চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দাবি পূরণ হয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে সিলেট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে পূরণ হওয়া এ দাবিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ‘ঈদুল ফিতরের উপহার’ হিসেবে মনে করছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে একটি ট্রেন সার্ভিস চালুকরণ, বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন দিয়েছেন। নির্দেশনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এর অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্যে রেলপথ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, ঢাকার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ট্রেনযাত্রা খুবই জনপ্রিয়। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় টিকেটধারী যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছেন না। আসন সংকটের কারণে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় দাঁড়িয়ে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।
উক্ত দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী বরাবর একাধিকবার পত্র প্রেরণ করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন ও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাগবে প্রধানমন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি নতুন স্পেশাল এবং ঢাকা-সিলেট পথে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিরও নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে ট্রেনের যাত্রা বিরতির খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহ্বায়ক আব্দুর নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা খেলাঘর আসলে সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সুধী সমাজের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমকে ‘নেপথ্যের কারিগর’ উল্লেখ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন মহল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত বলেন, নতুন ট্রেন চালু ও আরো দুই ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং আসন সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আন্দোলনের সময় আমরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেই। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমরা পুরো জেলাবাসী উপকৃত হলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ডাক দিয়েছে জেলা বিএনপির বৃহত্তর একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে শহরের কাচারি পাড় এলাকায় পৌর মুক্তমঞ্চে তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির বাস্তবায়নে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছরে বিএনপির নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে জেলা বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত একটি পক্ষ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন নিয়ে দল ভারী করে প্রহসনের সম্মেলন করার পায়তারা করছে। তারা পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা তৈরি না করে যেই প্রহসনের সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
এসময় সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বক্তারা, জেলার সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কথা বলে ত্যাগীদের নিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে সম্মেলন করার দাবি জানান। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আগামী ১৬ জানুয়ারি আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের মাস ব্যাপক কলেবরে উদযাপনের লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মো. আনার, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সেলিম রেজা হাবিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ওয়াসেল সিদ্দিকী, গাজি রতন মিয়া, আবু হোরায়রাহ, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, মো. মনির হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুক ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া” এর উদ্যোগে নির্মিত “আই লাভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া” নামে একটি লোগো উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেল সোয়া ছয়টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম শহরের ফারুকী পার্কে নির্মিত “আই লাভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া” লোগো উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ সালমা বারী, কসবা সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব ও সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মিশুক মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য রেজুয়ান রনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, অসংখ্য সচিব ও মলয়া সঙ্গীত থেকে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক নির্মিত একটি ব্যতিক্রমধর্মী লোগো উদ্বোধনের মাধ্যমে জেলাবাসীর মাঝে জেলার প্রতি ভালোবাসা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস করি।
জানা গেছে, বিবর্ধন রায় ইমন নামে এক যুবক ২০১৫ সালে ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামে ফেসবুকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে ‘রঙিন হবে আমাদের স্কুল” শ্লোগানে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথার নানা আঁকা ছবি আঁকে এই সংগঠন। পরে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জেলার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খ্রিস্টিয়ান মিশন প্রাইমারি স্কুলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়াল মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে রাঙিয়ে দেন সংগঠনের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিবর্ধন রায় ইমন বলেন, এই উদ্যোগ জেলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কর্তব্যের বহিপ্রকাশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম, সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তাই এই লোগো স্থাপন করেছি। সার্বিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
এই লোগে নির্মাণে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের মাসিক চাঁদার টাকায় এই লোগো স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ২৮। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকুরি করা তরুণ-যুবকরা এই সংগঠনের সদস্য। জেলার জন্য ব্যতিক্রম কিছু করার ভাবনা থেকেই এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা। চলতি বছরের গত ৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফারুকী পার্কে সংগঠনের সদস্যরা জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে “আই লাভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া” লোগো নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বীমা ফোরামের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স কোঃ লিঃ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোর্ট রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা বীমা ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বীমা ফোরামের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম আবুল বাশার, সহ-সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন ফারুক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া কার্যকরী সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন।এছাড়া বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণসহ সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মঞ্চ নাটক ”সাজন মেঘ” মঞ্চায়িত হয়েছে। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মঞ্চ নাটক প্রচারের অংশ হিসেবে ৫ জুলাই শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি রচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শান্তুনু কায়সার। নিদর্শনায় ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম শফিকুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শিশির, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান, সংস্কৃতির রাজধানী। এই সংস্কৃতির রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসন সব সময় সংস্কৃতির পক্ষে, শিল্প সাহিত্যের পক্ষে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতি কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে যেতে হবে।
নাটকটির মূল সার সংক্ষেপ ছিল শান্ত-স্নিগ্ধ ছায়া সুনিবিড় গ্রাম “সাজন মেঘ”। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর অযাচিত বর্বরতায় তাদের শান্ত জীবনে নেমে আসে আতংক, ভয়। আক্রান্ত হয় গ্রাম-হাট-ঘাট, প্রান্তর, লোকালয়। সম্ভ্রম হারায় কিশোরী-তরুণী-গৃহবধূ। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের তরুণ, তরুণী, কৃষক, কামার-কুমার, আপামর জনতা। ধর্ম আর সমাজের সংস্কার ভেঙ্গে দেশের জন্য একাট্টা হয়ে লড়ে যায় প্রাণপনে।
নাটকটি নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা বলেন, “সাজন মেঘ” নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ডচিত্র। এই নাটকের মাধমে নাট্যকার সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। সংলাপে গেঁথেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সময়ের বাস্তবতা ও নাট্য নির্মাণের প্রয়োজনে মূল নাটকে কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজের গোড়ামী, কুসংস্কার, কূপমন্ডকতা, ধর্মান্ধতা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যখন শকুনেরা জেঁকে বসেছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মনে জাগ্রত করার প্রয়াসে দেশের সকল জেলায় নাট্যযজ্ঞ শুরু করেছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে ২৩ জন শিল্পী অভিনয় করেন।