চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড জব্দ হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল রবিবার নগরের বহদ্দারহাট এলাকার শামসু কলোনিতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
এ সময় নকল পণ্য তৈরির অপরাধে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শামসু কলোনিতে গিয়ে পিলে চমকানোর মতো অনিয়ম-কারসাজির প্রমাণ পাই। সেখানে গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি নানা নকলসামগ্রী ব্যবহার করে হারপিক ও ভিম লিকুইড তৈরি করছিলেন। নোংরা পরিবেশের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড তিনি তৈরি করে রেখেছিলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে।
এ অবস্থায় আবদুর রহমানকে হাতেনাতে আটক করা হয় বলে জানান তিনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করায় তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রতীক দত্ত জানান, আবদুর রহমান ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছেন, ৬ মাস ধরে সেখানে তিনি নকল নানা সামগ্রী তৈরি করছিলেন। এরপর তা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন। এরই মধ্যে নকল বেশকিছু পণ্য বিক্রি করেছেন অনেক এলাকায়।
এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪০০ বোতল নকল হারপিক ও ২০০ বোতল নকল ভিম লিকুইড জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা পণ্য আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
আটককৃতরা হলো জেলার বাহুবল উপজেলার হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার পুত্র রুপন মিয়া (৩৮), আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের দানু মিয়ার পুত্র ছালেহ আহমেদ (৩৩), একই এলাকার মৃত আমরু মিয়ার পুত্র আল আমিন (২৯), মো: লায়েক মিয়ার পুত্র মাহবুব মিয়া (৩২) ও মতি মিয়ার পুত্র তাবিদুল ইসলাম (২৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খান জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের এমন অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনার একটি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া হয়।আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজা ই রাকিব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা দুটি ভিডিও ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে একটি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ জানুয়ারি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিলেন। শুক্রবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এর আগে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার প্রথম জানাযা শনিবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে সড়কপথে মরদেহ সরাইল উপজেলা সদরে আনা হয়। শনিবার বাদ আসর সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে। বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় পরমানন্দপুর গ্রামে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এ দিকে সরাইল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রমুখ। এ সময় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তবে জানাজায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
উকিল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
জানা যায়, আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।
আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এ নেতা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে ঘুরতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলা তিন পর্যটককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সীতাকুণ্ড থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন।
উদ্ধারকৃত পর্যটকরা হলেন- নোয়াখালী শাখার সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন (৩৪), সঞ্জয় বণিক (৩৫) ও মো. আলাউদ্দিন (৩৬)।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, ওই তিন পর্যটক আজ সকালে সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে বেড়াতে যান। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তারা বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর এক পর্যায়ে তারা পথ হারিয়ে ফেলেন। বের হওয়ার পথ খুঁজে না পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে কল করে তাদের উদ্ধার করার অনুরোধ জানান।
খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নূরুল আলম দুলালের নেতৃত্বে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল গিয়ে বিকেল সোয়া তিনটায় তাদের উদ্ধার করেন।
নূরুল আলম দুলাল বলেন, প্রথমে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে তাদের লোকেশন ট্রাকিং করি। মোবাইলের ফোনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলতে থাকি এবং তাদের বের হওয়ার পথের নির্দেশনা দেই। এদিকে আমরা সাইরেন বাজাতে থাকি। ফোনে তাদের বলি, আমাদের সাইরেন শুনলে সেদিকে এগোতে। এভাবে আমরা তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধার করার পর তাদের হোটেলে পৌঁছে দেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের পর ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা অপহৃত এক শিশুকে ৬ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহৃত শিশু টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজার নাইক্ষ্যংখালী গ্রামের মো. ইউনুস ও সাজেদা বেগমের ছেলে খায়রুল আমিন (১২)। শিশুটি মৌলভীবাজার ইসলামিক আজিজিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হিফজ খানায় পড়ালেখা করে। শিশু অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ নারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহমদ হোসেন (৫২), আহমদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুন (২১)। এরা সকলেই হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা।
অপহৃত পরিবারের অভিযোগের বরাত দিয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় হ্নীলা বাজার থেকে রঙ্গিখালী বন্ধু ফরহাদের বাসায় যাওয়ার জন্য হ্নীলা বাজার থেকে জনৈক আলমের ইজিবাইক (টমটম) গাড়িতে উঠে। পানখালী যাওয়ার পথে ভিকটিম খায়রুল আমিনের বন্ধু ফরহাদ (১২) এর সাথে দেখা হয়। ফরহাদ ভিকটিমকে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে এবং কিছুক্ষণ পরে হ্নীলা বাজার থেকে আসার কথা বলে। ভিকটিম খায়রুল আমিনকে নিয়ে ইজিবাইক (টমটম) এর ড্রাইভার আলম পানখালী যাওয়ার পথে কৌশলে তার অপর সহযোগীকে গাড়িতে তোলে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিম খায়রুল আমিনকে টমটম গাড়ি নিয়ে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালায় নিয়ে যায়।
সেখানে ভিকটিম খায়রুল আমিনের হাত বেঁধে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। কিছুক্ষণ পর টমটম ড্রাইভার আলম তার গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে। একই তারিখ রাত ১০টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে পাহাড়ের উপরে তুলে অবস্থান করতে থাকে এবং রাত ১টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে নিয়ে একজন অপহরণকারীর বাড়িতে চলে আসে। ভিকটিম খায়রুল আমিনকে অপহরণকারী সদস্য তার বাড়িতে নিয়ে আসলে ধৃত আজিজা খাতুন ভিকটিম ও তার স্বামীকে খাবার খেতে দেয় এবং তার বাড়িতে রাতে আটক রাখে।
পরদিন ১৭ জুন ভোরে ফজরের আজানের সময় টমটম ড্রাইভার আলমের গাড়িতে করে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে পুনরায় পাহাড়ের উপরে উঠে অবস্থান করতে থাকে এবং রাত ১টায় অপহরণকারীরা ভিকটিমকে সামনে রেখে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় অপহরণকারীরা ভিকটিমকে গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে ভিকটিমের মাকে কান্না শোনায়।
ভিকটিমের মামা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করার পর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়। অপহরণকারীদের অবস্থান জেনে স্থানীয় লোকজন ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় দফায় দফায় পাহাড়ের উপর বিভিন্ন ঘর-বাড়ি তল্লাশি করা হয়। অপহরণকারীরা অত্যন্ত অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) আব্দুর রাজ্জাক নেতৃত্বে অফিসারসহ পুলিশ ফোর্সের একটি চৌকস অভিযানিক দল সার্বক্ষনিক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে। অভিযান পরিচালনাকালে ২০ জুন সন্ধ্যায় টমটম ড্রাইভার আলমকে আটক পূর্বক ভিকটিম উদ্ধারের জন্য পাহাড়ের উপর অভিযান চলমান রাখার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় পাহাড়ের উপর ভিকটিমসহ অপহরণকারীদের সন্ধান পেয়ে তাড়া করলে অপহরণকারীরা ভিকটিম খায়রুল আমিনকে রেখে পালিয়ে যায়।
থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৫টায় ভিকটিম খায়রুল আমিনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঘটনায় জড়িত অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখে ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। শিশু অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আলম (২৭), মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আহমদ হোসেন (৫২), আহমদ হোসেনের ছেলে মো. পারভেজ (২০), সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আজিজা খাতুনকে (২১) আটক করা হয়।