চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী। রাতের বেলা ঈদের বাজার করতে আসা লোকজনকে লক্ষ্য করে টাকাপয়সা ও মালামাল ছিনিয়ে নিত তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচ যুবক হলেন- মো. শাওন ফরাজী (২৫), মো. সজিব (২৭), মো. শাহেদ (৩২), মো. জুয়েল (২১) ও মো. ইয়াছিন (৩০)।
কোতোয়ালি থানার এসআই মোমিনুল হাসান বলেন, গোপন খবর আসে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছিনতাইকারীরা অবস্থান নিয়েছে। এরপর সেখানে অভিযান চালানো হয়। ছিনতাইয়ের প্রস্তুতির সময় ছুরিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের যাচাই-বাচাই করে দেখা গেছে, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রোজার মাসে তাদের মূল লক্ষ্য ঈদের বাজারগামী লোকজন। তারা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থান করতো। ওই সময় বাজারে আসা যাওয়া করা লোকজনের কাছ থেকে টাকাপয়সা মালামাল ছিনিয়ে নিত।’
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রহিমা ওয়াদুদের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৭ মে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় মরহুমার মেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, পানিসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, তার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকর্মীসহ অন্যান্যরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বিভিন্ন স্তরের মানুষের পক্ষ থেকে মরহুমার কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
রহিমা ওয়াদুদের ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু বলেন, আমার মা সব সময় দেশের কথা ভেবেছেন, দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। আমি আপনাদের কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থী।
উল্লেখ্য, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান, সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। শিক্ষকতার জীবনে তিনি বহু শিক্ষার্থীর মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে শুরু করে সব মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন রহিমা ওয়াদুদ। তার মৃত্যুতে জাতি একজন নির্লোভ, দেশপ্রেমিক ও একনিষ্ঠ শিক্ষককে হারাল বলে মন্তব্য বিশিষ্টজনদের।
এর আগে ৬ মে শনিবার দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন রহিমা ওয়াদুদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু ও মেয়ে ডা. দীপু মনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ২শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের মাঝে এই প্রণোদনা সার ও বীজ বিতরণ করেন।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের সভাপতিত্বে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ ইমরান ভূঁইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, উপজেলা সমবায় অফিসার আজিজুর রহমান, তথ্য সেবা অফিসার ইতি রাণী দেবী, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১হাজার ২শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।
প্রতি কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ ট্রাকে যাত্রী বহন, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, মাহেন্দ্র, সিএনজি ও অটোসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রীদেরকে নানাভাবে হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ জন চালককে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৬টা থেকে সোয়া ৬টার সময় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম সাজ্জাদুল হাসান। ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড, আমুয়াকান্দা মোড় ও ভাষা সৈনিক এম শামসুল হক চত্ত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪টি যানবাহনকে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর আওতায় মোট ৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফুলপুর থানার অফিসার ইন চার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেকেন্ড অফিসার এসআই সুমন মিয়া, এসআই রবিউল, এসআই আব্দুল খালেক, এএসআই আব্দুল বাসেদ প্রমুখ। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারেন এবং ঈদশেষে আবারও নির্বিঘ্নে কাজে যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে ১৫শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ ভুঁইয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শওকত আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবেল মিয়া, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলী আহমদ প্রমুখ।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার ১৫০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৫ কেজি উচ্চ ফলনশীল আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ-১/২০২৩-২৪ মৌসুমে উফশী আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়ার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে তদারকি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলার ১৫শ কৃষককে ১০ জনের গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপকারভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মাঝে রয়েছে উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের ২৩০ জন, মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৮০ জন, কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ৩০০ জন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ১০ জন, উত্তরদা ইউনিয়নের ৮০ জন, আজগরা ইউনিয়নের ২৮০ জন, লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ২৯০ জন ও পৌরসভা এলাকার ২৩০ জন।