অনলাইন ডেস্ক :
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪১ মিনিট নাগাদ এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
ইউএসজিএস প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩ কিন্তু পরে তা ৭ দশমিক ১-এ নামিয়ে আনে।
দেশটির কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার। শক্তিশালী ওই ভূমিকেম্পর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে বেশ কিছু সময় পর্যবেক্ষণ শেষে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনএএমএ) কোনো সুনামির শঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করে।
প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ মার্চ একই দ্বীপপুঞ্জে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই সময় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যা কিছু সময় পর তুলে নেওয়া হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এইই সুবাদে দ্বিতীয় দফা মেলানিয়া ট্রাম্প হয়েছেন আমেরিকান ফার্স্টলেডি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাই মেলানিয়াকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে কমবেশি সবার। তাছাড়া ৫৪ বছর বয়সি মেলানিয়ার তারুণ্য ধরে রাখা নিয়েও আলাদাভাবে আগ্রহ আছে অনেকের। মেলানিয়া ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে না চাইলেও তিনি যে নিজের ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে বেশ যত্নবান তাকে দেখলেই বুঝবেন যেকেউ। অথচ, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার উল্টো। ফিটনেস নিয়ে তিনি খুব বেশি সচেতন নন।
কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে থেকেও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের পথ বেছে নিয়েছেন মেলানিয়া। তার ডায়েট চার্টই বা কেমন। সে সম্পর্কে হেলথ ডাইজেস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানান, নিজেকে ফিট রাখতে দিনে অন্তত ১১.৫ কাপ পরিমাণ পানি পান করেন মেলানিয়া।
নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান মিরান্ডা হ্যামার টাইমকে বলেন, ‘আপনার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তার বিকল্প নেই। চর্বির ভালো উৎস হল লবণ এবং চিনি-মুক্ত বাদাম, মাখন, চিয়া, তিল, তিল বা শণের বীজ, শণের তেল, নারকেলের মাংস, নারকেল দুধ, বা সম্পূর্ণ – চর্বিযুক্ত জৈব দই।’
২০১২ সালে, মেলানিয়া ট্রাম্প তার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন সকালে, আমার কাছে কয়েকটি উপাদান এবং প্রচুর ভিটামিনসহ একটি নাস্তা থাকে। এটি খুব স্বাস্থ্যকর। তিনি ঠিক কি খান তা সে সময় তিনি জানাননি।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ফেসবুকে তিনি রেসিপি দিয়েছিলেন। তিনি যেখানে জানান, ‘আমার প্রতিদিনের সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টের রেসিপির জন্য আপনাদের কাছ থেকে অনেক অনুরোধ পেয়েছি। সমস্ত তাজা এবং জৈব মিশ্রিত করুন যেমন- পালং শাক, সেলারি, গাজর, ব্লুবেরি, আপেল, কমলার রস, লেবুর রস, চর্বিহীন দই, অলিভ অয়েল, শণের বীজ, ওমেগা -৩, ভিটামিন ডি।’
এর বাইরে মেলানিয়া ফলের রস উপভোগ করেন। ২০১২ সালে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি স্বাভাবিক জুসের বদলে ওটমিলের জুস খান। এছাড়াও আপেলের জুস নিজের খাবার তালিকায় রাখেন মেলানিয়া। এর বাইরে প্রতিদিন সাত টুকরো ফল খান তিনি। মেলানিয়ার এমন স্বাস্থ্য সচেতনতা স্ত্রীর কাছ থেকে ট্রাম্পেরও শেখা উচিত।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ডিপসিক বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি ও ক্লডের মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে। ডিপসিকের এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে অন্যতম প্রধান কারিগর ২৯ বছর বয়সী লুও ফুলি।
কে এই লুও ফুলি?
লুও ফুলি চীনের ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর পিকিং ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিকস থেকে উচ্চতর গবেষণা করেন।
২০১৯ সালে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিক্স কনফারেন্সে আটটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রযুক্তি বিশ্বে নিজের প্রতিভার জানান দেন তিনি। এরপর আলিবাবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ড্যামো একাডেমিতে যোগ দিয়ে মাল্টিলিঙ্গুয়াল এআই মডেল ভেকো (VECO) তৈরিতে কাজ করেন।
ডিপসিকের সাফল্যে ফুলির ভূমিকা
২০২২ সালে লুও ফুলি ডিপসিকে যোগ দেন এবং ডিপসিক (V-2) মডেলের উন্নয়নে মূল ভূমিকা রাখেন। তার গবেষণা ও নেতৃত্বে ডিপসিকের এআই মডেল বিশ্ববাজারে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ডিপসিকে কাজ করার সময় ফুলি তার অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে শাওমির প্রতিষ্ঠাতা লেই জুনের নজর কাড়েন। লেই জুন তাকে ১০ মিলিয়ন ইউয়ান বার্ষিক বেতনে শাওমিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন, কিন্তু ফুলি সেই প্রস্তাব নাকচ করে ডিপসিকের সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যান।
ডিপসিক বনাম প্রতিদ্বন্দ্বী এআই মডেল
চীনের ৪০ বছর বয়সী লিয়াং ওয়েনফেং ২০২৩ সালে ডিপসিক প্রতিষ্ঠা করেন। কম খরচে তৈরি হওয়া এই চীনা এআই চ্যাটবট বর্তমানে উন্নত লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (LLM) প্রতিযোগিতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপসিক ৩-এর পারফরম্যান্স মেটার লামা ৩.১ ও আলিবাবার কুয়েন ২.৫-এর সমতুল্য। এটি ওপেনএআই-এর GPT-4o ও অ্যানথ্রপিকের Claude 3.5 Sonnet-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়, ডিপসিকের আর-১ মডেল ওপেনএআই-এর মিনি মডেলকেও ছাড়িয়ে গেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান Artificial Analysis জানায়, গুগল, মেটা ও অ্যানথ্রপিকের তৈরি মডেলগুলোর তুলনায় ডিপসিকের এআই প্রযুক্তি আরও উন্নত।
যুক্তরাষ্ট্রেও চমক দেখাচ্ছে ডিপসিক
মাত্র এক সপ্তাহে ডিপসিক যুক্তরাষ্ট্রে চ্যাটজিপিটিকে পেছনে ফেলে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের শীর্ষস্থান দখল করেছে। এর ফলে এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট ও মেটার মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য কমতে শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বড় অংশটাই বাবার সাথে কাজ করে কাটিয়েছেন। আবাসন খাতে যখন ট্রাম্প শীর্ষে ছিলেন, তখন ইভাঙ্কা নতুন হোটেলের নকশা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিভিশনের শো-তে সক্রিয় থাকাকালে ইভাঙ্কা ছিলেন তার বোর্ডরুমের সদস্য। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সময় বাবার প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সি শুরু হলে ২০১৭ সালে ইভাঙ্কা হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে কাজ শুরু করেন।
কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইভাঙ্কা ওয়াশিংটন ছেড়ে দেন। ২৩ বছর বয়স থেকে ওয়াশিংটনে থাকা এই নেত্রী এবার শহরটি ছেড়ে রাজনীতি থেকে একেবারে সরে দাঁড়ান। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘আমি আর রাজনীতিতে ফিরছি না।’
২০২২ সালে ট্রাম্প তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলে ইভাঙ্কা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, ‘আমি আমার বাবাকে খুব ভালোবাসি। তবে এখন আমার ছোট শিশুদের এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছি না।’
২০২৪ সালে বাবার বিজয়ের পরও ইভাঙ্কার এই অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা। ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জ্যারেড কুশনার এখন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ব্যক্তিগত জীবনযাপন করছেন। চার বছর ধরে তারা সেখানেই আছেন, জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যায়নি তাদের।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ
হোয়াইট হাউসে চার বছর কাজ করার সময় ইভাঙ্কা ছিলেন অত্যন্ত সক্রিয়। তবে বাবার নেয়া কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে না পারায় তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। তখন নিউইয়র্কে উদারপন্থী বন্ধুদের মধ্যেও তিনি কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। নৈতিকতার প্রশ্নে সমালোচনার মুখে তাকে নিজের সফল ব্র্যান্ডও বন্ধ করতে হয়েছিল।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এখন ইভাঙ্কা স্বাধীন জীবনের স্বাদ পাচ্ছেন। তিনি দ্য লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্টে বলেন, রাজনীতি একটি অন্ধকার জগৎ, যেখানে নেতিবাচকতার আধিক্য। আমার কাছে যা ভালো মনে হয়, রাজনীতি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত হলেও ইভাঙ্কা এবার বাবার প্রশাসনে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন না। তিনি দৃশ্যপটের বাইরে থেকে পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন। ইভাঙ্কার বন্ধু ম্যাগি কর্ডিশও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ইভাঙ্কা সবসময়ই একজন বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর ছিলেন।
অন্যদিকে, ইভাঙ্কার স্বামী জ্যারেড কুশনারও নতুন প্রশাসনে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিতে রাজি নন। তবে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে ট্রাম্পকে উপদেষ্টা হিসেবে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প পরিবারের প্রতি প্রেসিডেন্টের বিশেষ আস্থা এখনো দৃশ্যমান। উদাহরণ হিসেবে জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনারকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দেশটির হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল জাপান সফর করছেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদসচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধানরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সাথে শুক্রবার দামেস্কে সাক্ষাত করেছেন ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে সাক্ষাতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারোতের সাথে হাত মেলালেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবকের সাথে হাত মেলাননি আল-শারা। তিনি আগে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন।
রাজনীতির অভ্যর্থনার প্রোটোকলে হাত মেলানো খুব সাধারণ ঘটনা। কিন্তু এটি এড়িয়ে গেছেন সিরিয়ান নতুন প্রশাসনের প্রধান। যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জার্মান দৈনিক বিল্ড এই ঘটনাটিকে ‘হ্যান্ডশেক কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দিয়েছে।
দ্য নিউ আরবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপের এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসাবে সিরিয়া সফর করেছিলেন, যেখানে তারা গত মাসে বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সাহায্য করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
এছাড়া জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি নারীদেরও সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতে এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
কিন্তু দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে পৌঁছানোর পর আল-শারা ব্যারোতের দিকে তার হাত বাড়িয়ে দিলেও বেয়ারবকের দিকে দেননি। বরং শারা এই সময় তার হাত বুকে রেখেছিলেন।
ইসলামের কিছু কঠোর ব্যাখ্যা বিপরীত লিঙ্গের লোকেদের মধ্যে শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে যদি তারা বিবাহিত না হয়।
এই অবস্থা দেখে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারোত নিজেও আর আল-শারার দিকে হাত বাড়িয়ে দেননি, কিন্তু আল-শারা যখন হাতে মেলাতে এগিয়ে দেন তখন তিনিও হাত মেলান।
এ নিয়ে বেয়ারবক বলেন, ‘আমি যখন সেখানে যাচ্ছিলাম, তখন আমার কাছে স্পষ্ট ছিল যে স্বাভাবিকভাবেই হাত মেলানোর ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু এটি একইভাবে স্পষ্ট ছিল, শুধু আমি নই, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতেন। সে অনুযায়ী, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁর হাত (আল-শারার দিকে) বাড়াননি।’
সিরিয়া একটি বহুজাতিক ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের রাষ্ট্র। এখানে কুর্দি, আর্মেনিয়ান, আসিরিয়ান, খ্রিস্টান, দ্রুজ, আলাউই শিয়া এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি আরবসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী বসবাস করে। শারার দল সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং স্বাধীনতা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা এক সময় আল-কায়েদার সাথে জড়িত ছিলো। বর্তমানে শারার প্রতিবেশীদের আশ্বস্ত করতে চাইছেন, এটি ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকড় থেকে দূরে সরে গেছে।