চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দাবি পূরণ হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে পূরণ হওয়া এ দাবিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ‘ঈদুল ফিতরের উপহার’ হিসেবে মনে করছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে একটি ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন দিয়েছেন। নির্দেশনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এর অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্যে রেলপথ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ঢাকার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ট্রেনযাত্রা খুবই জনপ্রিয়। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় টিকেটধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন না। আসন সংকটের কারণে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় দাঁড়িয়ে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।
উক্ত দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার পত্র প্রেরণ করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাগবে প্রধানমন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি নতুন স্পেশাল এবং ঢাকা-সিলেট পথে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে ট্রেনের যাত্রা বিরতির খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহ্বায়ক আব্দুর নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা খেলাঘর আসলে সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সুধী সমাজের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমকে ‘নেপথ্যের কারিগর’ উল্লেখ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন মহল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত বলেন, নতুন ট্রেন চালু ও আরো দুই ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং আসন সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আন্দোলনের সময় আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেই। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমরা পুরো জেলাবাসী উপকৃত হলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দফা দাবিতে আজ ১৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরা থেকে মাধবপুর কলেজ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ছয় দফা দাবি মানতে হবে। এরমধ্যে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্টের মাধ্যমে বাতিল করতে হবে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুবিধা বাতিল করতে হবে, উপ-সহকারী পাশকৃতদের সংরক্ষিত পদের বিপরীতে নিয়োগসহ ছয় দফার সব দাবি মানতে হবে। শিক্ষার্থীরা বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট ৩০% পদ ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদোন্নতির পক্ষে রায় দিয়েছে। ফলে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। ফলস্বরূপ যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০% কমে গেল। আর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জন্মলগ্ন থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্ররা যৌক্তিক দাবি করেছেন। আদালত তাদের দাবি বিবেচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোহসিনুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করেছে। আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলেজের সবাই কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে ১১টার পর থেকে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে কলেজের সামনে মহাসড়ক হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অবরোধ তুলে নেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সিপিবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ জামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম। ৮ দফা দাবিগুলো হচ্ছে :
১। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও আইসিইউ ব্যবস্থা চালু।
২। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো। ৩। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার দেয়া অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা চালকদের লাইসেন্স দেয়া ও স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
৫। পৌর এলাকার যানজট নিরসনে শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরন এবং শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন।
৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিবতি দেয়া সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন চালু।
৭। তিতাস নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখনন ও আশুগঞ্জ সেচ প্রকল্পের জন্য ড্রেন নির্মান।
৮। ভ‚মি অফিসের দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানী বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ১৫৪ বছরের পুরানো এই পৌরসভার নাগরিক সেবা নেই। পৌরসভা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এক রাস্তার শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কোন রাস্তা নির্মিত হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রতিটি রাস্তায় পানি জমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কৃতির রাজধানী হলেও নানাভাবে সংস্কৃতিকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন টিকেট কালোবাজারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রকৃত রিকসা চালকদেরকে লাইসেন্স না দিয়ে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। কোন কোন ব্যক্তি শতাধিক ও অর্ধশতাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। যার দরুন প্রকৃত রিকসা চালকরা কোন লাইসেন্স পায়নি। তিনি বলেন, অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে তারা আগামী ২১ আগষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন ও পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক আছমা খানম, জেলা সিপিবির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অসীত রঞ্জন পাল, আহমাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সদস্য মোঃ শাহজাহান ও আল- মামুন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে প্রতিন্দ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফসিডিওর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবুল বাশার। বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম সহ-সভাপতি আবু কাউসার খান, মো. মনির হোসেন, শামীমা বাছির স্মৃতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, মহিলা পরিষদ নেত্রী নেলী আক্তার, পৌর কলেজ সহকারি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ভূঞা, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মামুন ও সদস্য আফরিন ফাতিহা জুঁই।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের উদ্যোগে গড়ে উঠা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাপ) সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চাকে ধরে রাখতে ম্যাপ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত করেছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি দল থেকে আসা ম্যাপ এর সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, রাজনীতিতে নারী ও যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সম্প্রতিকে উৎসাহিত করতে ম্যাপ-এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব উদ্যোগে তারা সমাজের সদস্যদেরকেও সম্পৃক্ত করছে।
এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সনে ইউএসইআইডি’র সহযোগিতায় পরিচালিত এসপিএল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে গঅঋ সমাজ পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।