প্রবাসীর আত্মসাৎ করা সেই আইফোন-স্বর্ণালংকার উদ্ধার

জাতীয়, 2 April 2023, 1281 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
বোনের বিয়ে উপলক্ষে দুবাই প্রবাসী বড় ভাই আরেক প্রবাসীর কাছে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট কিনে পাঠান দেশে। কিন্তু এসব মূল্যবান জিনিস পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে আত্মসাৎ করতে বগুড়ায় শ্বশুরবাড়ি চলে যান ওই প্রবাসী। এ ঘটনায় ভেঙে যায় ওই বিয়ে। উপায়ান্তর না দেখে প্রবাসীর পরিবার থানায় মামলা করে। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎ করা সামগ্রী উদ্ধার করে।

banner

আজ ২ মার্চ রবিবার সেই মালপত্র প্রবাসীর মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, প্রতারক শাওন আহমেদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বগুড়ায়। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিনি এখন কারাগারে।

জানা যায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। বিয়ে ঠিক হলে দুবাই প্রবাসী বড় ভাই তাঁর বোনের জন্য স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন কেনেন। আর হবু বরের জন্য কেনেন আইফোন। দেশে ফেরার সময় শাওন নামে প্রবাসীর হাতে তা তুলে দেন। নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরে মালপত্র গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কনের বাবা। কিন্তু প্রতারক ফাঁকি দিয়ে চলে যান বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। সব বিক্রি করে দিয়ে একতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ ধরেন, কেনেন দামি মোটরসাইকেলও।

এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী কন্যার বাবা। পরে উদ্ধার করা মালপত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

অক্সফোর্ডে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন আমাল…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : ব্রিটিশ-লেবানিজ মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় Read more

নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে ৫ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়…

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর প্রেসক্লাবের আগামী Read more

ইয়াবাসহ একজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : যাত্রী বেশে মাদক পাচারের সময় ৪ হাজার Read more

ইসরাফিল হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ইসরাফিল হত্যা মামলার আসামী বাবু মিয়া(৩৫) কে Read more

বিজিবির অভিযানে দেড় কোটি টাকার পণ্য…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় বিজিবির অভিযানে দেড় Read more

ফেইসবুকে ছেলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে গ্রেফতার…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক Read more

বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিলো বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক : মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী কক্সবাজারের Read more

কালীগঞ্জে বিয়ে করে ফেরার পথে বরের…

অনলাইন ডেস্ক : বিয়ে করে বাড়ি ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত Read more

ডাকাত দলের সদস্য আটক

চলারপথে রিপোর্ট : যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক, ডাকাতির সরঞ্জামসহ সংঘবদ্ধ Read more

বিরল নীলগাই উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : বাগাতিপাড়া উপজেলার শেখপাড়া এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির Read more

যুক্তরাষ্ট্রে নারী নেত্রীদের সাথে ব্যারিস্টার জায়মা…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উইমেনস ফেলোশিপ Read more

অষ্টগ্রাম সমাজ কল্যাণ সমিতির ৩৪তম বার্ষিক…

চলারপথে রিপোর্ট : অষ্টগ্রাম সমাজ কল্যাণ সমিতির ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ Read more

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

জাতীয়, 17 October 2024, 197 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো-
(ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার।
(খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ০৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হলো-
(ক) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(খ) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি; এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(গ) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
(ঘ) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (০১টি শনিবার)।
(৪) ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রস্তাবিত মোট ছুটি (০৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত) ২৬ দিন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের অনুমোদিত মোট ছুটি (০২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২২ দিন।

banner

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, সংগঠনের বিচার‌ও সম্ভব

জাতীয়, 9 February 2024, 553 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনগুলোর বিচার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু সংগঠনের বিচার এখনো হয়নি। আমার মনে হয় সেটাও সম্ভব যদি আমরা চিন্তা করি। কিন্তু মুশকিলটা হলো, এখনো বিভ্রান্ত করার সুযোগ রয়ে গেছে, অনেক মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।’

banner

আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে এই স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রথমত তাঁকে চিনেছি আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজে অসামান্য অবদানের জন্য। দ্বিতীয়ত, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে অসামান্য অবদানের কারণে।’

ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধপদ্ধতির বিচার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক ও দুইয়ে আজ পর্যন্ত ৫৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই বিচারকাজে বাকি চ্যালেঞ্জগুলোও জয় করা (ওভারকাম) সম্ভব। সে জন্য ক্রমাগত চাপ ও দাবি অব্যাহত রাখতে হবে।’

যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারে ট্রাইব্যুনালের জনবলসংকটকে ‘প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ’ উল্লেখ করে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কেউ কেউ মারা গেছেন, অনেকের বয়স হয়েছে। এখন প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থায় নতুন করে সদস্য নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিচারকাজ চালু রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’

মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘এখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ও আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে নানা রকম বিষোদগার করছে। বিটিসিএলের উচিত এসব ভিডিও সরিয়ে দেওয়া।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আমরা সবাই ন্যায়বিচার পাইনি। যেটুকু পেয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমার স্বামীকে (শহীদ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী) নির্মমভাবে হত্যা করেছে আলবদররা। কিন্তু আলবদরের মতো সংগঠনগুলোর বিচার তো হয়নি। তাহলে আমি কি ন্যায়বিচার পেয়েছি? এই দুঃখ আমাদের আছে।’

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি ট্রাইব্যুনালে ৩০টি মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এই মামলাগুলোতে আনুমানিক ২০০ জন অভিযুক্ত আসামি রয়েছেন। এই মামলাগুলোতে সাক্ষ্য প্রদান করবেন ২০০ থেকে ২৫০ সাক্ষী। তদন্ত সংস্থার কাছে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ মামলা তদন্তের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আসামি এবং সাক্ষী সবার‌ই বয়স ৭০-এর বেশি। প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়তো আর তিন-চার বছর পর এদের কাউকেই আমরা বিচারের জন্য পাব না। তাই দুটি বা প্রয়োজনে তিনটি ট্রাইব্যুনাল করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলমান মামলাগুলো নিষ্পন্ন করা প্রয়োজন।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে ৩২ বছর আগে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে অভূতপূর্ব নাগরিক আন্দোলন সূচিত হয়েছিল, এর প্রধান নেতাদের অন্যতম অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিজড়াদের গল্প একটি নিয়ে বিতর্ক থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে মন্দির ভাঙচুরের মাধ্যমে আমাদের এই দেশে মৌলবাদের যে একটি ক্রমবর্ধমান উত্থান ঘটছে তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু আমরা এই দেশ গড়েছিলাম মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতির ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা এখনো এই নীতিগুলোকে ধারণ করেন তারা কবীর চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বকে খুঁজে ফেরেন অনুপ্রেরণার আশায়।’

মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে পৌরসভায়

জাতীয়, 7 May 2023, 1328 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা নেয়া হবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে । পৌরসভার ৩ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির গৃহস্থালির উচ্ছিষ্ট আর্বজনা সংগ্রহের জন্য ভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

banner

আজ ৭ মে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘গৃহস্থালির ময়লা ব্যবস্থাপনা পৌরসভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে সুন্দর একটি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

প্রধানন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে পরিচ্ছন্ন জেলা প্রয়োজন। আমি আশা করবো, ধিরে ধিরে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে এটি চালু হবে। জেলার সব পৌরসভা ও প্রতিষ্ঠানে এটি বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যমেই আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিষ্কার ও চমৎকার চুয়াডাঙ্গা উপহার দিবো।’ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ বলেন, এই শুরুটা সরকারি কলেজ থেকে শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। আমরা পরিশুদ্ধ মানুষ হতে চাই। ড্রেননগুলো একটু পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ জানাবো।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ স¤পাদক বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ইসলাম রাকিব।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়া জানান, জেলা প্রশাসক স্যার আসার পর বার বার তাগিদ দিয়েছেন। এই জেলার উন্নয়নে আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করছি। মাসে ৫০ টাকায় সপ্তাহে ৬দিন ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করা হবে। সেই ময়লা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে নেয়া হবে। আমরা চমৎকার চুয়াডাঙ্গার প্রত্যাশায় আছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহলদার ইমরান, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ী ও জেলেকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

জাতীয়, 19 October 2023, 683 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পিরোজপুরের কাউখালীতে ভোক্তা অধিকার আইনে দুই ব্যবসায়ী ও ইলিশ ধরার প্রস্তুতির সময় দুই জেলেকে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

banner

আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ বায়েজিদুর রহমান ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে এবং থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে উপজেলার দক্ষিণ বাজারে মেসার্স সাগর এন্টারপ্রাইজের মালিক বাসুদেব কুন্ডুকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও খাদ্য মজুদ রাখা ও লাইসেন্স না থাকায় ১০ হাজার টাকা এবং চিরাপাড়ার শেখ বেকারির মালিক লিমন শেখকে খাদ্যে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল মিশানো, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন করার দায়ে ৭ হাজার টাকাসহ মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া, কাউখালী নৌ পুলিশ নদীর পাড়ে ইলিশ মাছ ধরার প্রস্তুতিকালে পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট ও ইলিশ মাছ ধরার জালসহ দুইজনকে আটক করা হয়।

তারা হলেন- উপজেলার আমরাজুড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শহিদুল শেখ (৪৫) ও হরিনধারা গ্রামের সেলিম গাজীর ছেলে জালিছ মাহমুদ (২২)।

পরে আটকদের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ বায়েজিদুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে আদালত প্রত্যেকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন এবং জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

বঙ্গমাতা পাশে থাকাতেই জাতির পিতার সাফল্য সহজ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 8 August 2023, 772 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সবসময় পাশে ছিলেন বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাফল্যলাভ সহজ হয়েছে। শুধু ছাত্রজীবন নয়, রাজনৈতিক জীবনেও বঙ্গমাতা সবসময় বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে ছিলেন।

banner

তিনি বলেন, আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন, সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তার (বঙ্গবন্ধু) জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে।

আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা শুধু নিজের সংসারই চালাতেন না, হাতে যা টাকা-পয়সা আসতো তাও বাবার রাজনীতির জন্য তাকে দিয়ে দিতেন।

জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু লেখেন— ‘আব্বা-আম্মা ছাড়াও সবসময় রেণু (বঙ্গমাতা) আমাকে কিছু টাকা পয়সা দিয়েছে। রেণু যা কিছু জোগাড় করতো বাড়ি গেলে এবং দরকার হলেই আমাকে দিত, কোনোদিন আপত্তি করেনি। নিজে মোটেই খরচ করতো না, গ্রামের বাড়িতে থাকতো। আমার জন্য সব রাখতো।’

এভাবে তিনি আমার বাবার পাশে থেকে তাকে সবরকমের সহযোগিতা দিয়েছেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন বিএ পরীক্ষা দেন, কলকাতায় তখন দাঙ্গা হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু দাঙ্গা দমনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু সে সময় বঙ্গমাতা চলে আসেন বঙ্গবন্ধুর লেখাপড়ায় সহযোগিতা করার জন্য।’

অনেক আত্মীয়-স্বজন সে সময়ে কলকাতায় থাকতেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার মায়ের ধারণা হয়েছিল, তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকেন বাবা লেখাপড়া করবেন এবং পাস করবেন, যা করেছিলেনও তিনি। এটাও জাতির পিতা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তাঁর জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে। শুধু ছাত্র জীবন থেকে নয় রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় আমার বাবার পাশে ছিলেন।’

‘বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বলতেন— রাজনীতি করো আমার আপত্তি নেই, কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার দাদাও বলেছিলেন— যে কাজই করো তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাবা টানা দুই বছর কখনও জেলের বাইরে না থাকলেও মা সবসময় ঘর-সংসার সামাল দিতেন এবং কখনও হতাশ হননি।’

প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানসহ জাতির বিভিন্ন সন্ধিক্ষণে বঙ্গমাতার ঐতিহাসিক সময়োচিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা লাভের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা এদিন অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চার বিশিষ্ট নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দলের মধ্যে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচ জন নারীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

খেলাধুলার ক্ষেত্রে সাফ ফুটবল-২০২২ এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন জাতীয় নারী ফুটবল দল ছাড়াও আরও চার নারী এই পদক লাভ করেন। তারা হলেন- রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নাসিমা জামান ববি ও অনিমা মুক্তি গোমেজ এবং গবেষণায় ডা. সেঁজুতি সাহা (মলিকুলার বায়োলজিস্ট)।