চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীসহ ২ জন আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নীলাখাদ এবং গঙ্গাসাগর পশ্চিম দিঘির পাড় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন নীলাখাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার জহিরুল হকের ছেলে মোঃ নয়ন (৪৬) এবং দিঘির পাড়েরর সাগর মিয়ার স্ত্রী আলিফা আক্তার (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন মিয়া সকলের অগোচরে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গঙ্গাসাগর গ্রামের পশ্চিম দিঘির পাড় এলাকায় সাগর মিয়ার স্ত্রী নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দু’জনেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৫০ লাখ টাকার বেশি ভারতীয় আতশ বাজি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকার তারাগন থেকে এসব বাজি উদ্ধার করা হয়।
এ সময় পাচার কাজে ব্যবহার হওয়া একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন আখাউড়া কোম্পানি সদর বিওপি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডর কাজী ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানোর সময় ভোররাত পৌণে চারটার দিকে একটি পিকআপকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। এ সময় পিকআপ ফেলে এর চালকসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে নম্বরবিহনী ওই পিকআপ থেকে ২৪ বস্তায় থাকা ৭৮ হাজার ৭০ পিস ভারতীয় আতশ বাজি উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য প্রায় ৫১ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া আতশ কাস্টমসে জমা দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।
আখাউড়ায় প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যসামগ্রী ও মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-৬০) সদস্যরা এই ভারতীয় পণ্য ও মদ জব্দ করে। এদিন দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে উপজেলার গঙ্গাসাগর সীমান্তবর্তী জয়নগর খলাপাড়া এলাকায় সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৬০) টহল দলের অভিযানের সময় ৬৪৮ পিস ভারতীয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ডিসপ্লে, দুই লাখ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ট্যাবলেট, ২৪টি হুইস্কি মদের বোতল এবং ২৪টি বিয়ারের বোতল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি তিন লাখ টাকা।
এ সময় বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
রক্তদান হোক আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার, এই স্লোগানকে সামনে রেখে আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের হলরুম মিলনায়তন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাঁজালা পারভীন (রুহি)।
প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা) ডা. আসাদুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান, আখাউড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার আলাউদ্দিন সিরাজ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নাসির উদ্দিন প্রিন্সিপাল আখাউড়া টেকনিক্যাল আলিয়া মাদ্রাসা, সাজ্জাদ হোসেন সহকারী প্রধান শিক্ষক তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন হারুনুর রশিদ উপদেষ্টা অত্র সংগঠন। বিশেষ আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু, আবির, মোঃ শাহাবউদ্দিন আহমেদ, অপু সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা রবিন খান, হামজাদ হোসেন কাজী লুভনা আক্তার সহ অত্র সংগঠনের সকল সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মনির হোসেন মাস্টার উপদেষ্টা অত্র সংগঠন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে অবদান রাখাই আখাউড়া ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি এবং অত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক প্রধান করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যে এই সংগঠনটির সদস্যদের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠনটির সাফলতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকলের জন্য অত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে নির্যাতনের কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। এসময় বিএনপি নেতারা আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়ে গেছেন এরই প্রতিফলন এটা। বলা যায় এটা এক ধরণের পঞ্জিভূত ক্ষোভ। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে সেটি আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো লুটপাট করা। মেয়রের সাথে থাকতেন, আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে যেতেন এমন লোকজনও এই লুটপাটে অংশ নেয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আখাউড়ায় আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি ছিলো না। কেউ করতোও না। একদিন একটা মিছিল হয়। ৪ আগস্ট আরেকটি মিছিলে বাঁধা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। পরদিন আন্দোলনের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যোগ দিলে সেটি আরো জোরালো হয়। এ সময় মেয়রকে অনুরোধ করা হয় কিছুক্ষণ মিছিল করে সবাই চলে যাবেন। কিন্তু মেয়র এতে বাঁধ সাধেন। এরই মধ্যে বড় একটি মিছিল এসে পৌর এলাকায় ঢুকে। এরপরই মেয়র, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহবায়ক সেলিম ভূঁইয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন প্রমুখ। সভায় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।