চলারপথে ডেস্ক :
আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর মাজার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে মার্কেটের একটি হোটেলের রান্নাঘর, একটি মোমবাতির কারখানা এবং মাজার শরীফের অতিথি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে ভূক্তভোগীরা। আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে হোটেলের রান্নান চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে খড়মপুর মাজার সংলগ্ন দ্বিতল বিশিষ্ট মাজার মার্কেট কাম রেষ্ট হাউজের জাহাঙ্গীর ভূইয়ার হোটেল লাগোয়া খালপাড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি রান্নাঘরে আগুণ লাগে।
মুহুর্তের মধ্যে আগুন হোটেলের পাশের বাঁশ ও কাঠের তৈরি মোমবাতির কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুণের লেলিখান শিখা মাজার কমপ্লেক্সের দুতলার অতিথি কক্ষে পৌছে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খড়মপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টুকে খবর দেয়। মাজার কমিটির সম্পাদক মিন্টু খাদে নিজে ফায়ার সার্ভিস অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে হোটেলের মাচা, মোমবাতির কারখানা, কমপ্লেক্সের অতিথির কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে তাপে মার্কেটের দেয়ালের কিছু অংশের আস্তর খসে পড়ে যায়।
মোমবাতির কারখানার মালিক রুবেল খাদেম বলেন আগুনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন রাত ১০টার দিকে হোটেল বন্ধ করে চলে যাই। সকাল আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানে আসি। কিভাবে আগুণ লেগেছে বলতে পারছি না। আগুনে হোটেলের রান্নার সরঞ্জাম, মসলা পুড়ে গছে।
জানতে চাইলে খড়মপুর মাজার কমিটির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন সকাল আটটার দিকে মোবাইল ফোনে মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে গিয়ে খবর দেই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। অগ্নিকান্ডে মাজার শরীফ অতিতি কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে গেছে এবং বিল্ডিংয়ের আস্তর খসে পড়েছে। এতে মাজার কমিটির ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সেরর স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছি।
উল্লেখ্য, এরআগেও মাজার মার্কেট কমপ্লেক্সে ২ বার আগুন লেগেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ ১০ জুন সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামে স্কুল সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক পদে দুইবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন না। অন্যান্য পদেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশলে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছেন।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কমিটির সাবেক সভাপতি ও ভূমিদাতা আবুল বাশার মোবারকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ কমিটির তিনজন সদস্যের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, কমিটির সদস্য আবুল বাশার, সাবেক সদস্য সহিদ মিয়া (মেম্বার), আবু তাহের প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. সেলিনা বেগম বলেন, আমি যাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অভিযোগ করছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টাসহ ৭ বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। ঈদুল ফিতরের পর ২০ টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য ফরম সংগ্রহ করে গাজীর বাজারস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ফরম জমা দেন।
তাদেরকে বরণ করে নেয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মজুন মিয়া, অহিদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়াসহ অন্যরা। তারা সবাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
যোগদানকৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া, দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মেম্বার, যুবদল নেতা মোরশেদ মিয়া, বিএনপি সমর্থক সাইফুল ইসলাম, কালা মিয়া ও নজরুল মিয়া। মূলত কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে মন্ত্রীকে সম্মান ও ভালোবেসে বিএনপির ওই নেতারা আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এ সময়ে বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন আওয়ামীলীগের নেতারা। আরও কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর আওয়ামীলীগে যোগদান করার সম্ভাবনা রয়েছেও বলে তারা জানান।
জানতে চাইলে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত আবুল কালাম মেম্বার বলেন, আমি ইউপি সদস্য থাকাকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তিনি এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন। আইনমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে ভালোবেসে আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি।
বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে অনেক দিন যাবত রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। এলাকার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। তাছাড়া আমার নিজেরও ইচ্ছা ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এখানে নতুনরা আসবে এটাই স্বাভাবিক। মূলত তারা মন্ত্রী মহোদয়কে (আইনমন্ত্রী) ভালোবেসে ও সম্মান করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাই। তাদের যোগদানের মাধ্যমে দল আরও শক্তিশালী হবে বলে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগের অনেক বড় দল। নতুন যারা এসেছেন তারা ধৈর্য্য ধরে দলের পক্ষে কাজ করলে দল যথা সময়ে তাদেরকে নিশ্চই মূল্যায়ন করবে।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, ২০০৮ সালের পর দলের দু:সময় থেকেই তারা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাদেরকে ছাড়াই আমরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছি।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজনু মিয়া বলেন, যারা আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড এবং নেতাদের আচার ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে দলে যোগদান করতে চায় তাদেরকে আমরা যোগদান করাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫টি ফরম বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আযহার আর মাত্র দুদিন বাকি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। টানা ৭ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেই জেরে আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
আখাউড়া চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে আজ ১৪ জুন দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েকশ মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা ৭ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দরের ভিড় এড়াতে অনেক যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরুর দিন শুধু শুক্রবারই প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়েছেন।
ভারতগামী কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন পর ভিসা পেয়েছেন। তাই ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, ঈদের ছুটির কারণে চাপ অনেকটা বেশি। সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় এ উপহার দেওয়া হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার নিঝুম পুরুষোত্তম পাটেল মোট পাঁচ প্যাকেট মিষ্টি বিজিবির আখাউড়া (আইসিপি) ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মোমেনের হাতে তুলে দেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ধর্মীয় বিভিন্ন আয়োজনে বিজিবি-বিএসএফ একে অপরকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।