চলারপথে ডেস্ক :
সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ তথ্য জানান তিনি।
হতাহত বাংলাদেশিদের মধ্যে অধিকাংশই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৮ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এ তালিকার ৮ জনই মৃত নয়। মন্ত্রণালয় বলছে, এটি নিখোঁজ বা মৃতের তালিকা।
এ তালিকায় যে ৮টি নাম রয়েছে সেগুলো হলো- শহিদুল ইসলাম (সেনবাগ, নোয়াখালী), মামুন মিয়া (মুরাদনগর, কুমিল্লা), মো. হেলাল (নোয়াখালী), সবুজ হোসাইন (লক্ষীপুর), রাসেল মোল্লা (মুরাদনগর, কুমিল্লা), মো. আসিফ (মহেশখালী, কক্সবাজার), মো. ইমান হোসাইন রনি (টঙ্গি, গাজীপুর) এবং বকু মিয়া (চাঁদপুর)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, সৌদি আরবে যে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ৩৫ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাংলাদেশিদের সৌদি আরবের বাংলাদেশ মিশন দেখভাল করছে বলেও জানান পররাষ্ট্রের মুখপাত্র।
এদিকে সৌদি আরবের আল-এখবারিয়া টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, সোমবার মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চ্যানেলটি নির্দিষ্ট সমস্যার কথা উল্লেখ না করে জানায় দুর্ঘটনা কবলিত ‘গাড়ির সমস্যা’ হয়েছিল।
অন্যদিকে সৌদির বেসরকারি সংবাদপত্র ওকাজ বলেছে, দুর্ঘটনাটি বাসের ব্রেকের সমস্যার কারণে হয়েছে। এর ফলে বাসটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।
আসির প্রদেশের ঘটনাটি ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা ও মদিনায় নিরাপদে যাওয়ার বিষয়টিকে কার্যত চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। রমজানে বহু মানুষ ওমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছেন এবং হজের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, এমন সময়ে এ ঘটনা ঘটল।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমার কাছে আলাদিনের কোনো প্রদীপ নেই, আমি দুর্নীতি, নীতি কোনোটার বিষয়ে তেমন বুঝি না। আমি বুঝি আইন অনুযায়ী, বিধি–বিধান অনুযায়ী কাজ করা। আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করলে কোনো দুর্নীতি হবে না। আর আইন ও বিধি অনুযায়ী যাতে কাজ হয় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আইন কানুন ও বিধি বিধান মেনে যেভাবে কাজ করা যায়, সেভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সিডিএর সঙ্গে বসিনি।
কাজের প্রোগ্রেস নিয়েও বসিনি। আমি কিছু নীতিগত কথাবার্তা বলেছি। আমরা সকলে যেন দেশপ্রেমের সাথে কাজ করি, আইনের বিধান মেনে কাজ করি। কাজের ব্যাপারে গৃহায়ণ গণপূর্ত, সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সংসদ সদস্যসহ সকলের সাথে যেন সমন্বয় থাকে সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
কাজে যেন সমন্বয় থাকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবন্ধতার সমস্যা আমার নজরে থাকবে। এটা সিওর থাকেন চট্টগ্রামে আজকেই শেষ না, বার বার আসব। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই আসব না, অন্য সময়ে এসেও কাজের মনিটিরং করব। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে কি না তা দেখা হবে।’
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দখলদার হটানোর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখলদারের উচ্ছেদের বিষয়টি সিডিএ চেয়াম্যান দেখবেন।’
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহরুল আলম দোভাষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল ৮৩ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ রকিব (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া এলাকার ইটাখোলা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, একজন মাদক ব্যবসায়ী পিকআপে করে গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া ইটাখোলা মোড়ের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে একটি পিকআপ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। র্যাবের দলটি সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পিকআপ থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে। পরে পিকআপ তল্লাশি করে গাড়ির পিছনের বডির উপরে একটি বক্সের ভিতর থেকে ৮৩ কেজি গাঁজা এবং আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নাম রকিব বলে জানান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রকিব পিকআপে করে গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ দিন গভর্ণমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ভোট চোর, ভোট ডাকাত ছিল- তারাই এখন গণতন্ত্র চায়! ভোটের অধিকারের কথা বলে! যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছ থেকে এসব কথা শুনতে হয়। এগুলো মাঠের কথা, মাঠেই থাকবে। আমরা জনতার সঙ্গে থাকব। জনতার পাশে থাকব। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব। জনগণের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, জণগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ভোটের মাধ্যমেই তো আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের বিশ্বাস ও আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি। আর কোনো শক্তি নাই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু- এটা মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে বুধবার গণভবনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে সেটাও কার্যকর করে যাচ্ছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ অর্জনগুলো নৎসাত করতে, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে তাদের একটা ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। কিন্তু অনেস্টি (সততা) থাকলে এবং পারপাস (উদ্দেশ্য) যদি সততার সঙ্গে হয় তাহলে যেকোনো জায়গায় সাফল্য আনা যায়। এই কথাটাই সব সময় মনে রাখি। লক্ষ্য একটাই- দেশের মানুষের জীবনটা উন্নত করা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন- দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। সেই হাসি ফোটানোটাই আমার একমাত্র কর্তব্য এবং সেটাই করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আজকে যখন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর দেই, ঘর পাওয়ার পরে তার মুখের হাসির চেয়ে বড় পাওয়া বা স্বার্থকতা আর কিছু নেই।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র, এটা নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? পঁচাত্তর সালের পর থেকে জিয়াউর রহমান ভোট চুরি, ভোট কারচুপি, ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করেছে বরং আওয়ামী লীগেরই নানা পদক্ষেপের ফলে আজকে বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে গণমুখী করা, জনগণের ভোট সম্পর্কে তাদের সচেতন করা হয়েছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- স্লোগান দিয়ে মানুষকে ভোট সম্পর্কে সচেতন করা- এটা তো আওয়ামী লীগই করেছে, আর কেউ না। নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করা হয়েছে, যেখানে ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা হতো, সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা হয়েছে, আইডি কার্ড- সবই তো আওয়ামী লীগেরই করে দেওয়া। সবই করে দিয়েছি আমরা। তারপরও যখন কেউ ভোট, গণতন্ত্র আর নির্বাচন নিয়ে আমাদের সবক দিতে আসে, সেখানে আর কিছু বলার নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভায় আরও ৭ জন প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হলেন। আজ ১ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
আগামী ৩ মার্চ রবিবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অনুষ্ঠানটি ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।
শপথ নেওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার, রাজশাহী-৫ আসনের আবদুল ওয়াদুদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের চার সংসদ সদস্য রোকেয়া সুলতানা, শামসুন নাহার, ওয়াশিকা আয়শা খান এবং নাহিদ ইজহার খান।
এর আগে আজই ৭ জন প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের টেলিফোনে বিষয়টি অবগত করা হয়। সরকারি পরিবহন পুল থেকে নতুন গাড়িও তাদের নিজ নিজ বাসায় পাঠানো হয়। নতুনদের নিয়ে মন্ত্রিসভার আকার গলো ৪৪ সদস্যের।
গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন।