চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই আইনের সঠিক ব্যবহার এবং আইনটি জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে। এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের টিমের সঙ্গে আমাদের দেশের একটি টিম (লেজিসলেটিভ সচিবকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে) করে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে তারা একটি টেকনিক্যাল নোট পাঠিয়েছে।’
টেকনিক্যাল নোট -এর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারা বাতিল করতে বলছে, কিন্তু সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। স্পষ্ঠভাবে বলতে চাই, আমাদের বাস্তবতায় ২১ ধারা প্রয়োজন রয়েছে; যা আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ওই আইনের অধীনে বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের রক্ষাকবচের কথাও উঠে এসেছে, সেটি অবশ্যই আমরা হাইলাইট করব।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাখ্যার কথা বলছেন, এই যে ধারাগুলো এবং কিছু টেকনিক্যাল ধারা; এগুলোর একটি সুবিধা আছে। সুবিধাটা হচ্ছে, এই যে ধর্মীয় অনুভুতি, স্বাধীনতা এগুলোর বিষয়ে অপরাধের বিষয়টি আগে দণ্ডবিধিতে ছিল; এমন বহু (আদালতের) রায় আছে। যেখান থেকে ব্যাখ্যাগুলো নেওয়া যায়। আমি মনে করি, প্রশিক্ষণে (আইন প্রয়োগের বিষয়ে) জোর দেওয়া উচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মামলাতে এ ধরনের ব্যাখ্যা আছে। এক্ষেত্রে যারা মামলা তদন্ত করেন এবং যারা মামলা করেন, আইনজীবীরা এই ব্যাখ্যার বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।’
আলোচকদের উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আপনারা বলতে পারেন যদি ব্যাখ্যাটি জানেন, তাহলে আইনের মধ্যে আনছেন না কেন? এর উত্তর হলো যদি সেসব (ব্যাখ্যা) আইনের মধ্যে আনা হয়, তাহলে আইনটি অনেক বড় হয়ে যাবে। সেজন্যই আইনের ব্যাখ্যার বিষয়টি বিচার বিভাগের ওপর দেওয়া হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য যে আজকে এসব ব্যাখ্যার জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না, বই খুললেই পাওয়া যায়। এসবই প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, সেটা যে রকম চলছে তাতে কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে, যা আপনারা সবাই স্বীকার করছেন। কিন্তু একটা গোষ্ঠী আছে, যারা এই আইনটিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রচার করে। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি, তারা এই আইন নিয়ে জনগণের কাছে যায় না। তারা ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রাসেলস এবং জেনেভাতে গিয়ে বলে এই আইনটা খারাপ। তারা এখানে বলে না। কারণ তারা জানে যে, এখানে বললে হালে পানি পাওয়া যাবে না। আমি বলব, এই আইনটি সংখ্যালঘুদের আঘাত রোধের জন্য নয়, এটি সারা দেশের জনগণের জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাবেন আমাকে ভালোবাসেন। আমি আপনাদের সন্তান, ছোটদের অভিভাবক।
১০ বছর আপনাদের সেবা করে উন্নয়ন করেছি। সন্তানের দাবীতে ভোট দাবি করছি। ভালোবাসার দাবীতে ভোট আপনাদের ভোট চাই। আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া খেলার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, গনতন্ত্রের য়ে প্রক্রিয়া গণতন্ত্র যেভাবে চলে, সঠিক ভাবে গণতন্ত্র চলছিল বলেই এবং বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে বলেই তারা এসব গণতন্ত্রান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না।
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে। তারা ট্রেনে আগুন দিয়ে ৩ বছরের শিশুকে মেরেছে।
আনিসুল হক আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নাই। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কেন প্রত্যেক ইউনিয়নে মিটিং করছি। এর কারণ হলো আমি আখাউড়া-কসবাবাসীকে ভালোবাসি। আমি এও জানি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। নির্বাচন মুখ্য নয়, এই ভালোবাসার টানেই আমরা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে যাই।
মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান নাজিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা ও পৌর যুবদল এ সেবা কার্যক্রমের আয়োজন করে। শতাধিক রোগী মেডিক্যাল ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা নেয়। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার লুৎফুর রহমান, ডা. আবু রায়হানসহ কয়কজন চিকিৎসক সেবা দেন। পৌর মুক্তমঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. জাকির হোসেন।
উপজেলার যুবদলের সদস্য সচিব মহসীন ভুইয়ার সঞ্চালনায় এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. সেলিম ভূঁইয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক নূর আহমেদ ভূইয়া জাবেদ, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবীর ভুইয়া নয়ন প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।
এতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।
সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সেকথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা বলেছি যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার ছিল, তাদের ভুয়া ও ব্যর্থ নির্বাচন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করার অভিযোগে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান ওনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।
বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন, আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
প্রশাসনের ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন তালিকা এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকারের মধ্যে দুই-একজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আামরা বলেছি যে, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনো। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওিয়ার জন্য বলেছি। দলকানা কিছু বিচারক আছেন, তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে… দুর্নীতি অথবা হত্যার সুনির্দিষ্ট মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুনতে পাই, কিছু জায়গায় সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তাকে কেন্দ্র করে, তার মাধ্যমে যে সমস্ত ক্যাম্পেইন চলছে, যে সমস্ত অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং তাকে ওই অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে। যারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জড়িত আছেন তারা জাতিসংঘের টিমকে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, সনাতনী কিছু মানুষ সবাই না, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু কমিউনিটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে ইত্যাদি কথা বলছে, যা সর্বৈব মিথ্যা। এটা তাদের সুদূর পরিকল্পনা। এই কথাগুলো গুরুত্বের সাথে বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত-বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টি, জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, লোকনাথ টেংকের পাড়, বিরাসার মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, রেলস্টেশন চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বর সহ বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
এসময় বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, হাসান সারোয়ার, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা তাতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
এসময় সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগ, সদর উপজেলা, পৌর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পৌর, সরকারি কলেজ ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য লেখেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ। লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
পরিদর্শন বই স্বাক্ষরের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গতকাল ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।