চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে আঁচ লেগেছে। এক সময় ঈদের আগে জেলার পাদুকা পল্লীতে চরম ব্যস্ততা থাকতো। কিন্তু এবারে দেখা মিলছে চিত্র ভিন্ন।
একদিকে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে মন্দার প্রভাবে কাজ কমে যাওয়ায় কারখানা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকদের। সেইসঙ্গে যেটুকু কাজ মিলেছে, তাও করতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের ছোবল পহাতে হচ্ছে।
এদিকে, অটো মেশিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না হাতে জুতা তৈরির আদি কারাখানাগুলো। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে মজুরি না বাড়ায় হতাশ পাদুকা কারিগররা।
সরেজমিনে পাদুকা শিল্প পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ঈদের আগে জুতা তৈরির যে ব্যস্ততা সচরাচর থাকতো সেটি আর আগের মতো নেই। হাতে তৈরির কারখানাগগুলোতে শ্রমিকের পরিমানও কমে গেছে। নেই কোনো কর্মচাঞ্চলতা। যে পরিমান অর্ডার পাওয়া গেছে, তা নিয়ে কাজ করছেন তারা।
পাদুকা তৈরির কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের কাজকর্ম অনেক কমে গেছে। চার বছর ধরে চায়না অটো মেশিনের কারণে আমাদের হাতে তৈরি জুতাগুলোর কদর কমে গেছে। আগে একটি কারখানাতে ২০/২৫ জন শ্রমিক কাজ করলেও এখন মাত্র চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক আছে। রমজান মাস যে আমাদের মৌসুম তা বুঝাই যাচ্ছে না। কাজ না থাকায় অনেক কারিগররা এখন অন্যান্য পেশায় চলে গেছেন।
প্রবীণ কারিগর এরশাদ মিয়া বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই পেশার সঙ্গে জড়িত। আগে চাহিদা অনেক ভালো ছিল। অটোমেশিনের কোম্পানি বের হয়ে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। যে কাজ তা দিয়ে এখন আর কাঙ্খিত মুনাফা পাওয়া যায় না। পরিবার নিয়ে চলতে এখন কষ্ট হচ্ছে।
কারিগর বাদশা মিয়া বলেন, দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের মজুরির দাম আর বাড়ছে না। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে ৫০০ টাকা মতো রোজগার হয়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
পাদুকার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পে। আর যেটুকু জুতা তৈরির অর্ডার মিলেছে, লোডশেডিংয়ের কারণে তাও করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে গিয়ে কম মূল্যে তাদের জুতা বিক্রি করতে হচ্ছে। আর জুতা তৈরির উপকরণগুলোর দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই অনুপাতে জুতার মূল্য বাড়ে নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। নান্দনিক ডিজাইন ও গুনগত মান ভালো হওয়ায় ক্রমেই বিকাশ ঘটতে থাকে এ শিল্পের। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার জুতার বেশ শুনাম। তবে গেল কয়েক বছর ধরে এই শিল্প খাতটি অনেকটাই দমে গেছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও জেলায় ৫ শতাধিক পাদুকা কারখানা থাকলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ এর ঘরে। কোনোরকমে টিকে থাকা অবশিষ্ট কারখানাগুলো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এসব কারখানার মধ্যে ২৫টি অটোমেটিক মেশিন এবং বাকিগুলোতে হাতেই তৈরি হয় লেডিস, জেন্টস, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফুট ওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া বলেন, জুতার উপকরণগুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জুতা তৈরি করে বিক্রি করতে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে।
বাংলাদেশে সকল ধর্মের সম অধিকার এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে আওয়ামীলীগ সরকার
চলারপথে রিপোর্ট :
কালেক্টরেট নন গেজেটেড কর্মকতা-কর্মচারি কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার দিন ব্যাপী কালেক্টরেট কর্মচারি ক্যান্টিনে দ্বি-বাষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন কালেক্টরেট নন গেজেটেড কর্মকতা-কর্মচারি কল্যাণ সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আবদুল লতিফ।
এসময় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদিন, অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহজাদা খান, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার, উপ-সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা তায়েফুল লতিফ ও অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারি মো. মানিক মিয়া প্রমুখ।
দ্বি-বাষিক সাধারণ সভা শেষে গোপন ভোটে কালেক্টরেট নন গেজেটেড কর্মকতা-কর্মচারি কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতি পদে মো. কামরুল ইসলাম ভূইঁয়া, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জালাল উদ্দিনকে নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্বপন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. রুবেল মিয়া, অর্থ সম্পাদক পদে মো. শফিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. তৌহিদ মিয়া ও প্রচার সম্পাদক পদে মো. লোকমান হোসেনকে নির্বাচিত করা হয়।
চলারপথ রিপোর্ট :
“করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নদী প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ” এর আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪।
আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কায়ার থেকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য সচেতনতা র্যালি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের পরিচালক মো. মনির হোসেন, জেলা খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য রোমানুল ফেরদৌসী, হাকিম রেজা। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া ‘তরী বাংলাদেশ’ এর সকল কাজে পাশে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদী, খাল, জলাশয় রক্ষা তথা পরিবেশ রক্ষায় সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ‘তরী বাংলাদেশ’ আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন পরিবেশ রক্ষায় নদী-প্রকৃতি সুরক্ষার বিকল্প নেই। পরিবেশ তথা আমাদের জীবনের স্বার্থে সারাদেশের নদী-খাল দখল দূষণ মুক্ত রাখা জরুরি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদী-খাল-জলাশয় রক্ষায় অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য গণ আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
আব্দুল মতিন শিপন এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘তরী বাংলাদেশ’ আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী।
বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় কামাল, সরাইল উপজেলা আহবায়ক মো. মাহবুব খান, বিজয়নগর উপজেলা তরী সদস্য মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, শাহ আবুল মনসুর আল-আমীন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ সদস্য খাইরুজ্জামান ইমরান, নাফিস আহমেদ সেলিম, সুশান্ত পাল, নাজমুল খান, শিপন কর্মকার, শিরিন আক্তার, নাজমা আক্তার, আব্দুল হেকিম সহ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানী সহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। ট্রাফিক আইন যথাযথ মেনে চলার জন্য তিনি গুরুত্বারোপ করেন এবং চালক মালিক সহ সংশ্লিস্ট মহলকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের জন্য আহবান জানান।
আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার “ছাত্র জনতার অঙ্গীকার নিরাপদ সড়ক হোক সবার” এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর আয়োজনে জেরা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোছাইন পিপিএম, ডাঃ আশেকুর রহমান হিমেল, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীন, নিরাপদ সড়ক চাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি এম এম শাহীন, পরিবহণ মালিক শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের বাহার চৌধুরী, মোঃ সেলিম, সাইদুল ইসলাম শাহেদ প্রমুখ।
সভায় সড়ক পথে গতিই ক্ষতির কারণ উল্লেখ করে গতিনিয়ন্ত্রণ, মোটর সাইকেল দূঘটনায় তরুণ যুবাদের প্রাণহানী, থ্রীহুইলার, অটোরিক্সা ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ইজিবাইক দূঘটনা, চলার পথে চালকদের মোবাইল ব্যবহার পথ চলাচলে পথচারী অসচেতনা, ফুটপাত দখল সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় এবং এসব সমস্যা নিরসনে সকলকে সচেতন ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানান হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামলিীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়, নৌকায় ভোট দিলে দেশ এগিয়ে যাবে।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার বাসুদেব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম. আলম ভূইয়ার (মোবাশ্বের) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বাসুদেব ইউনিয়নবাসী আমার আপনজন, আমার আত্মার আত্মীয়। আমি তিনবার নির্বাচন করেছি। তিনবারই বাসুদেব থেকে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। এবারও বাসুদেব থেকে আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমি আজ আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনাই, দোয়া চাইতে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি যতবারই নির্বাচন করেছি আপনারা আমাকে ভালোবেসে বাক্সভরে ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, বাসুদেববাসী সব সময় আমার পাশে ছিলেন, আমি জানি আপনারা আগামীতেও আমার পাশে থাকবেন।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলাম। তিনবার আপনাদের ভোটে এমপি হয়েছি। আমি এমপি হওয়ার আগে এই এলাকা কেমন ছিলো, বর্তমানে কেমন আছে তার বিচার বিশ্লেষন আপনারা করবেন। তিনি বলেন, বাজারে দোকানীরা অনেক ধরনের পসরা নিয়ে বসে থাকেন। আপনারা কিন্তু ভালো পসরা কিনেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা বিচার বিশ্লেষন করে ভোট দিবেন। তিনি বলেন, সুশিক্ষিত মানুষেরাই কিন্তু রাজনীতি করে, সুশিক্ষিত মানুষরাই কিন্তু জনপ্রতিনিধি হয়। এখানে অ্যাডভোকেট আলী আজম সাহেব এমপি হয়েছেন, এখানে অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু সাহেব এমপি হয়েছেন। এখানে আবদুল হাই সাহেব দুইবার এমএলএ হয়েছেন।
বাসুদেবের পরিবেশ একটি শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ, সংস্কৃতি বান্ধব পরিবেশ। আজ বাসুদেবে পরিবেশ কিন্তু শহর থেকে কোন অংশে কম নয়। বাসুদেবে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা কি চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চান। যদি উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে চান তাহলে আপনারা নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন। তিনি বলেন, এই নৌকা মার্কা হক-ভাসানীর নৌকা। এই নৌকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৌকা। এই নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা। এই নৌকা জনগনের নৌকা।
তিনি বলেন, চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন। নৌকাকে বিজয়ী করলে দেশে উন্নয়ন হয়, নৌকাকে বিজয়ী করলে দেশ এগিয়ে যায়।
নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ মোল্লা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আবদুল মতিন, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ মহসিন, তানজিল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।