়া ডিবি সদস্য ইমরান হোসেন (৪০), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ভুয়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের আবদুর রহিম (৪২), লাকসামের বিজরা গ্রামের শাখাওয়াত হোসেন (২৮) ও চান্দিনার কেশরা গ্রামের তাসনুবা আক্তার (২৩)।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে শুক্রবার রাতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্ট্যাম্প, তার স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনে থোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে আগামী ২ মার্চ শনিবার রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হবে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাবমেরিন ক্যাবল (সি-এমই-ডব্লিউই-৪) সিস্টেমের সিঙ্গাপুর প্রান্তে কনসোর্টিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য আগামী ২ মার্চ সকাল ৭টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এই ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো আংশিক বন্ধ থাকবে। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন (সি-এমই-ডব্লিউই-৫) ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় হারানো ১৪৩টি মোবাইল ও প্রতারকের খপ্পরে পড়ে খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে সাতক্ষীরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।
আজ ২৫ জুন রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মোবাইল ও উদ্ধারকৃত টাকা ফেরত দেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, ডিবির ওসি তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার এএমজে সোহেল, ডিআইও ওয়ান ইয়াসিন আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মে-জুন মাসে ১৪৩টি হারানো মোবাইল প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। যার মূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া বিকাশে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ১০ জন গ্রাহকের খোয়া যাওয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মোবাইল ও টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের এই সেবা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবা অব্যহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ভারতীয়দের জন্যও অনুকরণীয়। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশেরই মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের যে মিল রয়েছে তা পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অব্যাহত থাকবে।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা সারা পৃথিবীর কাছে অনুকরণীয়। বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নয়নের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, মার্চ মাস হলো বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাস। এই মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এই মাসেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
এবারের সাদাছড়ি দিবসের স্লোগান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে- ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাদাছড়ি বিতরণ, আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাবমতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে। যাতে যারা চোখে দেখে তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই দিবসটি পালন শুরু হয়।