চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে আরো ৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় আখাউড়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামসেদ শাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভূমিহীন গৃহহীন ব্যক্তিদের মাঝে ঘর প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথথিবীতে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন। পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র প্রধান আজও এধরণের কোন মহৎ উদ্যোগ নেয়নি। আজকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ব্যক্তিরা ভ‚মি ও ঘর পেয়ে হাঁস-মুরগি, গরু, ছাগল লালন পালন করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষাবাদ করে আয় রোজগার বাড়ানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলায় ৬৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মুসলেহ উদ্দিন আহম্মদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মূলক ট্রেন গেল ভারতের আগরতলায়। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশের রেলের ৬ জন স্টাফ নিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর নব নির্মিত রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫টি মালবাহী বগি নিয়ে একটি ট্রায়াল ট্রেন আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর বুধবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশর ট্রেন নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়ায় ট্রেন চালক মো. মাফুজুর রহমান বলেন, একজন চালক হিসেবে প্রথম বারের মতো আমাদের ৬ জন স্টাফ নিয়ে আগরতলায় যাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই মেঘা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথের বাংলাদেশ অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে বিলম্ব হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রামের খান পরিবারের মেয়ে মেধা, লাবন্য ও প্রীতি। সম্পর্কে আপন চাচাতো বোন। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পর এবার এইচএসসিতেও মেধার স্বাক্ষর রেখে ভালো ফল করেছে। মেধাবী এই তিন বোন এবছর ঢাকা বোর্ডের হলিক্রস কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে পরীক্ষা অংশ নিয়ে দুজন জিপিএ-ফাইভ ও একজন সামান্য পয়েন্টের জন্য জিপিএ-ফাইভ বঞ্চিত হয়েছে। এই তিন সুকন্যা ২০২১ সনে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল। সন্তানদের কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য তাদের অভিভাবকরাও খুশি ।
জানা যায়, দেবগ্রামের ঐতিহ্যবাসী খান পরিবারের সাবেক ব্যাংকার কামাল আহাম্মদ খানের মেয়ে নুরে জান্নাত লাবণ্য ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৪.৮৩ পেয়েছে। প্রভাষক মোহাম্মদ জাবেদ আহাম্মদ খানের মেয়ে তাসনিম জান্নাত মেধা ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়েছে এবং সাংবাদিক বাদল আহাম্মদ খানের মেয়ে তোফাতুল জান্নাত প্রীতি ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়েছে। তাদের তিনজনের মা-ই সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক।
দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, এই তিন বোন এসএসসিতেও ভালো ফলাফল করেছিল।
এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করায় তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে পরিবারের মুখ উজ্জল করে দেশের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ খান পরিবারে একটি শিক্ষা সচেতন পরিবার। এ পরিবারে সরকারি চাকরীজিবি, চিকিৎসক, শিক্ষক, ব্যাংকারসহ সাংবাদিকও রয়েছে।
জানতে চাইলে প্রীতির বাবা সাংবাদিক বাদল আহম্মেদ খান বলেন, এই ফলাফলের প্রথমে মেয়েকে অভিনন্দন জানাই। সে মা-বাবার আদর স্নেহ ছেড়ে ঢাকায় থেকে পড়ালেখা করেছে। আমার স্কুল শিক্ষক সহধর্মিনী কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সর্বোপরি শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি তাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় ৩২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ২ সহোদরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া (৪৬) ও লোকমান মিয়া (৪২)। এই সময় মাদক বহনকারী দুটি সিএনজি জব্ধ করা হয়।
র্যাব-৯, সিপিসি -১, হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ধরখার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ভাই ভাই বেকারির সামনে অভিযান পরিচালনা করে দুটি সিএনজি থেকে ৩২ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে কম দামে গাজা সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করত।
র্যাব-৯, সিপিসি-১ সূত্রে জানা যায়, আসামী লোকমান মিয়া একজন চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
এ বিষয়ে র্যাব-৯, সিপিসি-১, হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের’কে গাজা ও সিএনজিসহ আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মোবাইল দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের জেড়ে প্রাণ দিতে হলো নববধূ তাছলিমা আক্তারকে। নববধূকে হত্যাকারী ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদ (২৮) কে আটক করা হয়েছে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। আব্দুল হামিদ উজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র।
এর আগে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় গলা কেটে মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
আব্দুল হামিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আব্দুল হামিদ জানিয়েছে তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলে সাথে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে তার স্ত্রী মোবাইল ধরতে বারণ করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুঁড়ি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী পুত্র আব্দুল হামিদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে হামিদের বাড়িতে শোর চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে দেখেন বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় নববধু তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ল্যাঃ কর্ণেল আরমান আরিফ, পিএসসি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামীকে আটক করেছে। পরে থানায় সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে এই রেলপথ। উদ্বোধনের আগে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত একটি খালি কনটেইনার ট্রেন চালানো হয়েছে।
এ সময় রেলপথ নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ও আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে দেড় বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগছে পাঁচ বছরেরও বেশি। রেললাইনের কাজ শেষ হলেও ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন এবং প্ল্যাটফর্মের ফিনিশিং কাজ এখনো চলছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। ট্রেনটি ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলেছে। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।