চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অভিযানকালে আদালতের সাথে থাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার পৌর শহরের সড়ক বাজারে সাতরং ফ্যাশনের মালিকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন হান্নান খাদেম, রুবেল আহমেদ, জালাল হোসেন। হামলায় আহত রুবেল আহমেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষিনভাবে ঘটনাস্থলে এসে ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সড়কে অবৈধভাবে মোটর সাইকেল পার্কিং করায় তিন মোটর সাইকেল মালিককে অর্থ জরিমানা করা হয়।
এরমধ্যে সাতরং ফ্যাশনের মালিক সোহাগ মিয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানা করায় সোহাগ মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন।
অভিযানকালে পেশাগত কাজে সাংবাদিক হান্নান খাদেম, জালাল হোসেন মামুন অমিত হাসান ও হাসান মাহমুদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাংবাদিক হান্নান খাদেম, মামুন ও রুবেল আহমেদ ফল কেনার জন্য বাজারে গেলে সাংবাদিকদের দেখে সোহাগ মিয়া উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোদের কারণে আমার জরিমানা হয়েছে’ এ কথা বলেই সোহাগ মিয়া ও দোকানের কর্মচারীসহ ৭/৮ জন যুবক সাংবাদিকদের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে। হামলায় রুবেল আহমেদ আহত হয়। হামলাকারীরা একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। এজহার নামীয় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই নারী ও এক শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতদের মধ্যে মা ও তার শিশু সন্তান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। মামলায় তাদের সহযোগিতাকারীকেও আসামি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩২) ও তার ছেলে মো. ফারহান (০৩) এবং নোয়াদিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে দালাল মো. মাসুদ মিয়া অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার জন্য ওই তিনজনকে সহযোগিতা করেন। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মানব পাচারকারী দালাল মাসুদ পালিয়ে যায়।
২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহল দল আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ওই তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ফরিদা সন্তানসহ চিকিৎসার জন্য ও জেসমিন আক্তার জুতা কারখানায় কাজ করতে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতালি থেকে বিমানবন্দরে এসে হেলিকপ্টারযোগে বাড়ি ফিরলেন আখাউড়ার এক প্রবাসী পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইতালি থেকে ঢাকায় আসার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে নিজ বাড়ির সামনে মাঠে এসে নামেন তারা। প্রবাসীদের এমন আগমন দেখতে ভিড় জমান হাজারও উৎসুক জনতা।
ইতালি প্রবাসী আতিকুল ইসলাম সেন্টু মৃধা আখাউড়া উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মৃধা বাড়ির প্রয়াত হাজী ছনু মৃধার ছেলে। তিনি সপরিবারে ইতালিতে বসবাস করেন।
এ সময় প্রয়াত হাজী ছনু মৃধার ছেলে মাজেদুল ইসলাম মিন্টু মৃধাসহ পরিবারের অন্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা জানান, বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল এই মাঠে তার ছেলেরা একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে অবতরণ করবে। আজ স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কিন্তু বাবা জীবিত নেই।
এ সময় প্রবাস ফেরত ইতালি প্রবাসী পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের প্রশংসা করে বলেন, আগে যেখানে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফিরতে অনেক ভোগান্তি ও সময়ক্ষেপণ করতে হতো; অথচ এখন হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে মাত্র ২০-২২ মিনিটে আখাউড়ায় নিজ বাড়িতে চলে আসা যায়।
এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ-শিশুসহ কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম ছিল দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ মিন্টু মিয়া (৫৫) নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার উপজেলার নূরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মিন্টু মিয়া নূরপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০ টার মিন্টু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশী চালিয়ে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, মিন্টু পেশাদার মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আরফিন ভূঁইয়া নামে এক স্কুল ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরফিন ভূঁইয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। সে ওই ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা জমাদ্দার বাড়ির আল আমিন ভূঁইয়ার ছেলে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত আরফিনকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরফিনের দাদা ওহিদ ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিছু যুবক প্রায়ই স্কুলের সামনে ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করে। রবিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ কয়েকজন যুবক ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করলে আরফিনসহ কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করে।
এতে ওই যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে। সোমবার সকালে আরফিন ভূইয়া স্কুলের যাওয়ার পথে ৪/৫ জন যুবক তাকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে যুবকরা চলে যায়।
জানতে চাইলে অহিদ ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা আমার নাতিকে মারধর করেছে। নাদিম, রোমান, হৃদয়, শাকিল ও অন্তরকে আমার নাতি চিনতে পেরেছে।
এ ব্যাপারে হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, মোঃ সাজ্জাত হোসেন বলেন আরফিন ভূঁইয়া আমার স্কুলের ছাত্র। অত্র বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেণীর ছাত্র হৃদয়সহ বহিরাগতরা আরফিনকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় হৃদয়ের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে জুয়াড়িরা। হামলায় তিন যুবক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের খড়মপুর এলাকায় জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন খড়মপুর গ্রামের আশিক খাদেম (৩০), নারায়ণপুর গ্রামের রিফাত (২৫) ও উমেদপুর গ্রামের আমজাদ (২৮)। তারা সবাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে খড়মপুর এলাকার রেললাইনের পশ্চিম পাশে জুয়ার আসর বসিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা লুটে নিচ্ছে একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিছু সচেতন ছাত্র ও স্থানীয় যুবকরা ওই এলাকায় যায়। জুয়াড়িদেরকে জুয়া বসানোর কারণ জানতে চাওয়ার সাথে সাথে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
দুষ্কৃতিকারীরা ছাত্র-যুবকদেরকে এলোপাথারি মারধর করে ও ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আশীষ, রিফাত ও আমজাদসহ কয়েকজন আহত হয়। আহতদেরকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া হয়। তবে আশঙ্কাজনক হওয়ায় আশীষ খাদেমকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আখাউড়া উপজেলার সমন্বয়ক মোঃ শাহরীয়ার হাসান বলেন, জুয়া বসানোর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বাছির মিয়ার নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ব্যপারে আখাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আহত আশীষ খাদেমের বাবা কাজল মোল্লা খাদেম বলেন, আশীষের শরীরে ধারালো বস্তুর ৫/৬টি আঘাত রয়েছে। পিঠের আঘাতটি খুব গভীর। তার একটি অপারেশন হয়েছে। এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।