চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাইভেটকারে গাঁজা বোঝাইয়ের সময় দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩২ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার শাহাপুর রাজাপুর গ্রামে গাঁজাসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শাহপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর দুই ছেলে মো. সাত্তার (২৮) ও মো. সেলিম (৩২)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারে মাদক বোঝাইয়ের সময় দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে৷
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। আটক মো. সোহেল (৩২) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকার মো. শহীদ মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ব্রিজের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনা জেলে বসেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে ট্যানেল, রূপপুরে পারমাণবিক চুল্লিসহ এরকম কয়েকশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে সারা বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনা প্রশংসিত। এসব দেখে বিএনপির সহ্য হচ্ছে না।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক সময় মিসকিনের দেশ বলা হতো। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ হলো এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রুল মডেল।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের দেশ পরিচালনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তাদের ছিল লুটপাট ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিকে মন্ত্রী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করে আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার আহ্বান জানাই।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জন্মদিনের কেক কাটা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষে জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে আজ ১ ডিসেম্বর কসবায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, “জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার আজও হয়নি। এর বিচারের মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যতদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বক্তব্য রাখেন ছাত্র আন্দোলনের নেতা আমিনুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সিরাজুল হক ইমু, শিবির নেতা আব্দুর রহমান, জামায়াত নেতা শামিম রেজা, যুব জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিল্লাল হোসেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিচালক শাহাবুদ্দিন ইসলাম হৃদয়।
বৈষম্যবিরোধী নেতা আহসানুল হক ফাহাদ ও রাকিবুল ইসলামসহ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের নেতা সাদ্দাম হোসেন, সাইফুল ইসলাম, টি আলী কলেজ ছাত্রদলের নেতা তারেক মাহমুদ, শিবির নেতা জুনায়েদ সিদ্দিক এবং ছাত্রদলের দেলোয়ার হোসেন জিন্নাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১শত কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার খাটিহাতা বিশ্বরোড এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে ১টি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সুরুজ মিয়া (৩৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হাসনপুর গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।
এছাড়াও অপর আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর নামক এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সানু মিয়া (৬০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার ১০ দিন পর মহসিন মিয়া নামে এক অটোচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কুটি ইউপির শান্তিপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মহসিন মিয়া (৩৪) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ার গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পার্শ্ববর্তী গ্রামের মন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়াকে চট্টগ্রাম থেকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আয়েত আলী বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জানা যায়, মহসিন মিয়া একজন অটোচালক। তিনি কিছুদিন আগে একটি মোবাইল পাশের গ্রামের মন মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। মোবাইল বিক্রির পর তার ব্যবহৃত নম্বরগুলো সংরক্ষণের জন্য ফের মোবাইলটি ফেরত আনেন। মোবাইলটি ফেরত দেওয়া নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে মহসিন ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় রাসেল মিয়া তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন মহসিন মিয়া। পরেরদিন থেকে রাসেল মিয়াও এলাকা ছেড়ে চলে যান। মহসিন মিয়াকে পরিবারের লোকজন কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১৮ ডিসেম্বর রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় জিডি করেন নিহতের বাবা আয়াত আলী। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় রাসেল মিয়াকে ২৫ ডিসেম্বর রাতে কসবা থানা পুলিশের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রাসেল মিয়া পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, মহসিনকে তিনি এবং রিপন মিয়া মিলে হত্যা করে শান্তিপুর গ্রামের ছোবহান মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে ফেলে রেখেছেন। তার স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহসিনের অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।