চরচারতলা ও চরলালপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে ইজারাদারদের ড্রেজারে ঢালাও ভবে বালু উত্তোলনের ফলে, মেঘনা নদীর পূর্বপাড়ে লালপুর এলাকায় কৃষি জমিতে ব্যাপক হারে ভাঙ্গনের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগটি খতিয়ে দেখে জনস্বার্থে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন, সরাইল-আশুগঞ্জ এলাকার সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা শিউলী আজাদ এবং জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মেঘনা নদী থেকে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনের তথ্য জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার অচল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদী বন্দরের কার্যক্রম। চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবারও চলছে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠা-নামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শত শত শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
আশুগঞ্জ নদীবন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদীপথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তৈল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক সভা আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা, যাতায়ত ভাতা দশগুণ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক পদে পদায়ন, এইচ, আই, ও এ এইচ আইদের সুপারভিশনের জন্য মটরসাইকেল প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশনসহ সরকারি কর্মচারিদের সকল দাবি বাস্তবায়ন।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতির জেলা কমিটির আহ্বায়ক এম. আবদুল বাছেদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমিতির নেতা মো. মনির হোসেন, মো. হুমায়ন কবির, মো. আজম খান, সেলিনা আক্তার, খন্দকার মো. হানিফ, মোছা. সালমা বেগম প্রমুখ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পুলিশের জব্দ করা গাড়ি ব্যক্তিমালিকানাধীন গ্যারেজে রেখে মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া থানার আঙিনায় রাখা মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা গাড়ি থেকেও খুলে নেওয়া হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
জানা যায়, দেশের মাদক কারবারের অন্যতম ট্রানজিট পয়েন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ। এই উপজেলার ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। আশুগঞ্জে প্রবেশের কিছুদূর আগেই এর সঙ্গে মিলিত হয়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। দুটি মহাসড়কের সংযোগস্থল ও মেঘনা পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় এটি মাদকের অন্যতম বর্ডার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও সিলেটের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন মাদকের বিপুল পরিমাণ চালান আশুগঞ্জ হয়ে ঢাকায় পাচার হচ্ছে। ফলে পুলিশের অভিযানে প্রায় প্রতিদিনই আটক হচ্ছে মাদক পাচার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, সিএনজি, কনটেইনার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিনে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তিনটি বড় ট্রাক, একটি পিকআপ ভ্যান এবং ডায়না গাড়ি আটক করে। নিয়মানুসারে আটক করা এসব গাড়ি থানা হেফাজতে না রেখে মহাসড়কের পাশে কবির সরকার নামের একজনের ব্যক্তিমালিকানাধীন গ্যারেজে রাখা হয়েছে। গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চোরাইভাবে বিক্রির সুবিধার্থেই এসব গাড়ি থানায় না নিয়ে উক্ত গ্যারেজে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে এসব গাড়ির ব্যাটারি, টুলবক্সের যন্ত্রাংশ, জগসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে বা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এসব গাড়ি থেকে তেল বের করেও বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ইয়াছির হাজারি নামের এক ট্রাক মালিক জানান, তার অসাধু ড্রাইভার হুমায়ূন কবির টাকার লোভে ট্রাকে এক মাদক কারবারির গাঁজা নিয়ে গাড়িসহ আটক হয়। অথচ সেসময় তার ট্রাক নিয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বালু আনতে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি তার গাড়িটি ফেরত পেতে আদালতে আবেদন করছেন। এর মধ্যেই কবির সরকারের গ্যারেজ থেকে তার গাড়িতে পুরাতন (নষ্ট) চাকা লাগিয়ে রিংসহ নতুন চাকাগুলো নিয়ে গেছে বলে তিনি জানতে পারেন। হাড়ির টুলবক্সেও কোনো যন্ত্রপাতি নেই। এছাড়া প্রায় আড়াই শ লিটার ডিজেল খুলে নেওয়া হয়েছে। চুরি হওয়া মালামালের মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে তিনি দাবি করেন।
তবে গ্যারেজ মালিক কবির সরকার বলেন, গাড়িগুলো পুলিশি পাহারায় রাখা হয়। গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাটারি ও ত্রিপাল খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবল জানান, থানায় আটক শত শত মামলার আলামতের গাড়ির কোনোটিরই যন্ত্রাংশ অক্ষত নেই। রাতের আধাঁরে কবির সরকারের লোকজনকে দিয়ে এসব যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়েছে। সচল গাড়িগুলোকে আটক করা হলেও এর কোনটিই এখন চলার উপযোগী নয় বলে তারা জানান। তাদের ঊর্ধ্বতন অফিসাররা জড়িত থাকায় এ বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারেন না।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় কর্মরত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্যারেজ মালিক কবির সরকারের সঙ্গে টিআই অযুত কুমার দাস ও ট্র্যাফিক সার্জেন্ট জহিরুল ইসলামের রয়েছে অন্যরকম দহরম-মহরম। সার্জেন্ট জহিরুল আশুগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগসাজশে যন্ত্রপাতি চুরির উদ্দেশ্যে জব্দকৃত গাড়িগুলো কবির সরকারের গ্যারেজে নিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, থানার জায়গা স্বল্পতায় গাড়িগুলো অন্য গ্যারেজে রাখা হয়েছে। তবে যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও কুফল বিষয়ে সচেতনতা
স্টাফ রিপোর্টার:
আশুগঞ্জে বাল্যবিয়ের কারণ, কুফল ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের ‘তারুণ্যের কণ্ঠের’ আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহয়োগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে এ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধ শতাধিক ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক ও উপজেলার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ^াস।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও তারুণ্যের কন্ঠের কর্মকর্তা সজীব দত্তের উপস্থপানায় বাল্য বিয়ের কারণ, কুফল ও প্রতিকার বিষয়ে মতবিনিময় করে শিক্ষার্থী, অভিভাবকগণ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাল্য বলেন, বিয়ে প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হয়ে মিলিতভাবে প্রতিরোধ করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, মতবিনিময় বিষয়ক এ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হবে।
মো: রবিন, আশুগঞ্জ থেকে :
নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে আশুগঞ্জ উপজেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১০ মে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নবগঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোঃ সাদেকুর রহমান।
এছাড়া আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে নবগঠিত জেলা কমিটিতে ঠাই পাওয়া আশুগঞ্জের নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। আমরা সকল নেতৃবৃন্দ আগামীদিন জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে কাজ করবো। দলকে সু-সংগঠিত করবো।