চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা। আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য স্নানের মধ্যদিয়ে মেলা শুরু হয়।
প্রতি বছর ১৪ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা। তবে ঠিক কত বছর আগে এ মেলার যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বান্নি মেলাকে কেন্দ্র করে ভাদুঘর এলাকার প্রায় বাড়িতে চলে উৎসবের আমেজ। দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা বেড়াতে আসেন। বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয় নানা ধরনের পিঠা। তিতাস নদীর পাড়ে বসে বিভিন্ন পণ্যের পসরা।
মেলায় আসা আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হলেও ভাদুঘরের বান্নি মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। ছোটবেলায় দেখেছি পরিবারের সদস্যরা বান্নিতে আসতেন। বুঝতে শেখার পর বাপ-দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। এখন আমরা আসি প্রতিবছর। তবে মেলার সেই জৌলুস আর নেই।’
আতিকুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, আগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় লোকে-লোকারণ্য হয়ে যেতো। বাস-ট্রাকে করে মানুষ আসতে দেখেছি।
এখন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকালে স্নানের পর বেশিরভাগই চলে যান। তবে এবার বিকেলের দিকে জমজমাট ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। দিনব্যাপী পুলিশ সদস্যরা মেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশের ন্যায় একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা পর্যায়ের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে গভ: মডেল গার্লস হাইস্কুলে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হচ্ছে।
“ডিসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম” শীর্ষক স্কিমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯ টি উপজেলা এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া ও মুরাদনগর এই ৩ টি উপজেলার মোট ৩৯৬জন প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জুলফিকার হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিউল্লাহ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মার্জিয়া রিংকু, জেলা প্রোগ্রামার জিসান আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পর্যায়ে গণিত বিষয়ে নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনার ও হাজী আব্দুল কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও উলচাপাড়া মালেকা-ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ জেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনারগণ উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আগামী ৮ নভেম্বর উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলা এবং হবগিঞ্জ জেলার মাধবপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নর (সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান বিজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর, ধর্মঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সন্তোষনগর, মধুপুর, নোয়াবাদী, দৌলতবাড়ি, আলীনগর, মোহনপুর, বিষ্ণপুর, ইকরতলী, কাশিনগর এবং নলগরিয়া এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালায় ২৫ বিজিবি সদস্যরা। এসময় অভিযানে ৯৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৮১ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ১৫ কেজি গাঁজা, ৬০ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১০০ পিস শাড়ী, ৭২০ পিস কাবেরী মেহেদী, ১৭০৪টি ভারতীয় চকলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদ্রকদ্রব্য মালামাল গুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা এবং ধ্বংসের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চোরাচালান মালামাল গুলো আখাউড়া কাষ্টমসে জমা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, (পিএসসি) জানান, সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনরকম মাদক যেন দেশে না ঢুকতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সবসময়ই সীমান্ত এলাকায় সজাগ রয়েছে। দেশ ও যুব সমাজ রক্ষায় তাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশের আপামর জনগোষ্টীর মধ্যে চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। ইহারই ধারা বাহিকতায় সরকারি অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে হৃদরোগীদের চিকিৎসা সেবায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘‘সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মীদের অবহিত করন শীর্ষক’’ এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় এই আহবান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডা: ডিউক চৌধুরী, সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা: মাহমুদুল হাসান এবং ডা: জহিরুল ইসলাম প্রমুখ আলোচ্য বিষয়ে কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেমিনারের অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মিন্টু ভৌমিক, ব্যবস্থাপনা কমিউনিটির সদস্য এডভোকেট মোঃ হাবিবুল্লাহ, ফরিদা নাজমিন, জেসমিন খানম, তাজুল ইসলাম বাবু ও মোঃ জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের স্বপ্ন ছিল জীবনে একবার হেলিকপ্টারে চড়ার। তিনি তার ইচ্ছের কথা জানান ছেলে সোহাগ সরকারকে। মায়ের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে হেলিকপ্টারে চড়ালেন ছেলে। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের প্রস্তাবিত জাহানারা হক মহিলা কলেজ মাঠ থেকে সোহাগ সরকারের বাবা-মাসহ চারজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় হেলিকপ্টারটি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ এলাকার বাসিন্দা সোহাগ সরকার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহাগ সরকার বলেন, আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল যে হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরবে। পরে জানতে পারলাম যে আমার এলাকায় প্রবাসী হেলিকপ্টার আসবে তখন আমি মায়ের এ স্বপ্নটা পূরণ করতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিট বুকিং করি। বাবা-মায়ের এ ছোট স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে।
এ সময় সোহাগের মা বলেন, আমার ছেলের কাছে বলেছিলাম আমার স্বপ্ন হেলিকপ্টার দিয়ে ঘুরবো। আজকে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে আমার ছেলে। আমি এবং আমার স্বামী আমরা দুজনেই এই হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
সৌদি আরব প্রবাসী ইসমাইল খাঁ বলেন, সরকার প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী হেলিকপ্টার নামে দারুন একটি সেবা চালু করেছে। আমি প্রথমবারের মতো আমার এলাকায় প্রবাসী হেলিকপ্টার দিয়ে টাকা বিমানবন্দর থেকে আমার এলাকায় এসেছি। আমি প্রবাসীদের কাছে অনুরোধ করব যদি কারো সামর্থ্য থাকে তাহলে যেন প্রবাসী হেলিকপ্টার সেবা গ্রহণ করেন।
হেলিকপ্টার দেখতে এলাকার কয়েকশো উৎসুক জনতার ভিড় জমে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রবাসীদের এমন আসা তাদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। প্রতিটি প্রবাসী এমন সম্মান নিয়ে যেন দেশে ফেরেন সেটায় আশা করছেন স্থানীয়রা।
’মাদককে না বলি’ শ্লোগান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে সোনালী লাইফ হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৩। দেশ-বিদেশের ২৫০ জন দৌড়বিদ এতে অংশগ্রহন করবেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, রাশিয়া এবং নেপালের ৬ জন দৌড়বিদ রয়েছেন।
এ উপলক্ষে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে এক প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ। এতে কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির কর্ণধার দিলারা আক্তার খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক এ, জেড, এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, কলেজেরসহযোগী অধ্যাপক খালিদ হোসেন খান, মোশারফ হোসেন, ট্রাফিক অফিসার অবচ্যুতদাস গুপ্ত, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ইব্রাহীম খান সাদত ও সোনালী লাইফের কর্মকর্তা এমদাদুল হক। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান ম্যারাথন দৌড় সম্পর্কে সার্বিক বিষয় তুল ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রাজন মিয়া ওআলী আহাদ রতন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে স্থানীয়ভাবে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৬টায় শুরু হবে এ হাফ ম্যারাথন। যেখানে ২১.১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৭৭ জন, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৯ জন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন শুরু হওয়া ম্যরাথন দৌড় শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা রোড, চর ইসলামপুরের গঙ্গানগর হয়ে আবার শিমরাইলকান্দি ব্রীজে এসে শেষ হবে। দৌড়কে সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।