চলারপথে রিপোর্ট :
চাচার ধর্ষণের শিকার এক বাকপ্রতিবন্ধী (১৪) কিশোরী সন্তান প্রসব করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তৈয়ব খানকে (৬০) আজ ১০ এপ্রিল সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, কিশোরীর বাবা প্যারালাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। দরিদ্র পরিবারটির হাল ধরার কেউ নেই। এ অবস্থায় বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরকে ফুসলিয়ে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন তার চাচা তৈয়ব খান। সে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তৈয়ব মিয়াকে প্রধান আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলাটি রুজু করতে নির্দেশ দেন।
ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, আড়াই মাস আগে ধর্ষণের শিকার কিশোরী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। তাকে ও নবজাতককে সরকারিভাবে চট্টগ্রামের সেফহোমে রাখা হয়েছে। সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সদ্য অনুষ্ঠিত সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম.এ. মান্নানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন প্রমুখ ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ভোট চুরি হয় নাই। বাকি ছিল সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। সুপ্রীম কোর্টের ৫০ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি এবার তা হয়েছে । বক্তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুণরায় নির্বাচন দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পেশাদার তিনজন অটোরিকসা ছিনতাইকারী ও একজন গাড়ি চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার কুরগাও গ্রামের মৃত গোলাম মাহমুদের ছেলে মেহেদী শেখ হীরা-(৩২)। সে একজন আন্তঃজেলা গাড়ি চোর।
অটোরিকসা ছিনতাইকারীরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে শান্ত প্রকাশ বাপ্পি-(২৪), একই এলাকার বাজাইন্না বাড়ির মান্নান প্রকাশ মন্নর মিয়ার ছেলে মেহেদুল-(২২), একই এলাকার মৃত মাহবুব মিয়ার ছেলে মিঠন প্রকাশ লিটন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারীও চোর। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা দিচ্ছে সদর থানার পুলিশ। এর অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার দিনব্যাপী শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশী টহল চালানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, ভাদুঘর বাস টার্মিনালে পকেটমার ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
তাছাড়া বিপণী বিতানগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস মোতায়েন রয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে যানবাহন তল্লাশী, চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধে সদর থানার এই বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ্যে শহরবাসীর নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা রক্ষায় সদর থানার ৭ টি দল কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সময় শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে।
তিনি আরো বলেন, ঈদ সামনে রেখে ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটগুলোতে বেড়েছে জনসমাগম। শহরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল ও কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য সারা শহরে কড়া নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আজ ১৩ ফেব্রুয়ারিসোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লা-আল শাহীন।
সংলাপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৯ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:- সেলিম (৬১), মো. ইসরাইল মিয়া (৫০), মো. হাসান উদ্দিন (৫৩) ও মো. মোরসালিন আহম্মদ চৌধুরী (২৮)।
সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া এলাকার মৃত ছাহেদ আলীর ছেলে। তিনি রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া মো. ইসরাইল মিয়া পৌর শহরের বিরাসার এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। ইসরাইল মিয়া বিরাসার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মো. হাসান উদ্দিন নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আটককৃত মোরসালিন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার স্বপন চৌধুরী ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানের অভিযান পরিচালনা করে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, ইসরাইল এবং ছাত্রলীগ নেতা মোরসালিনকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।