দ্বিতীয় জুমায় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

জাতীয়, 31 March 2023, 958 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমাতেও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল। ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল মসজিগুলো।

আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের আজানের আগ থেকেই মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি শুরু হয়। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করেন। বেলা সোয়া ১২টা পার হতেই মুসল্লিদের ঢল নামে জাতীয় মসজিদে। বেলা ১টা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর-বাহির প্রাঙ্গণ। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। ভেতরে তিল ধারনের জায়গা না থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উত্তর গেটের বাহিরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।

বায়তুল মোকাররমে খুৎবা পেশ করেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এদিকে রমজান মাসের দ্বিতীয় জুমায় রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম ছাড়াও হাইকোর্ট জামে মসজিদ, লালবাগ শাহী মসজিদ, চকবাজার শাহী মসজিদ, গুলশানের আজাদ মসজিদ, ধানমন্ডি সেন্ট্রাল মসজিদ, সোবহানবাগ মসজিদ, মহাখালীর মসজিদে গাউছুল আজম, বনানী বাজার মসজিদ, মহাখালী বায়তুল মাহফুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, মতিঝিল ওয়াপদা মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জামে মসজিদে লাখো লাখো মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। এসব মসজিদের নামাজের খুতবায় রমজানের বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরে বয়ান করা হয়।

এছাড়াও জুমার নামাজ শেষে খতিব ও ইমামগণ দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ মাসটি হলো মাহে রমজান। আর সপ্তাহের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র জুমার দিন।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

নাসিরনগরে স্কুল কমিটির ভোটে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২০

জাতীয়, 12 April 2023, 924 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার চাতলপার ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে চাতলপার ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যেখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২শ ৫৫ জন। ভোট শুরু হওয়ার পর নির্বাচনের প্রার্থী আশরাফ ভুঁইয়ার সমর্থক আমিনুল ও রাজু ভুইয়ার সমর্থক অসীম কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে বিতন্ডায় জড়ায়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় হওয়া সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এছাড়াও সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ্ বাশার বলেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ফের সংঘর্ষ যাতে না হয় পুলিশ তৎপর রয়েছ। এ ব্যাপারে ১২ এপ্রিল বুধবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দিতে আসেনি বলেও জানান ওসি।

সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলেই ২ থেকে ৭ বছরের জেল

জাতীয়, 19 December 2023, 334 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলেই ২ থেকে ৭ বছরের জেল হবে।

তিনি বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব ও সহযোগী হিসেবে রাখতে সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন তারা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে! সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবেন।

আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবিব খান বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একজন ভোটার নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবেন। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি, করবো। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।

ইসি আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনও ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টিকিট কালোবাজারিতে সহজ ডটকম ও রেলের কর্মচারীদের সিন্ডিকেট

জাতীয়, 26 January 2024, 292 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি ও তদারকির পরও থেমে নেই কালোবাজারি। এই কালোবাজারির কারণে সাধারণ ক্রেতারা সহজে টিকিট পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

আদতে টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বরত, তারাই জড়িত এই কালোবাজারির সিন্ডিকেটে।

এই চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিটপ্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।

বাড়তি এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় সরাসরি সিন্ডিকেটে জড়িত সদস্যরা। আর বাকি ৫০ শতাংশ চলে যায় কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের হাতে। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় শুধু দুটি সিন্ডিকেটের হাতেই প্রতিদিন চলে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ টিকিট।

দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), মান্নান (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), ফারুক (৬২), শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), জুয়েল (২৩), আব্দুর রহিম (৩২), উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও জোবায়ের (২৫)।

এদের মধ্যে সেলিম ও উত্তম চন্দ্র দাস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দুই হোতা, যাদের নিজেদের নামে ‘সেলিম সিন্ডিকেট’ ও ‘উত্তম সিন্ডিকেট’ পরিচিত।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।

সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করতেন। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে তারা টিকিট বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরি করতেন এবং অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন।

এছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় যতো ঘনিয়ে আসতো তাদের মজুদকৃত কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো। সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতেন তারা।

ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তাররা প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতেন। সাধারণত প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করতেন। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ গ্রেপ্তাররা নিতেন এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো।

গ্রেফতার উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

যেভাবে টিকিট যেতো সিন্ডিকেটের হাতে
র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতেন। যেহেতু প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে চারটি টিকিট দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো।

এছাড়া, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীর টিকিট কাটার সময় দেওয়া এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতেন। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতেন।

অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতেন চক্রের সদস্যরা। আবার অনেক সময় কৌশলে লাইনে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট ক্রয় করিয়ে তিনটি টিকিট নিজেরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতেন।

এছাড়া, ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম বা আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতেন।

পাশাপাশি চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। এমনকি স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও সংগ্রহ করতো। সেসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সঙ্গে তারা ভাগ করে নিতো।

এভাবে গ্রেফতারকৃতরা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতেন। যার ফলে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, গ্রেফতার সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে ৭টি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত হন।

গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি সেলিমের অন্যতম প্রধান সহযোগী। মূলত তার দায়িত্ব ছিল কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা।

গ্রেফতার উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তার সহযোগী গ্রেফতার আলী ও ফারুকসহ রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে রেলস্টেশন এলাকায় সব সময় অবস্থান করে টিকিট কালোবাজারি চক্র গড়ে তোলেন।

গ্রেফতার বাকিরা দেশের বিভিন্ন রুট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, যার ফলে তারা সেসব রুটের যাত্রীদের ম্যানেজ করে টিকিট বিক্রি করতেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা এই কালোবাজারির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু নামও পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাউন্টারম্যান, সহজ ডটকমের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এমনকি স্টেশনে যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এমন কয়েকজনেরও এই সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিফিনে দেওয়া হবে দুধ–ডিম–কলা

জাতীয়, 23 June 2024, 49 Views,
সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিনে আগামী মাস থেকে রুটি, দুধ, কলা ও ডিম দেওয়া হবে। বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার বিদ্যালয় দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে সব বিদ্যালয়েই চালু হবে মিড–ডে মিল।

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প চালু হলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়বে।

দেশের অনেক শিশুই খালি পেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। অনেক পরিবারেরই টিফিন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ২০১০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিফিন হিসেবে বিস্কুট দেওয়া হতো। কিন্তু গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচি বন্ধ। শিক্ষকরা বলছেন, অনেক শিক্ষার্থীই পেটে ক্ষুধা নিয়ে ক্লাসে মনযোগ দিতে পারছে না।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, ‘দারিদ্র–পীড়িত শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তাই অতিসত্ত্বর কর্তৃপক্ষের নিকট স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা জোর অনুরোধ করছি।’

এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ১৫০টি উপজেলার ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীকে দুপুরে খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে স্কুল ফিডিংয়ের কর্মসূচি আগামী মাসেই চালু হচ্ছে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ১ হাজার ৯৫টি স্কুলে। এরপর ধাপে ধাপে সব উপজেলায় দেওয়া হবে এই খাবার। প্রকল্পটির জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘বনরুটি, ডিম, কলা এবং স্থানীয় যে মৌসুমী ফল আছে সেগুলো পাবে এবং একটা মডালিটিতে এটা পরিচালিত হবে। ধাপে ধাপে সকল উপজেলায় আমরা এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের চেষ্টা করব।’

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, স্কুলে মিড–ডে মিল আবার চালু করা জরুরি। কারণ অনেক স্কুলেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। এটি চালু হলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ বলেন, ‘বাচ্চারা এখানেই টিফিনটা করবে। সকালে যে বাচ্চাগুলো ছিল সেসব বাচ্চাদের সংখ্যা, আগে যে বাচ্চা ছিল, টিফিনের পর বাচ্চার সংখ্যা কমে গেছে। এর কারণ হচ্ছে, ওই যে সে টিফিনে গিয়েছে, গিয়ে আর আসেনি। এই জায়গাটা মিনিমাইজ করা যাবে।’

দেশে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।

বজ্রপাতে দেশে একদিনেই ৭ জনের প্রাণহানি

জাতীয়, 4 May 2023, 875 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রপাতে আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দেশের তিন জেলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নরসিংদীতে তিনজন করে মারা গেছেন। বগুড়ায় মারা গেছেন একজন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা, শাজাহানপুর ও দেবীনগর ইউনিয়নে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপট্টি গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে রফিক উদ্দিন (৩৫), শাহজাহানপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও দেবীনগর ইউনিয়নের মোজাম্মেলের ছেলে ইসারুল (৪২)।

পুলিশ জানায়, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপট্টি গ্রামের রফিক উদ্দিন পাশের একটি জমিতে ধান কাটছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ইসারুল ইসলাম পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানে বজ্রপাত হলে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান। স্থানীয় চাঁদতারা মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মারা যান জাহাঙ্গীর আলম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সন্ধ্যার দিকে জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় তিন ইউনিয়নে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

নরসিংদী

নরসিংদীর রায়পুরা ও বেলাবোতে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। দুপুরে রায়পুরার অলিপুরা ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামে ও বেলাবো উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আহাদ মিয়া (২১) ও একই গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে শিমন মিয়া (২০)। নিহত অপরজন হলেন বেলাবো উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর নামাপাড়া গ্রামের তাজু মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৩৮)।

এলাকাবাসী ও নিহত রানার বড় ভাই রুবেল মিয়া জানান, আহাদ, রানা ও শিমন তিন বন্ধু ঢাকায় একটি শপিং ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে তারা বাড়িতে আসেন। দুপুরে তারা তিন বন্ধু ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। ওই সময় তাদের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহাদ ও রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শিমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে হেলেনা বেগম ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছাগল নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

বগুড়া

বগুড়ার আদমদীঘিতে ধানক্ষেতে বজ্রপাতে ছোলায়মান আলী (৪৩) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের বাগিচা পাড়া গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত ছোলায়মান আলী ওই গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামিম-উল ইসলাম বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ছোলায়মান আলীসহ চার কৃষক বাগিচাপাড়া গ্রামের মাঠে ধান কাটছিলেন। এসময় বজ্রপাতে ছোলায়মান আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে সেখানে অন্য কৃষকদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।