চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা পাঁচ ছুটি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২৬ এপ্রিল বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে মাছ, রডসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সিদ্ধান্তে গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে সকাল থেকে বন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস জানান, ছুটির সময়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সীমান্ত পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী ও সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রপ্তানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ ১৯ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে আখাউড়া উপজেলা এসেছে। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।
আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি। তিনি আরোও বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর বা চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচি অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও পরিছন্নতা কাজ শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভা। পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল নিজে খালে নেমে ময়লা পরিস্কার করার কাজে অংশ নেন। এসময় মেয়রের সাথে ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক খাল পরিস্কার কাজে অংশ নেন।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় পৌর শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পার হয়ে খালাজোড়া এলাকায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে সীমান্ত পার হয়ে আসা সাইনধারা নদীতে মিলিত হয়েছে। বর্তমানে খালটি খালাজোড়া এলাকায় সাইনধারা নদী পর্যন্ত ৮ জন দখলদার দখল করে খালের চিহ্ন মুছে দিয়েছে।
খাল পরিস্কার কাজ দেখার জন্য ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক খাল পরিস্কার কাজে অংশ নেওয়া সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এমন জনকল্যাণকর কাজে সবসময় যুক্ত থাকার আহবানও জানান। এসময় মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা মন্ত্রীকে খাল দখলসহ বর্তমান অবস্থার কথা জানালে মন্ত্রী আগামী ১২জুলাই সরেজমিনে এসে পরিদর্শনে এসে দখলমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
মসজিদ পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মুক্তার হোসেন, জুবায়ের আহমেদ ও আসিফুর রহমান সুমন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই খালটি দখল ও দূষণে ভরাট হয়ে যাওয়া বৃষ্টি হলে আমরা জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে ছিলাম। আমাদের দাবি ছিলো খালটি পরিস্কার করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা। আজকে পৌর মেয়র নিজে এসে খাল পরিস্কার কাজ শুরু করায় আমার অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব খালটি দখল মুক্ত করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হউক।
পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, দখল দূষণে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। আমরা পৌর শহরের সকল খাল সচল করব। মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় নিজে এসে এগুলো দেখে যাবেন বলে জানিয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল হক চৌধুরী ইমরান, এনামুল হক খাদেম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলি আক্তার, সড়ক বাজার পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বাবুল পারভেজ প্রমূখ।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এসময় ভেকু দিয়ে ময়লা পরিস্কার করে ট্রাকে করে সরানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি সমমান পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগের শেষ পরীক্ষা ছিল আজ ২৭ মে শনিবার। এদিন পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে সুষ্ঠু পরিবেশে বেলা ১টায় পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই তিন তলা ভবনের উপর থেকে ছাত্রদের শোরগোল চেচামেচি ভেসে আসে। হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক শোরগোল শুনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দু’জন অফিস পিয়নকে বিষয়টি দেখতে পাঠান। অফিস পিয়নরা গিয়ে দেখে ছাত্ররা ময়লা ফেলার প্লাষ্টিকের ঝুরি ও পানি খাওয়ার গ্লাস ভাংচুর করছে। শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি টেবিল এলোমেলো পড়ে আছে।
পরে শিক্ষকরা এগিয়ে এলে ছাত্ররা বিদ্যালয় ত্যাগ করে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় এসএসসি পরীক্ষার সাব সেন্টার নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রে রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, আমোদাবাদ শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় এবং হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।
এদিকে টানা একটি মাস সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিলেও শেষ দিন এসে ছাত্রদের এমন আচরণের কারণ খোঁজে পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। শিক্ষকদের ধারনা, এবছর প্রথমবারের মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। ক্যামেরা লাগানোর ক্ষোভ থেকে এমনটি করে থাকতে পারে দুষ্টু ছাত্ররা।
শনিবার বিকাল ৫টায় সরজমিনে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলার একটি ওয়াশ রুমের লুকিং গ্লাসের কাঁচ ভাঙ্গা। একটি কক্ষের সিসি ক্যামেরা উপরের দিকে ঘুরানো। বিদ্যালয়ে প্রবেশের ছোট গেটের একটি অংশ দেয়াল থেকে খুলে পড়ে আছে। পানি সাপ্লাইয়ের ৪টি ট্যাপের মাথা ভাঙ্গা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একজন পিয়ন এক ছাত্রের শার্টের কলারে ধরেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য ছাত্ররা এমন করেছে।
নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল বলেন, আমি সকালেই আভাস পেয়েছিলাম। আজ শেষ পরীক্ষা ছাত্ররা গোলমাল করতে পারে। ক্যামেরা লাগানোর কারণে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের পরামর্শে এবছর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। ছাত্ররা সারা বছর যা পড়ালেখা করেছে এখন তারা ভালো করে পরীক্ষা দিবে। এতে অসুবিধা কোথায়। সিসি ক্যামেরা লাগানোর কারণ এ ধরনের আচরণ করে থাকতে পারে বলে তিনি বলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় দ্বিতীয় দফায় গেল ২ হাজার ৩২০ কেজি ইলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার বিকালে দুটি পিকআপে করে এসব ইলিশ ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়।
খুলনার এসএস করপোরেশন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সাকিয়াত কনস্ট্রাকশন ও প্রীতম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে মাছগুলো ত্রিপুরার আগরতলায় রপ্তানি করে। চলতি মাসে আখাউড়া দিয়ে আরো একাধিক ইলিশের চালান রাজ্যের আগরতলায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সাকিয়াত কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. ইদন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সোমবার বিকালে ১০০টি কার্টনে মাছগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়। প্রতি কেজি ইলিশ মাছের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ১১৩ টাকা।
এদিকে গত শুক্রবার প্রথম চালানে ১৪৩টি কার্টনে করে ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রফতানি করা হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠান এই অনুমতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ অনুমতি কার্যকর থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে রাসেল মিয়া নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী, শাশুড়ি, স্ত্রীর ভাই-বোনসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে নিহতের মা আরজু বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাসেল আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন রাসেলের স্ত্রী শামীমা আক্তার (২৬), শামীমার মা হালিমা (৬০), বড় ভাই বেদন ভূঁইয়া (৪৫), সুমন ভূঁইয়া (৪০), রাজন ভূঁইয়া (৩৫), বড় বোন দিপালী (৩০) ও বড় কুড়িপাইকা গ্রামের সুরুজ ভূঁইয়ার ছেলে সাকিন ভূঁইয়া (৩৫)।
৯ জুলাই রবিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন রাসেল মিয়া।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু শামীমা নানান জায়গায় বিচরণ করতেন। এছাড়াও একাধিক পর পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমালাপ ও ব্যভিচারসহ ইত্যাদি অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন। স্বামী রাসেলের আদেশ-নিষেধ না মেনে তার খেয়াল-খুশিমত উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। শামীমাকে বুঝিয়ে ভালোভাবে ঘর-সংসার করতে অনুরোধ জানালে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করতো। বহু চেষ্টা করেও শামীমাকে ভালো পথে ব্যর্থ হয় রাসেল।
রাসেল তাকে বুঝালেও উল্টো শামীমা তার মা, ভাই ও বোনের কু-প্ররোচনায় বিনা অনুমতিতে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বাবার বাড়িতে থেকে রাসেলকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটূকথা ও অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে। রাসেল মিয়া নিজ সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে শামীমার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখে আসছিল। তারপরও রাসেলকে কারণে-অকারণে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আত্মহত্যা করতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। অবশেষে শামীমা, তার মা, ভাই ও বোনের মানসিক নির্যাতনে রাসেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল জানান, রাসেলের মা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে বিচারক ফরহাদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আখাউড়া থানায় এ সংক্রান্ত আর কোন মামলা আছে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।