চরচারতলা ও চরলালপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে ইজারাদারদের ড্রেজারে ঢালাও ভবে বালু উত্তোলনের ফলে, মেঘনা নদীর পূর্বপাড়ে লালপুর এলাকায় কৃষি জমিতে ব্যাপক হারে ভাঙ্গনের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগটি খতিয়ে দেখে জনস্বার্থে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন, সরাইল-আশুগঞ্জ এলাকার সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা শিউলী আজাদ এবং জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মেঘনা নদী থেকে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গনের তথ্য জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশসানের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক র্অপণ, ডিসপ্লে প্রর্দশনী, পুরষ্কার বিতরণসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে লিফলেট বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। তিনি সড়কপথে ঢাকা থেকে আশুগঞ্জে পৌছেই তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত ছেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি আশুগঞ্জের মুন্সি মাকেট থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। আশুগঞ্জ বাজারের প্রতিটি দোকানে লিফলেট বিতরণ শেষে আশুগঞ্জ বন্দরের ধানের গালাতে শ্রমিকদের সাথে শ্রমিকদের সুখ দু:খের কথা শুনেন। এসময় শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। রাজিব আহসানের সাথে শ্রমিকরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রাজিব আহসান তাদের কথা মনযোগসহকারে শুনেন।
এ সময় রাজিব আহসান স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা একেবারে তৃণমুলে পৌছে দেওয়ার জন্য তিনি শনিবার আশুগঞ্জে আসেন। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল এবং জনগণকে সাথে নিয়ে আগামীতে দেশ পরিচালনা করতে চাই।তার জন্য বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীদেরকে জনগণের সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করার জন্য আহবান জানান। জনগণ যেভাবে চাই সেভাবে মানুষের মিশে দলকে গ্রহনযোগ্য করে তোলার কাজ করতে হবে। জনগণের সাথে সুসম্পর্ক তৈরীতে ব্যর্থ হলে দল নতুন করে নতুন নেতৃত্ব খোঁজ করবে।দ্রব্যমুল্যে নিয়ন্ত্রনে সরকারকে আগের সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।এজন্য সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি এবং সহযোগিতা করব। তবে সরকারকে হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী আমলা এবং সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে। তার জন্য আরো কঠোর হতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন আগামীর বাংলাদেশে কোন ভোদাভেদ থাকবে না। বেশী টাকা, কম টাকা এসবের কোন বৈশম্য থাকবে না। মোট কথা বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করলে সাম্যতার নতুন বাংলাদেশ গঠন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসময় তার আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের টিম লিডার শফিক আহসান সোহান, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের আহবায়ক মো. আলমগীর খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিলীপ, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন এবং আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল বিপ্লব প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিননাথ দাস (৩৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কান্দাপাড়া এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন।
নিহত তিননাথ দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া গ্রামের পিছন দাসের ছেলে। তিনি লালপুর বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার ভোরে তিননাথ দাস বাড়ি থেকে লালপুর বাজারে মৎস্য আড়তে যাওয়ার সময় কান্দাপাড়া সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় একদল ছিনতাইকারী তার ওপর আক্রমণ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা প্রায় এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তরুণ কান্তি দাস জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।