পদ্মায় ধরা পড়ল ১৭ কেজির কাতল

জাতীয়, 27 April 2023, 884 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ১৭ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাহিরচর এলাকায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জেলে কুব্বাত হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জেলে কুব্বাত হালদার বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে আমিসহ আমার চারজন সহযোগী ট্রলারে পদ্মায় মাছ ধরতে যাই। পদ্মায় বর্তমানে মাছের আকাল পড়েছে। রাতে পদ্মার বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বাহিরচর এলাকায় জাল তুলতেই বড় কাতল মাছটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় আড়তে আমি মাছটি ২০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করি।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে আমি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি ক্রয় করেছি। পরে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

গোপালগঞ্জে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী

জাতীয়, 16 June 2023, 643 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
অ্যাক্রোবেটিকে মোহাচ্ছন্ন অবস্থায় দু’ঘণ্টা সময় কেটে গেল। সমাপ্তি ঘোষণার পর তন্ময় দর্শক মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে এমন প্রদর্শনী নিয়মিত দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নির্মল চিত্ত বিনোদনের এই শৈল্পিক মাধ্যম আরো প্রচার প্রসার হওয়া প্রয়োজন বলেও দর্শকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি ১৫ জুন বৃহস্পতিবার রাতে শহরের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটোরিয়ামে দেশব্যাপী আক্রোবেটিক প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এই প্রদার্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন।

অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীতে নানা কসরত প্রদর্শন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক বিভাগের শিশু ও প্রবীণ সদস্যরা। চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যাক্রোবেটিক শিল্পীর চোখ ধাঁধানো নৈপুন্য শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন বয়সের দর্শকের হৃদয় কেড়ে নেয়। মঞ্চের উজ্জ্বল আলোয় মুখে গাড় মেকআপ আর যন্ত্র সংগীতের সুরের মুর্ছনায় শিল্পীরা কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফসল দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফুঁটিয়ে তুলেছিলেন। সেই সাথে মুগ্ধ দর্শক মুর্হুমুহু করতালি দিয়ে শিল্পীদের উৎসাহ ও প্রেরণা যোগান।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুববুল আলম বলেন, এ্যাক্রোবেটিক (সার্কাস) শিল্প এদেশের মানুষকে দীর্ঘকাল ধরে সুস্থ্য ও শৈল্পিক বিনোদন দিয়ে আসছে। সম্প্রতি সময়ে এই শিল্প বিলুপ্ত হতে চলেছে। এই শিল্প ও শিল্পীদের রক্ষায় শিল্পকলা একাডেমি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়ে ২টি অ্যাক্রোবেটিক দল গঠন করেছে। শিল্পীরা কাজের নিশ্চয়তা পেয়েছেন। তারাই সারাদেশে বছরব্যাপী সুস্থ ও শৈল্পিক বিনোদন প্রদর্শন করে দেশবাসীর প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। এ্যাক্রোবেটিক দল ২টির সদস্যদের এই মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী আমাদের হৃদয় কেড়েছে। এই জন্য প্রদর্শনী টিমের সদস্যদের গোপালগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

পর্যটনে দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে

জাতীয়, 20 February 2024, 242 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে। এ সময়ে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।

আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহর নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। আরও রুট চালুর জন্য নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে। দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোও ভালো করছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করার কাজ চলমান। এ বছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভিতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা অপারেটিং থাকবে।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখছে তা যাতে আরও বৃদ্ধি পায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, যুগ্ম সচিব সাঈদ কুতুব, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।

রুমিন ফারহানার আসনে এমপি হচ্ছেন ইনুর স্ত্রী

আশুগঞ্জ, জাতীয়, 28 February 2023, 1508 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
পদত্যাগ করা বিএনপির সংরক্ষিত নারী এমপি রুমিন ফারহানার আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী ও দলের সহ-সভাপতি আফরোজা হক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনীত প্রার্থী তিনি। এই পদে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বাছাইয়ের পর তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আফরোজা হক। এ সময় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের নেতৃত্বে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, আজই ছিল সংরক্ষি আসনের এ উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ২ মার্চ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ মার্চ।

এর আগে বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগের পর শূন্য আসনের মধ্যে ছয়টির উপনির্বাচন গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ তিনটি, মতাসীন জোটের শরিক জাসদ একটি, জাতীয় পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একটি আসনে জয় লাভ করে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে প্রতি ছয়টি সাধারণ আসনের বিপরীতে একটি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে একাদশ সংসদে জাসদের তিনজন সংসদ সদস্য থাকলেও জাসদ একটি সংরতি আসন পেয়েছে।

বর্তমানে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত একটি আসনই ফাঁকা আছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শূন্য হওয়া সংরতি আসনটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাসদের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার সমঝোতা হয়েছে।

এদিকে আফরোজা হক নির্বাচিত হলে জাতীয় সংসদে দম্পতি সংসদ সদস্যের সংখ্যা হবে তিন। অন্য দুই দম্পতি হলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও তাঁর স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও তাঁর স্ত্রী শরিফা কাদের।

একাদশ সংসদে আরেক দম্পতি ছিলেন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। তবে কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত হয়ে সংসদ সদস্য পদ হারান পাপুল। তবে তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এখনো সংসদ সদস্য রয়েছেন।

সরকারী সকল শূন্যপদে নিয়োগের দাবীতে জেলা যুব মৈত্রীর বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 7 January 2023, 2069 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রী। সমাবেশে উচ্চশিক্ষা শেষ করে সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষার প্রহরের পর প্রহর গুণতে যুব সমাজের মাঝে হতাশা তৈরি হওয়া নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়। দেশকে এগিয়ে নিতে যুব সমাজকে দেশের অর্থনৈতিক ও চালিকাশক্তি কর্মকা-ে জড়িত করতে সরকারের সকল শূনপদগুলো দ্রুত পূরণের আহ্বান জানানো হয়।

জেলা যুব মৈত্রীর আহ্বায়ক অ্যাড. মো. নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ খান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারশনের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি কমরেড ফজিলাতুন্নাহার, সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আল আমিন, জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ খান ও কাজী তানভীর আহমেদ শিপন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে যে পরিমাণ চাকুরি প্রত্যাশী তার তুলনায় চাকুরির সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। শ্রম মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ জনশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এই কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি আর ৯৫ শতাংশ বেসরকারি খাতের। উচ্চশিক্ষা শেষ করে অনেকে সরকারি চাকুরির জন্য অপেক্ষা করেন বছরের পর বছর। একাধিক বিসিএস এবং একের পর এক সরকারি চাকুরির পরীক্ষা দিতে দিতে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল চাকুরির সুবিধা পরিবারে পরিবারে পৌঁছে দেওয়া। যেখানে রাজস্ব খাতভুক্ত পদের বড় সংখ্যা শূন্য থাকে, সেখানে ক্ষমতাসীন দলের এ প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে সরকারী ৩লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৩৭ শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরী করা ও বেকার ভাতা চালুর দাবী জানান।
সমাবেশে যুব মৈত্রীর দাবীর সাথে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস

জাতীয়, 14 December 2023, 337 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের ৫২তম বছরের আর এক দিন। এর পরই বাঙালি মেতে উঠবে বাঁধভাঙা উল্লাসে। কিন্তু এই উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে এক রক্তের ইতিহাস।

মৃত্যু, সম্ভ্রমহানি, নির্যাতন, কান্না, ক্ষুধা, ঘরবাড়ি হারানো, শস্যের পোড়া খেত-মুষড়ে পড়া একটা কালের স্মৃতি। ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিকালের একটি ক্ষত বুকের গহিনে আজও হানা দিয়ে যায়।

বিজয়ের ঠিক মাহেন্দ্রক্ষণের আগে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের মানুষের বেদনাবিধুর দিন।

১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

এ মাটির প্রিয় সেসব সন্তানের লাশের গন্ধ যেন আজও বাতাসে ভাসে। সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী, পিতৃহারা সন্তানের করুণ হৃদয়ের কান্না আর রক্তক্ষরণ কেনোদিনও থামার নয়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষের ওপর পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নির্বিচারে বাঙালি হত্যা, মাইলের পর মাইল ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ভৌত অবকাঠামো ধ্বংস করা, নারীদের সম্ভ্রমহানি-সবকিছুই করেছে তারা। কিন্তু বাঙালির রণকৌশলের কাছে তারা টিকতে পারছিল না।

তাই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে।

রাতের অন্ধকারে বাসা অথবা কর্মস্থল থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে তারা হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা।

দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখা হয়।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরপরই বুদ্ধিজীবীদের নিকটাত্মীয়রা বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ খুঁজে পান। তাদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা।

কারও কারও শরীরে একাধিক গুলিও ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকের লাশ তাদের প্রিয়জনরা শনাক্তও করতে পারেননি।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমদ, খোন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, কবি মেহেরুন্নেসা, গিয়াস উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।