চলারপথে রিপোর্ট :
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আখাউড়া প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুয়েল মজুমদার, উপজেলা যুবলীগের য্গ্মু আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাক হান্নান খাদেম, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল হোসেন মামুন প্রমুখ।
এর আগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যার উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এসময় বক্তারা ২৫ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরেন বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সেই রাত্রে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালী জাতির উপর নির্মম ধ্বংষযজ্ঞ চালায়। পৈশাচিক নির্যাতন করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৩ জুন সকালে সড়ক বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে।
শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। এসময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাম প্রকাশ করে নেতাকর্মীরা। শোভাযাত্রা শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা হয়। পরে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে দু’শতাধিক বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরোপন করা হয়।
এরআগে সকাল সাড়ে ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের সঞ্চালনে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ (অব.) মোঃ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ রোকসানা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
‘বাংলা ইশারা ভাষার প্রচলন, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া উপজেলা প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবন্ধি বিষয়ক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবদুল মমিন বাবুল, কনসালটেন্ট ফিজিওথেরাপি এ. এইচ. মামুন ভূঁইয়া, স্পিস এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ আশারুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন প্রতিবন্ধি ও তাদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টেকনিশিয়ান আব্দুর রহিম। পরে উপজেলা চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কালের কণ্ঠ’র সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ক্লিনিক গুলোতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে সকল আসামিকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানানো হয়।
এদিকে ঘটনার হোতা সুমন মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ৬ আগস্ট রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তার জামিন প্রার্থনা করা হলে নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তার জামিন নামঞ্জুর হলো।
২৮ জুলাই আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় দৈনিক কালের কণ্ঠ’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরো অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আশীষ সাহা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ পৌর এলাকার দেবগ্রামের (বরিশলের সাবেক বাসিন্দা) মাহফুজ মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কর্মবিরতি পালন করা হয়। বেলা ৩টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাধানগর চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন কার্যকরী সদস্য মো. আব্দুল আওয়াল।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম, সহসাধারণ সম্পাদক সুবল দাস, মো. রওশন মিয়া, পরিমল সাহা, কুদ্দুস মিয়া, শফিক মিয়া, বাবুল মিয়া, মো. পলাশ, জহর লাল চৌহান মো. আমীর, তুহিন মিয়া, দিব্যজিত পাল, বিশাল সাহা প্রমুখ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকব জহর লাল সাহা শারীরিক অসুস্থতায় উপস্থিত না থাকলেও কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মী রানী দাস। তিনি ভারত থেকে স্বামী ও সন্তান নিয়ে আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসেন।
যাত্রাকালে আগরতলা ইমিগ্রেশনে সুষ্ঠু ও স্বাচ্ছন্দ্যে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে এলেও আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনে এসে রীতিমত অবাক হক তিনি। বসারও সুব্যবস্থা নেই এখানে।
ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করতে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ালেও ছোট কক্ষটিতে নেই কোনো ফ্যান। হঠাৎ ১২ বছর বয়সী ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেবা করার জন্য কোনো স্থান না পেয়ে ইমিগ্রেশন ভবনের এক কোনায় বসে তার সেবা যত্ন করেন। আশেপাশে ছিল না কোনো টিউবওয়েল। যাও বা ট্যাংকের পানি জুটেছে, তাও তীব্র তাপদাহে তপ্ত। তা দিয়েই ছেলেকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান।
লক্ষ্মী রানী দাসের বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশনে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ও সুন্দর পরিবেশে আরামে সব কাজ করে এসেছি। বন্দর থেকে গাড়িতে আমাদের ফ্রি চেকপোস্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। অথচ আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে এসে নাজেহাল হতে হলো। এখানে কোনো কিছুরই সুব্যবস্থা নেই। একতলা পুরোনো ভবনের ছোট্ট কক্ষে শত শত লোক ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে। এখানকার ইমিগ্রেশনের অব্যবস্থাপনা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। এখানে যাত্রীদের জন্য পরিষেবা বাড়ানো উচিত। আশা করব, বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের যাত্রীদের কথা বিবেচনায় এনে ইমিগ্রেশন উন্নত করবে।
আগরতলা থেকে আসা আরেক যাত্রী খোকন মিয়া বলেন, আমি গত ছয় বছর ধরে এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করছি। ইমিগ্রেশনটি যে হালতে দেখেছিলাম, সে হালতেই আছে। একজন রোগী এলে যে বসবে, সে উপায় নেই। এখানে যে পরিমাণ জায়গা দরকার, সে তুলনায় খুবই কম আছে।
বন্দরটি ঘুরে দেখা গেছে, মূলফটক পার হলেই একতলা বিশিষ্ট তিন রুমের একটি ভবন। এর মধ্যে দুটি ছোট রুম ও একটি মাঝারি রুম। একটিতে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ বসেন, আরেকটি হচ্ছে ব্যারাক। মাঝারি কক্ষটিতে চলে অফিসের কার্যক্রম। পুরোনো ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে গেছে। প্রতিদিন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই গাদাগাদি করেই চলে কার্যক্রম। যাত্রীদের মালপত্র বারান্দায় রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বসার জন্য ইমিগ্রেশন কক্ষে কোনো জায়গা নেই। আর বাইরে টিনের একটি ছাউনি আছে, যেখানে ১৫/২০টি চেয়ার থাকলেও কোনো টেবিল নেই। অথচ ফরম পূরণ করতে টেবিল প্রয়োজন। ফরম পূরনের জন্য দেখা গেছে কেউ বারান্দার মেঝেতে বসে, আবার কেউ কেউ বিদ্যুৎতের জেনারেটরের ওপরে ফরম রেখে পূরণ করছেন। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্রামের জন্যও জায়গা নেই। কক্ষটিতে এসির ব্যবস্থা থাকলেও ভিড় থাকায় যাত্রীদের লাইন কক্ষের বাইরে বারান্দায় চলে যায়। ফলে এসিগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় গরমে কষ্ট সহ্য করে ইমিগেশনের কাজ শেষ করতে হয়।
তবে বিড়ম্বনা এখানেই শেষ নয়। কাস্টমসের কাজ করতে পাড়ি দিতে হচ্ছে অন্তত দুইশ গজ দূরবর্তী অন্য আরেকটি ভবনে। মূলত এক ভবন ও এক ছাদের নিচে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ করতে না পারায় তাদের দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে চালু হয় আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম। সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট থেকে অনেকেই আখাউড়া ইমিগ্রেশন ব্যবহার কররে ভারতে যাতায়াত করছেন।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন অত্যন্ত এক হাজার যাত্রী দুই দেশে যাতায়াত করছেন। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ভারতে যান। যা থেকে প্রতি মাসে ৭৫ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে সরকারের। বিগত ছয় মাসে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
এদিকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন আধুনিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ২০১৭ ও ২০১৯ সালে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
মৌলভীবাজার জেলা থেকে ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, আমি ইমিগ্রেশনের পরিবেশ দেখে হতবাক হয়ে গেছি। এখানে লাইনের কোনো শৃঙ্খলা নেই। কোনো ধরনের আধুনিকায়ন নেই। অথচ আগরতলা ইমিগ্রেশনের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফারহানা মিলি নামে এক নারী চিকিৎসক তার বাবার চিকিৎসা জন্য ভারতে যাওয়া সময় আক্ষেপ করে বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশন ও আখাউড়া ইমিগ্রেশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমাদের এখানে ভালো ব্যবস্থা নেই। মালপত্র রাখার জায়গা পাই না। আরেকজনের কাছে পাহারা দিয়ে রাখতে হয়। বছরের কয়েকবার যেতে হয়। তবে এর উন্নতি দেখছি না। এখানে দ্রুত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগুক সেই কামনা করি।
মুক্তি খান নামে এক যাত্রী বলেন, বর্তমানে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নামেমাত্র টিকে আছে। জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হচ্ছে। স্থায়ী ভবন তৈরির পর এক ছাদের নিচে সব পরিষেবা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশিদের আসা যাওয়া আরও বেড়ে যাবে। যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগও লাঘব হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালানোর জন্য যে ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে, তা খুবই অপ্রতুল। নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে সেবার মান বাড়বে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করলেও ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের পর্যাপ্ত সুবিধার কমতি রয়েছে। আমাদের নতুন একটি ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ চলছিল, তা বিএসএফের বাধায় বন্ধ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কথা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে আমরা ভবনটির কাজ আবার শুরু করতে পারব। এছাড়া বলে রাখি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখানে একটি আধুনিক বন্দর নিমার্ণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ৩.৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ হাতে নিয়েছি। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। যাত্রীসেবার মানও উন্নত হবে।
তিনি আরো বলেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এবং আধুনিক স্থলবন্দরটি তৈরি হলে আখাউড়াই হবে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থলবন্দর।