অনলাইন ডেস্ক :
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২০ মে দিবাগত রাতে। নতুন করে হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে না। কোটা খালি রেখেই শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এমনটিই জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
তিনি আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এ কথা জানান।
গতকাল হজ নিবন্ধনের বিশেষ দিন ছিল। এরপরও কোটা পূরণ হয়নি। এবার প্রায় ৩ হাজার কোটা খালি রেখেই হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে।
আজ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজের খরচ কমানোর সুযোগ নেই। কোটা খালি রেখেই হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন ও ফ্লাইনাস হজযাত্রী পরিবহণ করবে। হজ ফ্লাইট নিরবচ্ছিন্ন রাখতে রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে হজ কন্ট্রোল রুম, হেল্প ডেস্ক চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষরিত চিঠি হজ অফিসে পাঠানো হয়েছে।
নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন শুরু হয়েছে ১৬ এপ্রিল। ভিসার আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সব জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ঢাকায় ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় এবং হজ অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট নিজ নিজ এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ নেবেন।
চলতি মৌসুমে হজ নিবন্ধনের জন্য দফায় দফায় আটবার বাড়ানো হয়েছে। তারপরও হজযাত্রীদের প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। ফলে নির্ধারিত আসন পূর্ণ না হওয়ায় বিশেষ একদিন সুযোগ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেজন্য মঙ্গলবার হজের নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেওয়া হয়। এই একদিনে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে মাত্র ৪০ জন আর বেসরকারিভাবে করেছে ৭৫৭ হজযাত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হায়দার আলী (৪৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে গোসল করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন তিনি। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসাদহ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, বেলা তিনটার দিকে গোসল করার জন্য হায়দার আলী মোটরের সুইচ অন করে পানি তোলার চেস্টা করেন। ওই সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তিনি মোটরের পাশে থাকা টিউবওয়েলে গিয়ে পানি তুলে গোসল করতে থাকেন। এসময় বিদ্যুত চলে আসে। এতে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, খবর পেয়ে নিহতের বাড়ি পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার এখন কেবল রুটিন কাজ করবে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।
পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না। এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।
এসময় রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।
তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এ রকম কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু একসময় মুদি দোকান চালাতেন নিজ গ্রাম কামালের বার্তিতে। মুদি দোকান চালিয়েই পরিবার নিয়ে কোনো রকমে দিনাতিপাত করতেন তিনি।
তারপর ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রাপ্ত চাচাতো ভাই ইঞ্জিনিয়ার হারুনের সহযোগিতায় বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার নির্মাণ করে অর্থ উপার্জন শুরু করলে দিন পাল্টে যায় বাবুর।
ছাত্রজীবনে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে ভোল পাল্টে রাজনীতি ছেড়ে নিরপেক্ষতার ভান ধরেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রথম সারির কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাবু। ঠিকাদারি করে টাকা-পয়সা কামিয়ে ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ভেড়েন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে যেভাবে সারাদেশের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন, ঠিক সেভাবেই।
২০১১ সালে আওয়ামী লীগে ভিড়েই ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন বাবু। তবে সেবার জয়ী হতে না পারলেও ২০১৪ সালে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হন তিনি।
তারপর থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তথা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেন মাহমুদুল আলম বাবু।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় খুব সহজেই ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পান। পরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দ্রুত নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সক্ষম হন বাবু।
জানা যায়, নারী লোভী বাবু টাকা আর ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে চলতেন।
পুলিশের সাবেক এক ডিআইজির চাচাতো ভাই হিসেবে সর্বস্তরে শক্তি প্রদর্শনের দুঃসাহস দেখাতে থাকেন। আরও বেপরোয়া বাবু হয়ে ওঠেন সাধুরপাড়া ইউনিয়নের অঘোষিত সম্রাট!
২০১৬ সালের নির্বাচনে বিজয় তার জীবনে যেন চিরস্থায়ী আশীর্বাদ হয়ে ফিরে আসে। কারণ, ২০১৪ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর আর কোনো সম্মেলন হয়নি। তাই পদে থেকে ২০২১ সালে ফের নৌকার মাঝি হয়ে
ফিরে আসেন মাহমুদুল আলম বাবু।
একদিকে নৌকা প্রতীকের দুইবারের চেয়ারম্যান, অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ বছরের সাধারণ সম্পাদক। কে ঠেকায় বাবুকে? ক্ষমতার দম্ভে বাবার মতোই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ছেলে ফয়সালও।
নারী লোভী বাবুর চরিত্র ফাঁস হয়ে যায়, যখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা আক্তার দৃশ্যপটে আসেন। জানা যায়, সাবিনাকে দুইবার বিয়ে করেন বাবু। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর সাবিনার কোলে বাচ্চা আসে। তবে পুনরায় সাবিনাকে অস্বীকার করেন বাবু।
সাবিনা যখন তার অধিকার ফিরে পেতে চান, তখন দুঃসাহসিক সংবাদকর্মী গোলাম রাব্বানী নাদিম একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করতে থাকেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নারী লোভী দাপুটে ক্ষমতাশালী চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু।
তার বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করায় নাদিম ও অন্যদের নামে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন বাবু। কিন্তু মামলার মেরিট না থাকায় তা খারিজ করে দেন ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক।
আর এই মামলা খারিজের চার ঘণ্টার মধ্যেই হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম।
সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিকদের ধারণা, বাবু হয়তো জানতেন নাদিমকে কোনোভাবেই আটকানো যাবে না। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে থাকেন, নাদিমকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায় তা নিয়ে!
মামলা দিয়েও ব্যর্থ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নাদিমকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বাবু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
এরই অংশ হিসেবে বাবু সশরীরে উপস্থিত থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন বলে জানিয়েছেন নাদিমের সহকর্মী এবং সহযোগী মুজাহিদ বাবু।
বুধবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে অদূরে অন্ধকার গলিতে দাঁড়িয়ে থেকে ছেলে ফয়সাল ও অন্য সহযোগীদের দিয়ে হামলা করান নাদিমের ওপর। হামলার এক পর্যায়ে ইট দিয়ে থেঁতলে নাদিমকে অচেতন করে পালিয়ে যায় তারা।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক নাদিমের মৃত্যু হয়।
এদিকে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু মাস্টারমাইন্ড বলে মন্তব্য করেছেন জামালপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নাসির উদ্দীন আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসপি নাসির বলেন, এই ঘটনার পেছনে যেসব মাস্টারমাইন্ড রয়েছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘসময় পরও মূল হোতা কেনো আটক হয়নি এবং ওসি বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা যায়নি- এ সম্পর্কে এসপি নাসির বলেন, ওসি সত্যিকার অর্থে ভুল বলেছে। এলআইসি টিম আমার আন্ডারে থাকে। টিম এখন মাঠে আছে। লাইভে বলেছি, লোকেশন দেখেছি, কোনদিকে আছে তারা। পেছন পেছন যাচ্ছে। মাহমুদুল আলম বাবু কিলিং মিশনের নায়ক। সেটা প্রথম থেকেই জানি।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চেয়ারম্যান বাবুর পরিবারের আত্মীয়- এমন অভিযোগের বিষয়ে এসপি নাসির উদ্দীন বলেন, প্রথম থেকে বাবুর নাম আমি বলেছি। সে-ই প্ল্যান মেকার। প্রত্যেকটা জায়গায় বলেছি। আমাদের ব্যাকআপ আছে। আরও মাস্টারমাইন্ড আছে, তারাও বের হয়ে আসবে।
হামলার পেছনে শাহীনা বেগম রয়েছেন- পরিবারের এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের অপরাধ বিজ্ঞান বা আইন বলে ঢাকা থেকে হামলার অংশ হতে পারবে না- এটা সত্য না। যদি নাম আসে আটক করবো, আসামির খাতায় নাম আসলে অবশ্যই আটক করবো। জড়িত থাকলে বা মামলা হলে সবাইকে আটক করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে তিন দিনের ভারত সফরে গেছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আজ ৬ আগস্ট রবিবার বিকেল ৫ টার ফ্লাইটে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের দলটি ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা রবিবার বিকেলে ভারত যাচ্ছি। এটি আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। বিজেপির আমন্ত্রণে আমরা যাচ্ছি।’ আগামী ৯ আগস্ট প্রতিনিধিদলটির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সারাবিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটি খুবই দুঃখজনক।
আজ ২৪ মার্চ রবিবার গণভবনে ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল ইসলাম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি এক ধরনের ভন্ডামি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।
শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।