চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সাদিয়া আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। নিখোঁজ সাদিয়া উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে। গত ১৬ মার্চ ভোরে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা ফারুক মিয়া।
সাধারণ ডায়েরির তথ্য থেকে জানা যায়, কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার রুবি। সম্প্রতি অজ্ঞাত এক ছেলে সাদিয়ার মোবাইলে ফোন করে কথা বলত। পরিবার বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করলেও মেয়ের কাছ থেকে ওই ছেলের নাম ও মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। গত ১৬ মার্চ ভোরে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন সাদিয়া ঘরে নেই। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত তার সাথে পরিবারের কোনো যোগযোগ নেই।
সাদিয়ার বাবা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে তা নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ঘটনার পর ওইদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। ১৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ মিলছে না। আমরা দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্ট অব্যাহত আছে। তার সন্ধান পেতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের এক দিন পর কচুক্ষেত থেকে মো. রাহিম নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২০ জুন শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর খালেরপাড় থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. রাহিম (১০) সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার আসাদ আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শিশু রাহিম সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়ার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থেকে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন। পরে ২০ জুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ির কাছে সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার জাফর খালেরপাড়ের কচুক্ষেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা শিশুটির স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শিশুর বাবা আসাদ আলী জানান, বছর খানেক আগে তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এরপর শিশুটি তার নানি বাড়িতে থাকতেন। শিশুটির মা জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার ছেলেকে কারা কী কারণে হত্যা করে থাকতে পারে – এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, নিহত শিশুটির মুখ এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জািতক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশী তৎপরতায় অল্পের জন্যে হামলার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে দুপুরে আশুগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান শেষে সরাইল উপজেলা সদরের গরুর বাজার এলাকায় সরাইল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান সভায় যোগ দেন তিনি।
সরাইলের সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরাইলের মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও আপনাদেরকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, বেগম জিয়ার ঘাঁটি। সরাইলের মানুষকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
এদিকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইলে আসার খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচালিয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সভা শেষে পুলিশী প্রহরায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌছামাত্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গাড়ীটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্র ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল-আশুগঞ্জের কেউ নন। তিনি এই এলাকায় বহিরাগত। তিনি প্রায়ই সরাইল এলাকার এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। আগামীদিনেও একইভাবে তার মিথ্যাচারকে প্রতিহত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জাতীয় পার্টির উপজেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের কালীকচ্ছ বাজারে জাতীয় পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সরাইল উপজেলা সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আলী নেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি হুসেইন মুহম্মদ শাওন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. মামুন, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতেহ মুহম্মদ ভুট্টো, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আবু তাহের, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত প্রমুখ।
সভায় আগামী ১৭ মে কর্মী সম্মেলনকে সফল করার জন্য হাফেজ মো. আলী নেওয়াজকে আহ্বায়ক ও মাহফুজ মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল হক মৃধা তাকে সিলেট অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ায় বেগম রওশন এরশাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদ ও জিয়াউল হক মৃধার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ওজনে কম দেয়ায় মেসার্স ভূইয়া ফিলিং স্টেশন নামক একটি পাম্পকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ ও বিএসটিআই কুমিল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত মেসার্স ভূইয়া ফিলিং স্টেশন নামক একটি পাম্পকে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই পাম্পে প্রতি ৫ লিটারে ডিজেল ও অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে ৫০ মি.লি. এবং ৯০ মি.লি. কম প্রদান করায় ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ এর ৪৬ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। উক্ত ডিসপেন্সিং ইউনিট দুইটি উল্লে¬খিত আইনের ১৫(৩) ধারায় এই অর্থদন্ড করা হয়।
এসময় বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের প্রসিকিউটর হিসেবে অফিসের কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) উপস্থিত ছিলেন।