ঈদযাত্রায় ভোগাবে ৪০ কিলোমিটার সড়ক

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 10 April 2023, 2049 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে রয়েছে ৭৬ কিলোমিটার সড়ক।

banner

আসন্ন ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের ভোগাবে এই অংশের অন্তত ৪০ কিলোমিটার সড়ক।

দুটি সড়কে চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশা ও খানাখন্দের কারণে যান চালানো এখন বড় দায়। যানজট ও ধীর গতির কারণে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে সড়কে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

সড়ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটারের চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এর আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে।

তবে করোনাকালীন সময়সহ নানা জটিলতায় বড় এই প্রকল্পের কাজে অনেকটাই ধীরগতি এসেছে। ফলে এখনও শেষ হয়নি রাস্তা নির্মাণ কাজ। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এই সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের ৩০/৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

ঈদ মৌসুমে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ব্যতিক্রম হবে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অধ্যুষিত এই রাস্তায়ও। এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে এ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো যাত্রীসাধারণের।

চালক ও যাত্রীরা জানান, দুটি সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কগুলোর অবস্থা করুণ। নির্মাণকাজ করতে সড়ক খুঁড়ে রাখাসহ একপাশ বন্ধ করে রাখায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তীব্র ধুলোবালির কারণে এসব পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।

তারা আরো জানান, সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সড়কে বিভিন্ন সময়েই ঘটেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। রাস্তার খানাখন্দ ও যানজটের কারণে এক ঘণ্টার যাত্রাপথ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

এ সময় সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে নির্বিঘ্নে করতে অবশিষ্ট সড়ক দ্রুত মেরামত করা হবে।

সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাতটি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছে।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস…

চলারপথে রিপোর্ট : ৩৩ তম আন্তর্জাতিক ও ২৬ তম জাতীয় Read more

আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ Read more

সরাইলে ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বাজেয়াপ্ত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ Read more

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভারতে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা, Read more

সরাইলে জাল টাকার নোটসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে Read more

নবীনগরে টিকটক বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ Read more

উঠান বৈঠক

চলারপথে রিপোর্ট : জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার Read more

আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন Read more

৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হলো

অনলাইন ডেস্ক : দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনা Read more

নাটক থেকে বিদায় নিলেন ফারিয়া শাহরিন

অনলাইন ডেস্ক : ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Read more

যাকে বিয়ে করতে চান জানালেন ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা Read more
ছবি সংগৃহীত

লাখ টাকা আয় চিতই পিঠা বিক্রি…

চলারপথে রিপোর্ট : আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে Read more

‘আমার লাশটা আপনারা বাড়িতে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন’

জাতীয়, 22 July 2023, 710 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২১ জুলাই শুক্রবার একাদশ দিনের মতো আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় করতে যেয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমি আপনাদের পাশে রয়েছি। প্রয়োজনে দাবি আদায় করতে গিয়ে রক্ত দেব, জীবন দেব।

banner

আন্দোলন করতে যেয়ে মারা গেলে আপনারা আমার লাশটা বাড়ির স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া এসব কথা বলেন।
সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি আদায়ে টানা ১১ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা ‘শিক্ষা জাতীয়করণ চাই’ মিছিলে স্লোগানে মুখরিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলন।

সারা দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অনেকটা মানবেতরভাবে এখানে রাতদিন অবস্থান করছেন। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগররা দাবি আদায়ের জন্য রাজপথকে বেছে নিয়েছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, গত ১১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি চলছে ১৬ জুলাই থেকে।

আন্দোলনের সপ্তম ও নবম দিনে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার ডাক পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে তারা দাবি পূরণে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বললেই তাদের দাবি আদায় হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা আন্দোলনে অব্যাহত রয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের হতাশ করা হয় তাহলে আমরণ অনশনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’

শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ওপর শিক্ষক সমাজের কোনোদিনই আস্থা ছিল না। তিনি শিক্ষকদের মন্ত্রী নন। এ কারণেই এমন কথা বলতে পেরেছেন। শিক্ষকরা সাড়ে চার বছরে এই প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের নিয়ে তাদের দাবির বিষয়ে বৈঠক করেছেন। কমিটি গঠনের কথাও বলেছেন। অথচ কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার আগ্রহ নেই। আসলে তিনি শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না। তাই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষকরাও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কোনো বাছবিচার ছাড়াই বলে দিলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়। এমনকি এও বলেছেন, কিসের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা হবে, সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। আমাদের সাফ কথা, ৬ শ স্কুল-কলেজ এই সরকার যার ভিত্তিতে জাতীয়করণ করেছে, সেটিই হবে এমপিওভুক্ত সাড়ে ৯ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মানদণ্ড।

সমাবেশস্থলে বক্তৃতা শেষে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে অবসর জীবন পর্যন্ত পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। একজন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক চাকরির শুরুতে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু সরকারি স্কুলে দেওয়া হয় ১৬ হাজার। তারা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব-ভাতা (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়) বা বোনাস পেলেও বেসরকারিতে দেওয়া হয় মাত্র ২৫ শতাংশ। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সব চাকরিজীবী এমনকি এনজিও কর্মীদেরও শতভাগ উৎসব-ভাতা দেওয়া হয়। চিকিৎসা ভাতা এক মাসে ৫০০ টাকা পান তারা। যেখানে একজন ডাক্তারের ভিজিট সর্বনিম্ন ৬০০, ৮০০ বা ১০০০ টাকা, সেখানে একটি পরিবারকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের দেওয়া হয় দেড় হাজার। আবার বাড়িভাড়া বাবদ এক মাসে এক হাজার টাকা পান। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ৪৫-৫০ শতাংশ দেওয়া হয়।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আরো অনেক ধরনের বৈষম্যের মধ্যে আছেন। তাদের কোনো বদলি নেই। অনেকে পরিবার এবং বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু দূরে চাকরি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু বদলি হয়ে নিজ এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এককালীন অবসর-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে চাকরি জীবনে অবসর খাতে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ খাতে ৪ শতাংশ মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। অথচ অবসরে গেলে এককালীন কিছু টাকা পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। এই টাকা দেওয়া ছাড়া আর কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। অনেক শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর সময়মতো অবসরের টাকা না পেয়ে টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না।

অবসরে গিয়ে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করেন। অনেকে পেনশনের টাকা ভোগ না করেই মারা যান।

শিক্ষকরা আরো জানান, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডিসিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের এসব কষ্ট বা দুর্দশার কথা আমলে নেয়নি। তাই এখন লাখ লাখ শিক্ষক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রেস ক্লাবে জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান করছে। এখন একটাই দাবি জাতীয়করণ। জাতীয়করণ করলে শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি কোনো বৈষম্য আর থাকবে না।

বিরোধী নেতাদের বিচারে নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের চিন্তা নেই: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 12 May 2024, 267 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী আজ ১২ মে রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।

banner

ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাঁদের নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়।

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু

জাতীয়, 20 April 2024, 321 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

banner

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৭ টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জাকির হোসেন মারা যান। অপরদিকে পাবনায় সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে মারা যান।

নিহত জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি।

মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনা শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

এদিন দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকে রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্য বেক্আষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

ঢাকায় ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প

জাতীয়, 17 September 2023, 642 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।

banner

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। এ কম্পনের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, ১২টা ৪৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইল। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।

এর আগে ২৯ আগস্ট সিলেটে একটি ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে।

এছাড়া ১৪ আগস্ট ঢাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম অঙ্গরাজ্যের করিমগঞ্জ থেকে ১৮ দশমিক ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।

১ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 27 January 2024, 435 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রতি বছরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম বইমেলা ঐতিহাসিক ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪’ শুরু হতে যাচ্ছে।

banner

অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এবার মেলায় ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৯৫টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮৬টি সাধারণ স্টল এবং ১০৯টি স্টল লিটল ম্যাগাজিন চত্বরকে দেওয়া হবে বলে জানান ড. মুজাহিদুল।

তাছাড়া এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের অনুক‚লে ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

এ বছর মেলার পুরো কাজ বাংলা একাডেমি একাই করছে উল্লেখ করে ড. মুজাহিদুল আরও বলেন, আগের বছরগুলোতে মেলা আয়োজনে কিছু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি জড়িত ছিল, যা গত বছর কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়েছিল।

তিনি জানান, মেলা শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় পরবর্তী মেলার প্রস্তুতি এবং প্রস্তুতি পর্বের জন্য, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য এবং মাসব্যাপী মেলা পরিচালনার জন্য তিন ধাপে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।

আয়োজকরা জানান, ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে পুরানো এবং নতুন তালিকাভুক্ত প্রকাশনার জন্য স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত ৬০১টি সংস্থা ছাড়াও, প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা নোটিশে সাড়া দিয়ে স্টল বরাদ্দ পেতে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ২৩টি নতুন প্রকাশনা মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

ড. মুজাহিদুল বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও লেখক বলছি মঞ্চ। রমনা কালী মন্দিরের পাশে সাধুসঙ্গ এলাকায় ‘শিশু চত্বর’ স্থাপন করা হবে।

বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এ বছর ১১টি বিভাগে ১৬ জনকে কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ/গবেষণা, অনুবাদ, নাটক, শিশুসাহিত্য বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু পরিবেশ/বিজ্ঞান ক্ষেত্র, জীবনী ও লোককাহিনী ইত্যাদি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেবেন।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং বইমেলা এলাকায় মেট্রোরেল পরিচালনার ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় মেলার নিখুঁত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিগত বছরের মতো সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

ডিএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রধান চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- জঙ্গিবাদ, অগ্নিসংযোগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।

ডিএমপির মতে মেট্রোরেলে দুর্বৃত্তরা নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে এমনটি লক্ষ্য করায় মেট্রোরেল পরিষেবা একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।

তবে বইমেলা মাঠের ভিতরে ও বাইরে ডিএমপি ইউনিফর্ম এবং সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে এবং মেলার আশেপাশের সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ওয়াচ টাওয়ার এবং ফায়ার টেন্ডার স্থাপন করা হবে।

এছাড়াও মেলার মাঠ ও এর আশপাশ সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপির টিম পুরো ঘটনাস্থল ঝাড়ু দেবে এবং গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে।