চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক দিদার ওরফে বাদল (৪৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল ৯ এপ্রিল রবিবার বাংলাদেশের সময় বাদ মাগরিব দেশটির রাজধানী রিয়াদের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত দিদার ওরফে বাদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের উত্তর জগৎসার গ্রামের হাজী আশিদ মিয়ার ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই ফজলে রাব্বি জানান, রবিবার সকালে প্রাইভেটকারযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাসের সাথে প্রাইভেটকারের মুখোমুখী সংঘর্ষে বাদল গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সৌদি-জার্মান হাসপাতালে নেয়া হলে বাংলাদেশ সময় বাদ মাগরিব তিনি মারা যান।
বাদলের ছোট ভাই ফজলে রাব্বি আরো বলেন, আমরা ৭ ভাইয়ের মধ্যে বাদল তৃতীয়।
তিনিসহ ৪ ভাই সৌদি আরবে চাকরি করেন। বাদল প্রায় ২৪ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি করতেন। ছুটি নিয়ে ৩/৪ বছর পর পর দেশে আসতেন। সৌদি আরবে তিনি ৪টি মাদ্রাসার সুপার ভাইজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০ রোজায় মাদ্রাসা গুলো বন্ধ হওয়ার পর তিনি ছুটিতে দেশে আসার কথা ছিল। বাদল সর্বশেষ ৪ বছর আগে দেশে এসেছিলেন। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক। সৌদি আরবে থাকা তার তিন ভাই বাদলের লাশ নিয়ে দেশে আসবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী শিক্ষার্থীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. এইচ মাহবুব আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলআমিনুল হক পাভেল।
অনুষ্ঠানে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সদর উপজেলায় ৬৩টি মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে চারগাছ বিতরণ করা হচ্ছে। গাছ আমাদের ছায়া, অক্সিজেন ও ফল দেয়। গাছ আমাদের কাঠ দেয়, সেই কাঠ থেকে আমরা আসবাবপত্র তৈরি করতে পারি। একটি জনপদে শতকরা ২৫ ভাগ বনায়ন থাকলে তাকে আদর্শ ভ‚ভাগ বলেন। গ্রীণ পৃথিবী হিসেবে গ্রীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বানাতে হবে। তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গাছ ধ্বংস না করে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুরা যেনো আগামীতে সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে, তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে, তা থেকে রক্ষা পেতে গাছ লাগানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। তাই আমরা গাছ লাগাবো ও গাছের যত্ম নিব, যেনো গাছ বড় হতে পারে। তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি সুন্দর পৃথিবী পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর ফাটাপুকুর পাড় সংলগ্ন পালকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কাঠের ১টি রামদা এবং ৩টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার খুশু মিয়া প্রকাশ খুরশিদ মিয়ার ছেলে এনাতুল ওরফে এনাদুল ওরফে এনামুল ওরফে ইমন (৩৩), পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের আবদুর রকিবের ছেলে মোঃ রুবেল ওরফে রাজ্জাক (৩৪) এবং পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা মিন্দালী পাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ শরীফ (২৯)।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ (ডিএস) কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একরাম হোসেনের অপসারণের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এসময় মাদরাসার শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, পরীক্ষার ফি দুই-তিনগুন বেশি নিয়ে অধ্যক্ষ আত্মসাত করেছেন। ১৪ বছর যাবত উপাধ্যক্ষ নিয়ে দেওয়া হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শান্তা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ একরাম হোসেন সব মেয়েদের হিজাব খুলে পড়াশোনা করতে চাপ প্রয়োগ করতেন। অথচ আমি খ্রিস্টানদের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে এসেছি। কিন্তু সেখানে পর্দার ব্যাপারে কোন বাধা ছিলনা।