চলারপথে রিপোর্ট :
খাবারে ক্ষতিকর রঙ ব্যবহার, পোকায় ধরা বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের চকবাজারের অভিজাত চেইন হোটেল কাচ্চি ডাইনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করায় একই এলাকায় হোটেল জামানকেও জরিমানা করা হয়।
আজ ১০ এপ্রিল সোমবার দুপুরের দিকে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অভিজাত এই দুই হোটেলকে জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করার পাশাপাশি খাবার তৈরির সময় ক্ষতিকর রঙ ব্যবহার করছিল কাচ্চি ডাইন। এমনকি পোকাধরা বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরি করা হচ্ছিল হোটেলটিতে। তাই কাচ্চি ডাইনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করায় জামান হোটেলকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে যে অভিযান চালানো হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ভবিষ্যতে যাতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রান্না ও খাবার পরিবেশন করা হয় সেই বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটিকে সতর্ক করা হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোনো অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল দেশি মুরগির সঙ্গে সোনালি মুরগি মিশিয়ে বিক্রি ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চিনির মূল্য বেশি রাখায় নগরের খুলশীতে অভিজাত সুপার শপ স্বপ্ন’কে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
চলারপথে ডেস্ক :
চলতি বছরের জন্য হজের নিবন্ধন ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার নিবন্ধন শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল, কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত কোটা পূরণ না হওয়ায় আবারও নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ জন নিবন্ধন করছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোটা পূরণ হতে আরও বাকি আছে ১৬ হাজার ৭৪৩ জন।
অন্যদিকে, ঘোষিত হজ প্যাকেজের মূল্য কমানোর কোনো সুযোগ অন্তত মন্ত্রণালয় পর্যায় থেকে নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। হজ প্যাকেজে অনড় থাকার যুক্তি দেখিয়ে মতিউল ইসলাম বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটিতে ৩১টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা আছেন। আমাদের প্রতিমন্ত্রীও আছেন। আমরা যে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছি সেটি বিচার-বিশ্লেষণ করেই কমিটিতে হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, হজ প্যাকেজ সংশোধন হওয়ার বিষয়টি আমাদের পর্যায়ে নিষ্পত্তিযোগ্য না। এই বিষয়ে আমাদের কোনো আলোচনাও নেই।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে প্রত্যেকের জন্য হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে, বেসরকারি খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। যা গত বছরের সর্বনিম্ন খরচের তুলনায় প্রায় দুই লাখ টাকা বেশি। এত বেশি টাকায় হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। কেউ কেউ উকিল নোটিশ ও হাইকোর্টে রিট পর্যন্ত দায়ের করেছেন।
বুধবার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হজের খরচ অন্তত ৫০ হাজার টাকা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে একটি কারখানার এক সিকিউরিটি গার্ড নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন আরো একজন। নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আব্দুল কাদের (৫৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাসিন্দা।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার আমির দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কুটুরিয়া এলাকার একটি কারখানায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারা মাথা ও গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, মজিবর দেওয়ানের ভাই আমির দেওয়ানের বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের তিন সদস্য। পরে আমির দেওয়ান ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এ সময় আমিরের ভাই মজিবর বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে জানালা দিয়ে ডাকাতদের দেখতে পায়। এ সময় শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মজিবরের ছেলে। ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চিৎকার দিয়ে ও বাড়ির দিকে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, যাওয়ার সময় মামুন দেওয়ানের বাড়ির সামনে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী আহত হলে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাড়িওয়ালা ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর গুলি বিনিময় হয়। ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আশুলিয়ার থানা পুলিশ।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনা সদর উপজেলায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ ১৮ জুন রবিবার সকালে উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের একটি মাঠে এ কম্বাইন হার্ভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক ডক্টর জামাল উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, পাবনার অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোঃ রোকনুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষকগণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী জানান, উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে কৃষকের ৪০ একর জমিতে এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় বীজ সহায়তার মাধ্যমে ৫০ একর জমির প্রকল্প থেকে সরবরাহকৃত অটোমেটিক বীজ বপন যন্ত্রের মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদে প্রথম পর্যায়ে ট্রেতে বীজ বপনের মাধ্যমে চারা তৈরি করা হয়। যন্ত্রের সাহায্যে চারা তৈরি করে জমিতে রোপণ পাবনা সদর উপজেলায় এবারই প্রথম। পরবর্তীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান রোপণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, আধুনিক পদ্ধতি কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ১ একর জায়গার ধান ১ ঘণ্টায় কাটা সম্ভব এবং এতে কৃষকের খরচ হবে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। যেখানে গতানুগতিক পদ্ধতিতে ১ একর জমির ধান কাটা থেকে মাড়াই পর্যন্ত ৫ জন লোকের প্রায় ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে, একই সাথে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার টাকা। বর্তমান সরকার শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকিতে বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের প্রদান করার ফলে যেমন সময়, শ্রম ও টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে কৃষকদের, তেমনি তারা লাভবান হচ্ছে। দেশের কৃষি সেক্টর যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আধুনিকায়ন হচ্ছে। এভাবেই দেশের কৃষকরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট কৃষকে রূপান্তরিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় ৪ বছর আগে নির্মাণ শেষ হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বারইয়া সেতুটি। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় এখনো সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। সাতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। এজন্য চলাচলে চরম বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন বারইয়া, ঝিকিরা ও কালিগঞ্জসহ অন্তত ১০-১৫ গ্রামের মানুষ। সেতুর দুই পাশে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মইয়ের মতো তৈরি করে পথচারীদের পারাপার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম রুট উল্লাপাড়া-কালিগঞ্জ সড়কের বারইয়া খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের ৪ বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না করায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর দুই পাশের মই বেয়ে পার হতে হচ্ছে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০১৯ সালে নির্মাণ করা হয়। তবে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় এখনো সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, বারইয়া গ্রামের সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রাায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন সংযোগ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যথাসময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি জরিপের কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই ভূমির অধিগ্রহণ মূল্য এখনো নির্ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তাই সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সেতুর বাকি কাজ শেষ করা হবে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল হোসেন জানান, একটা ব্রিজ নির্মাণে বহুবিধ কাজ জড়িত থাকে। ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি আকাশচুম্বী হয়েছে ও যুদ্ধ কখন থামবে তা নিশ্চিত নয়।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিজ কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে।
নতুন কর্মকর্তাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আমি চাই নতুন কর্মকর্তারা দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
১৪ বছর আগের বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে দেশবাসীর জন্য উন্নত ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা।
নতুন বিসিএস ক্যাডারদের ২০৪১ সালের সৈনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আজকের কর্মকর্তারাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।
তিনি বলেন, সরকারের প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। সরকার এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য এটির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একসময় বিদেশি দেশগুলোর কাছে অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সামরিক সরকার এলে দুর্নীতি বাড়ে মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জনগণের কাছে তাদের (সামরিক সরকার) জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে জনগণের সেবক মনে করতেন। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। সূত্র : বাসস