চলারপথে ডেস্ক :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সংসদে বঙ্গবন্ধু’ ও ‘মুজিববর্ষ বিশেষ অধিবেশন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির দ্বাদশ বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন। কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর ক্ষমতা না দেওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধু জাতিকে উপহার দেন সংবিধান। এরপর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান- এটা বিশ্বে বিরল।
বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন- কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের দ্বিতীয় এবং জাতীয় সংসদের ৫০বছর পূর্তি ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের কার্যাদি নিষ্পন্নের জন্য সময় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় অধিবেশন শুরু হয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মর্মে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ৭ এপ্রিল বিকাল ৩ টায় এবং ৮ ও ৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় অধিবেশন শুরু হবে।
এ অধিবেশনে জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামীকাল ৭ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৩টায় স্মারক বক্তৃতা দেবেন।
এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ২০টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ৪৪৯টি প্রশ্নসহ মোট ৪৬৯টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে, বিধি-৭১ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৩৫টি। অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য ৮টি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া গেছে। গত অধিবেশনে অনিষ্পন্ন ৯টি বিলসহ ১৭টি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন ৭টি, পাসের অপেক্ষায় ১টি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় ৯টি। বেসরকারি সদস্যদের বিলের কোন নোটিশ পাওয়া যায়নি।
বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম সঞ্চালনা করেন। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরোশাডাঙ্গা চক ইসবপুর গ্রামে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরির ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭), মো. মানিক শাহ (৪৫), মো. নজমুল হক (৬৫) ও মো. আমিনুল ইসলাম (৪৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ।
জানা যায়, শুক্রবার ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড সেন্সরের মাধ্যমে বুঝতে পারে বাংলাদেশ সীমান্তে পাইপ লিকেজ হয়েছে। পরে বাংলাদেশের পার্বতীপুর অয়েল হেড ডিপোতে জানালে তারা দ্রুত পাইপ চেক করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরোশাডাঙ্গা এলাকায় দেখতে পান মাটি ভেজা। তখন সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে লাইনম্যানরা মাটি খুঁড়ে দেখতে পান তেলের পাইপ ফুটো করা এবং সেটা ক্লিপ দিয়ে বন্ধ করা।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন থেকে তেল চুরি হয়েছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছয় ফুট গর্ত করা হয়েছে। ১০ ইঞ্চির মূল পাইপ ফুটো করে তাতে স্ক্রু লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি পৃথক চিকন পাইপ লাগানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই পাইপ দিয়ে তেল সরানো হয়েছে। এ ঘটনায় জমির মালিক, ইরি সেচ দেওয়া শ্যালো মেশিনের মালিকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে, আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে সরাসরি পাইপলাইনে তেল আমদানির জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়ির মার্কেটিং রেল টার্মিনাল থেকে পাইপলাইন শুরু হয়েছে। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে পাইপলাইনটি। এরপর শেষ হয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) রেলহেড অয়েল ডিপোতে। ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশ অংশে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার এবং ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার পড়েছে। গত ১৮ মার্চ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই পাইপলাইনের তেল সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সাথে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে এসেছে।
আজ ২৫ মে রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আয়োজিত চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডোর না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে।
চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, এই দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্যান্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব। চা শ্রমিকদের শিক্ষিত করে আধুনিক বাগান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা আমাদের রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না। আমরা একটি বন্ধুপ্রতিম সমাজ গড়তে চাই। চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলতে চাই- আপনার ডাক দিতে সময় লাগবে, কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে না। আমরা সবাই এই দেশের মালিক।
উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির প্রকৌশলী এম. সায়েদ আলী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ ইয়ামীর আলী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির খন্দকার আব্দুস সোবহান ও প্রভাষক হামিদ খান, বর্তমান সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরী এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও ডা. শফিকুর রহমান দিনব্যাপী বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কাতারের দোহায় র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকনোমিক ফোরাম (কিউইএফ) আয়োজিত ‘ইন কনভারসেশন উইথ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
কিউইএফ’র এডিটর অ্যাট-লার্জ হাসলিন্ডা আমিনের উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতএব, আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং আমি এখানে এসেছি আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে? জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমি এখানে ক্ষমতা দখল না করার জন্য এসেছি, বরং আমি জনগণকে তাদের অধিকার দিতে চাই যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’
কিছু দলের নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনই মানুষকে গোনায় ধরত না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য একদিনে একবেলা খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাদের অবস্থা।’
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই, এখন নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। এখন, মানুষ বুঝতে পারে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে থাকব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, জনাব ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারেন?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারাই (পর্যবেক্ষক) পাঠাতে চায়, তিনি এরই মধ্যে সবাইকে বলেছেন, – ‘যদি তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তবে তারা পাঠাতে পারে। সুতরাং, আমি আপনাকে বলতে পারি যে আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তাঁর প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু, অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়-তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তারা সমস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে। ১৯৮১ সালে তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি-যার অর্থ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’
আইএমএফ ঋণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে-আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে। আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’
জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’
হাসলিন্দা আমিন বলেন, ‘ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই, বাংলাদেশ অনুসরণ করে-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে-দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করব না। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে- যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আজ ২ জুন বরিবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। ঈদ যাত্রায় ট্রেনের টিকিট কোনো কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না; সব টিকিট শুধু অনলাইনে পাওয়া যাবে। সকাল ৮টায় টিকিট উন্মুক্ত হবে। সকালে বিক্রি করা হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট।
আর দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঁচ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদ যাত্রায় সারা দেশে বিভিন্ন গন্তব্যে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু এসব ট্রেনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি করা হবে না।
এমনকি দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং) ভ্রমণ করার টিকিট বিক্রি হবে মোট আসনের ২৫ শতাংশ। স্ট্যান্ডিং টিকিট ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি শুরু হবে।
ঈদকেন্দ্রিক রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০। ঈদের আগে আন্ত:নগর ট্রেনের ১২ জুনের টিকিট বিক্রি হবে আজ ২ জুন।
আর ১৩ জুনের টিকিট আগামীকাল ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন, ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন বিক্রি করা হবে।
১জুন শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীতে এক অনুষ্ঠান শেষে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদুল আজহায় ট্রেনে চলাচলকারী মানুষের কোনো ভোগান্তি হবে না। মানুষের দোয়া ও আপনাদের সহযোগিতায় এবারের ঈদ যাত্রায় আমরা সফল হব। চেষ্টা করছি ভোগান্তি ছাড়া এবারের ঈদেও মানুষ ঘরে ফিরবে।’
এবারের ঈদ যাত্রায় বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলিয়ে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর পথে (রুট) চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া চলবে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম পথে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল এক জোড়া, ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ পথে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল দুই জোড়া, জয়দেবপুর-পার্বতীপুর পথে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল এক জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া পার্বতীপুর-দিনাজপুর পথে এবং ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর পথে গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল ট্রেন দুই জোড়া চলবে। চাঁদপুর, দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরদিন থেকে সাত দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ও গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল শুধু ঈদের দিন চলবে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত তিন দিন এবং ঈদের পরে ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিন চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
হজযাত্রীদের ভিসা আবেদনের সময় এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এর আগে হজ যাত্রীদের ভিসা আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি।
বাড়িভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ধর্মমন্ত্রী সৌদি সরকার এ বিষয়ে ডিও দিয়েছিল।’
আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে বাংলাদেশিদের হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।