চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল ও এসএসসি ২০২৩ পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক।
এ সময় বক্তব্য রাখেন লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউসার বেগম, চার গ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসাইন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাত জাহান,অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদুল্লাহ প্রমুখ।
এদিকে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একই দিনে ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির আহমেদ সরকার পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটা সিদ্দিক।
আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, মুরাদ পারভেজ, মনা মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাগরিক সংগঠন নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে৷
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র অডিটোরিয়ামে নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন শেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোন আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভূঞা, সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকারিয়া সরকার তসলিম, কোষাধ্যক্ষ সামসুদ্দোহা (সারোয়ার), সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ইমাউল হক সরকার টিটু, সদস্য এডভোকেট মোর্শেদ হোসেন কামাল, মেজর জেনারেল (অবঃ) কামরুজ্জামান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়িতে মায়ের লাশ রেখে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিল সাদিয়া আক্তার। চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ওই শিক্ষার্থী।
আজ ৩ মে বুধবার ভোররাতে তার মা জলি আক্তার (৩৭) ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাদিয়া আক্তার পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আকানগর গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। সে মধ্যনগর নানার বাড়িতে থেকে সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।
জানা যায়, জলি বেগম বুধবার ভোররাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার লাশ বাড়িতে আসার পর বাড়িজুড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়, স্বজনরা যখন মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, মায়ের মৃত্যুর পর সাদিয়া ভেঙে পড়লেও স্বজনদের কথায় মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখেই এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা শেষে সাদিয়া বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর আসর নামাজের পর মধ্যনগর গ্রামে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে সাদিয়া আক্তার পরীক্ষার কেন্দ্রে আসে। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় তৃতীয় দিনের ইংরেজি প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।
সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ আলী বলেন, মা হারানো শিক্ষার্থী সাদিয়া খুবই মেধাবী। পরীক্ষার কক্ষে মাঝে মধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা তাকে উৎসাহিত করেছে। তবে মাঝে মধ্যেই তাকে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষার খাতায় লিখতে দেখা গেছে। সাদিয়ার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সবাই জানতে পেরেছিলাম। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিয়েছি।
সাদিয়া আক্তার জানায়- মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। মায়ের আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বলেন, পরীক্ষার্থীর মায়ের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। তাকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্র সচিবকে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরে আলমের বিরুদ্ধে চাঁবাবাজীর মামলা হয়েছে। ২ মার্চ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে নয়জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর মামলা করা হয়।
নবীপুর গ্রামের আবু কালামের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। অন্যান্য আসামীরা হলেন, ওই ইউনিয়নের দড়িলাপাং গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাদিস মিয়া, জাহের আলী মেম্বারের ছেলে শাহ জালাল, কবির মিয়া, সাইফুল মিয়া, মুর্শিদ মিয়া, রুস্তম আলী ছেলে হযরত আলী, শাহ কামালের স্ত্রী সালেহা বেগম, মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আক্তার হোসেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ‘পিবিআই’কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবীপুর গ্রামের কালাম মিয়ার সাথে চেয়ারম্যান নুর আলম ওরুফে নুরে আজ্জম ও তার গ্রুপের সাথে বিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার বাহিনী লিপি বেগমও তার স্বামী কালামকে পথে আটকিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ শ্রীলতাহানী ঘটায় এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ২ ফর্দ নন জুডিসিয়াল খালি ষ্ট্যাম্প তাদের দু’জনের স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনা ‘কাউকে জানালে বা মামলা মোকদ্দমা করলে তার স্বামীকে খুন করে মেঘনা নদীতে ভাসাইয়া দিবে’ প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নূরে আলম তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলার বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক প্রাথমিক শিক্ষা, এই শ্লোগানে আজ ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার নবীনগরে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদেরকে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।উক্ত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজের সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল চৌধুরী, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুুম, মোঃ মনসুর আলী, মতিউর রহমান, নবীনগর মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আবু কাওছার, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন প্রাথমিক স্কুলের সদ্য নিযয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। আপনারা জাতি গড়ার কারিগর, আপনাদের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গয়ে উঠবে। আপনাদের মেধা এবং শ্রম দিযয়ে এই উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে আপনারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সাথে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সিয়াম নামে (৬ বছরের) শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়ে গেছে। সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে দিনভর নিখোঁজ রয়েছে ওই সন্তানের মা রিনা বেগম। নিখোঁজ সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার আলিয়াবাদ গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রায়হান মিয়ার ছেলে, রিনা বেগম তার স্ত্রী ।
সরেজমিনে নিখোঁজ সিয়ামের বাড়িতে গেলে তার চাচা ওবায়দুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল দশটায় রিনা তার ছেলে সিয়ামকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়,চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ আনতে গেলে সেই সময় হারিয়ে যায় সিয়াম। হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি, ওই সময় হাসপাতালের সামনে থাকা এক পথচারী রিনাকে বলেন, একটি ছেলে রসুল্লাবাদ গ্রামের অটোরিকশায় উঠতে দেখছি। এই কথা শুনে রিনা ছেলের খোঁজে বেড়িয়ে যায়। আমাকে দুপুর ১ টার দিকে ফোন করে সিয়াম নিখোঁজ হওয়াসহ এসব কথা জানান রিনা। তখন রিনা নবীনগর ফল বাজারে আছে এবং তার মোবাইলে চার্জ নেই একথাও আমাকে বলেছে। এটাই ছিলো তার সাথে শেষ কথা। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।সংবাদ পেয়ে আমরাও সিয়ামকে খোঁজতে বেড়িয়ে যায়।
এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ছবি দিয়ে নিখোঁজ হবার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। দিন শেষে রাত হয়ে গেলো এখনো তাদের কোনো খোঁজখবর পাইনি।একদিকে ছেলে নিখোঁজ অন্য দিকে ছেলেকে খোঁজতে গিয়ে মা নিখোঁজ। এই ঘটনার পর থেকে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা নবীনগরে এলাকাবাসী ভীড় করছে সিয়ামদের বাড়িতে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মা ও ছেলের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বাজারের সিসি ক্যামেরা ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে না তাদেরকে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে,পুলিশ এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।