অনলাইন ডেস্ক :
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪১ মিনিট নাগাদ এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
ইউএসজিএস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩ কিন্তু পরে তা ৭ দশমিক ১-এ নামিয়ে আনে।
দেশটির কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার। শক্তিশালী ওই ভূমিকেম্পর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে বেশ কিছু সময় পর্যবেক্ষণ শেষে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনএএমএ) কোনো সুনামির শঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করে।
প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ মার্চ একই দ্বীপপুঞ্জে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই সময় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যা কিছু সময় পর তুলে নেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ২৫ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ ১১ জুন রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে দেশটির সিনিয়র উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে আরব সাগর থেকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। স্থানীয় কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে পাকিস্তানের প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৪৭ জন শিশু।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ করাচি থেকে ৯১০ কিলোমিটার, দক্ষিণ ঠাট্টা থেকে ৮৯০ কিলোমিটার এবং ওরমারা থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে সুউচ্চ ঢেউ এবং প্রবল বাতাসের কারণে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত গুজরাটের তিথাল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর শনিবারের সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়টিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি জনশক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।’
জ্বালানি সম্পর্কে কাতারের আমির বলেন, ‘কাতার থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা কয়েক মাস ধরে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমি আমির হিসাবে, আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বন্ধু দেশ হওয়ায় আমি আপনাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেব।’
ড. মোমেন বলেন, এটি (প্রতিশ্রুতি) বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই নতুন চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮ থেকে ২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ চায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, তারা একসময় জানত বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দারিদ্র্য একটি অভিশাপ।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার পিতার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি একা তা করতে পারবো না। আমি আপনার সাহায্য চাই। আমার আরও বিনিয়োগ দরকার। আমি আমার দেশকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি। আপনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন।’
শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছরের মধ্যে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।
মুসলিম উম্মাহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুচ্ছ বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য অন্তরায়।’ তিনি কাতারের আমিরকে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য কাজ করার অনুরোধ জানান।
জবাবে আমির বলেন, তিনি হয়তো মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন না, তবে, মুসলিম উম্মাহ যাতে আরও অগ্রসর হয় সে বিষয়ে তার প্রচেষ্টা থাকবে।
কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে আমির বলেন, ‘এখন তিন লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি এখানে আছেন এবং তারা কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কাতার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশিরা এখানেই থাকবে এবং তারা পরিশ্রমী ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশিদের নিয়ে খুবই খুশি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বৈঠকটির পরিবেশে ছিল খুবই আন্তরিক। এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, তিনি তাঁকে তাঁর গাড়ি থেকে নামার সময়ই স্বাগত জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা একাডেমির বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেন। আওসাজ একাডেমিতে ৩ বছর থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রায় ৫০০ জন ছাত্র এবং ১৮৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এর শিক্ষার্থীদের আঁকা শিল্পকর্ম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি একাডেমিতে বাংলাদেশি অটিস্টিক শিশুদের আঁকা চারটি শিল্পকর্মও উপহার দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের দ্রুত শনাক্তকরণে কাতারের সহায়তা চান। ড. মোমেন জানান, কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে, তারা একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাজ্য তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
৫২ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন জাতীয় প্রতিরক্ষার তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে আফগান ও ইরাক যুদ্ধের গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ করে আসছে। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে কারাগারে ছিলেন। এখানে বসেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়।
অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কোনো সময় ব্যয় করতে হবে না এবং যুক্তরাজ্যে বন্দি থাকার ফলে সে সুবিধা পাবে। বিচার বিভাগের চিঠি অনুযায়ী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন।
২৪ জুন সোমবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বালমার্স কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ১ হাজার ৯০১ দিন তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বিকালে তিনি যুক্তরাজ্যের যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। সেখান থেকেই তিনি অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা অব্যহত রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন যুদ্ধবিরতী থাকলেও তা আর কার্যকর চাইছে না ইসরাইল। এদিকে গাজা অভিযানে নানা সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে অনেক ইসরাইলি সেনা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গাজা ছেড়েছেন। অন্যদিকে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন।
জানা যায়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরাইলের শত শত সৈন্য চোখে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। কারো এক চোখ এবং অনেকের দুই চোখের জ্যোতিই নিভে গেছে বলে কেএএন নিউজ বুধবার জানিয়েছে।
কেএএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর যেসব সৈন্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরিধান করেনি, মূলত তারাই বেশি চোখের আঘাত পেয়েছে।
বুলেট স্রাপনেল এবং রিকোয়েলের সংস্পর্শ এসে এবং অনেকে হামাসের আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, যারা চোখে আঘাত পেয়েছে, তাদের প্রায় ১৫ ভাগই এক বা দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
কেএএনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে চোখের আঘাত নিয়ে প্রায় ৪০ জন ইসরাইলি সৈন্য বিরসেবার সরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেখানে আরো পাঁচ সৈন্য ভর্তি হয়েছে।
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইল হামাসের তুমুল লড়াই অব্যাহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সাথে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দু’মাস পরে চলমান ভয়াবহ সঙ্ঘাত সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরাইলি সৈন্যরা বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অপর গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরাইলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে।
তার এক মুখপাত্র বলেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।
এদিকে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।
হামাস সরকার জানিয়েছে, বুধবার রাতে অমল মাহদি ইসরাইলি হামলা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। গাজায় ইসরাইল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ছে। জাতিসঙ্ঘের এ সতর্কতার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসঙ্ঘে গুতেরেসের বর্তমান কালকে বিশ্ব শান্তির জন্যে বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইসরাইলি আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরাইলি বোমা।
ঘাসান বকর নামের এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই। নেই রুটি, নেই আটা। সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিপক্ষীয় অভিবাসন ও চলাচল ব্যবস্থার আওতায়, বিশেষ করে নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ ও আতিথেয়তা খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে সম্মত হয়েছে ইতালি। ৭ জুন বুধবার ইতালির রোমে বাংলাদেশ ও ইতালির রাজনৈতিক আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
ইতালির প্রতিনিধিদল বর্তমানে ‘ফ্লুসি ডিক্রির’ আওতায় মৌসুমি ও অ-মৌসুমি কাজের জন্য কর্মীদের ৪৬ শতাংশের বেশি বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আলোচনায় উভয় পক্ষ ইতালিতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায় সম্মত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইতালির সঙ্গে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ইতালির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মহাসচিব রিক্কার্ডো গুয়ারিগলিয়া। প্রথম রাজনৈতিক সংলাপে বসার আগে তাঁরা সংলাপবিষয়ক সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন।
আলোচনায় উভয় পক্ষ অভিবাসন ও চলাচল, কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ সম্পর্ক আরো জোরদারে সম্মত হয়েছে।