চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাকচাপায় ইতি রানী দাস (১৮) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি রানী দাস নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের রামচরণ দাসের মেয়ে। এই ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, সকালে সিএনজিযোগে ইতি রানী দাসসহ তার পরিবারের সদস্যরা নাসিরনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ধরন্তি নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়৷ এই ঘটনায় ইতি মারা যান।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরাইল প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সরাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মো. মুরাদ খান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী, সরাইল টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার।
বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি হাজী ইকবাল হোসেন, সরাইল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক তৌফিক আহমেদ তফসির, সাংবাদিক মোহাম্মদ মাসুদ, সাংবাদিক মাহবুব খন্দকার, সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একমাত্র পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর। পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, সংবাদ কর্মীসহ সব শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। সেই সঙ্গে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে ওই এলাকার বহিরাগত ও মুসাফির বলা হচ্ছে অন্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। এর জবাব দিয়েছেন রেজাউল ইসলাম।
৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সরাইলে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি জানান, সরাইলে তাঁর বাড়ি আছে, জমি আছে। যেহেতু কথা উঠেছে সেহেতু জয়ী হতে পারলে সরাইলে একটি মুসাফিরখানা করা হবে। ওই মুসাফিরখানায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, রেজাউল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি সরাইল উপজেলায়। তাঁর পৈতৃক বাড়ি জেলার সরাইল উপজেলার কোড্ডা গ্রামে। তবে এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন রেজাউল ইসলামের শ্বশুর, জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা।
রেজাউল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রথমে দলের নেতা আব্দুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দেয় জাতীয় পার্টি। পরে দলটির প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলামকে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সমঝোতায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম সাজুকে।
এ অবস্থায় শ্বশুর-জামাইয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন জাতীয় পার্টির নেতারা।
এদিকে জনসভায় রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগে সরাইলে একজনের বাসায় লাঞ্চ করেছিলাম। আমাকে বলা হলো মুসাফির। আল্লাহর দুনিয়ায় সবাই মুসাফির। সেই হিসেবে এটা মেনে নিলাম।
তবে আমি বহিরাগত না। আমার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কিন্তু সরাইলে আমার বাড়ি আছে, জমি আছে। হলফনামায়ও এটা উল্লেখ করছি আমি। আর যেহেতু আমাকে মুসাফির বলা হয়েছে সেহেতু আমার জায়গায় একটি মুসাফিরখানা করব। তিনতলা ভবন করে এক ও দুই তলা মুসাফিরদের জন্য রাখব। এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। শুধু এলাকার মানুষ না, বাইরের মানুষও এ সেবা পাবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আবদুল হাকিম মোতাঈদের ছেলে সুবেল মোতাঈদ (২৫), একই ইউনিয়নের মোঃ আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৪), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ও একই উপজেলার বেঙ্গাডোবা গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে মোঃ আনু মিয়া।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন জানান, শনিবার রাতে উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকা ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মিজান মিয়া আনু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জলিল শাহ’র মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী সুবেল মোতাঈদ ও রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।