চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর কনটেইনার ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৭টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে প্রচন্ড গরমে রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী মোঃ সৌমাক শাওন, বিভাগীয় প্রকৌশলী ঢাকা- ২ সিরাজ জিন্নাত ও বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রাসেল।
এদিকে বৃহস্পতিবার ১টার দিকে অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে কনটেইনার ট্রেনের ৭বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। উল্লেখিত পথের আন্তঃনগরসহ সব ধরণের ট্রেন বেশ বিলম্বে চলাচল করে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করায় ট্রেনগুলো বিলম্বে চলাচল করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুর এলাকায় অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী (কন্টেইনার) ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী রেলপথ (আপ লাইন) দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় দাড়িয়াপুর এলাকায় রেলাইনের উপর ৫১ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিলো। রেললাইনের উপর সাধারনত ৪৫ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা গেলেই ট্রেনের গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরেই এ পথে গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া আছে। পাশাপাশি কচুরিপানা ও পানি দিয়ে রেললাইনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম. ঢাকা-সিলেট পথে বেশিরভাগ ট্রেনই বেশ বিলম্বে চলাচল করে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা বিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া আন্তঃনগর তূর্ণা নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, উপকুল এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা মেইলসহ সব কয়টি ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুলল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কনটেইনার ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগি গুলো উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে লাইন মেরামত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেছেন “মাজলুম ওলামায়ে কেরাম” নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উম্মুল কোরআন মাদরাসার মোহতামিম মুফতি উবায়দুল মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতন হওয়া স্বৈরাচারি সরকার গত ১৬ বছর এদেশে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলায় জেলার ৬৪জন আলেম দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর গুলিতে ১৬জন আলেম ও মাদরাসার ছাত্র শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫৬টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। নেতৃবৃন্দ এসব মামলা সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ২০২১ সালে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি এবং ২০২১ সালে চাকরিচ্যুত আলেম-ওলামাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িতরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা নিয়ামুল করিম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা খন্দকার ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রমাগত দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারিয়ে বিলীন হচ্ছে বাঙালির প্রাণের সাথে মিশে থাকা নদ-নদীগুলো। যার প্রভাবে ধুঁকছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। সে অবস্থা থেকে নদী রক্ষার পাশাপাশি জনমনে নদীর প্রতি আন্তরিকতা বাড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণ্যাঢ্য নৌ র্যালি। গতকাল শনিবার বিকেলে নৌ দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীতে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন “তরী’র উদ্যোগে এই র্যালির আয়োজন করা হয়।
‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’ এই স্লোগান সামনে রেখে শহরের তিতাস নদীর আনন্দবাজার নৌ-ঘাট থেকে ১০টি নৌকা নিয়ে র্যালিটি নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এ সময় নদী রক্ষার বিভিন্ন স্লোগানে পতাকা আর ব্যানার প্রদর্শন করে সাধারণ জনগনকে সচেতন করা হয়। র্যালিতে কবি-সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। র্যালিটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করার পর ভাদুঘর নৌ ঘাট গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নদীভিত্তিক কবিতা নিয়ে নদী বন্দনা। উদ্বোধন করেন কবি জয়দুল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক মীর (শিক্ষা ও প্রযুক্তি)। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার আহবায়ক ফজলুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নদীকে বাঁচাতে প্রশাসন সব সময়ই তৎপর রয়েছে। নৌ র্যালির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নদীকে দখল-দূষণের হাত থেকে রক্ষায় সচেতন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের পারুলিয়া পাড়া, কলামুড়ি ও বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ মার্চ রবিবার চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ।
অভিযানে পুরাতন কলামুড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে ছাতিয়ান পর্যন্ত ৭৫০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ, পারুলিয়া পাড়া থেকে ৫০০ফুট অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ২ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে রবিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের অভিযানিক টিম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কলামুড়ি, ছাতিয়ান, ও পারুলিয়া পাড়া এলাকায় ২ টি অবৈধ গ্যাস সংযোগের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৪৫ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সূত্র জানায়, এই সঞ্চালন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২০১৫-১৬ সালে সুহিলপুরের পারুলিয়া পাড়ার অবৈধ গ্যাস সংযোগ গুলো দিয়েছেন সরাইলের গ্যাস ঠিকাদার মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম ওরফে সেলিম মাস্টার।
কলামুড়ি থেকে ছাতিয়ান পর্যন্ত অবৈধ পাইপলাইন স্থাপন করে সংযোগ গুলো দিয়েছেন ঠিকাদার বাশার। অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির ,উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। বকেয়া বিল পরিশোধ ও অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবহার না করতে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য সকল মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এছাড়া অবৈধ সংযোগগুলোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ মো. হাবিবুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর শুত্রুবার বিকেল ৫টায় কাউতলী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হল রুমে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. সাদির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মো. হাফিজ উল্লাহ হাফিজ।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের পৌর মার্কেটের সামনে জেলা বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ হাবিবুল্লাহ নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাটি চলছিল এবং যারা দোষী তারা প্রমাণিত হয়েছিল, বিচার চলাকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে মামলাটি স্থগিত করে দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে শেখ হাবিবুল্লাহর হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে নির্দেশ দেন মামলাটি সচল করে পুনরায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি সব নেতাকর্মীদের সংযত থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী সরকার যেভাবে পালিয়েছে আমাদেরকেও যেন এমনভাবে পালাতে না হয় এজন্য জণগনের জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান মঞ্জু, এবি এম মমিনুল হক, আলী আজম, মাঈনুল হোসেন চপল, মইনুল ইসলাম, হাসেন আলী, ভিপি লিটন, আলহাজ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান, শামিম মোল্লা, রাশেদ হক, আতিকুল হক জালাল, নাজমুল হুদা সানি, জিয়াউল হক, শেখ আব্দুল্লাহ, ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাসেল সরকার, সোলায়মান হোসেন জুয়েল, মো. মামুন, সোহেল, মো. মুক্তি, এখলাস খাব, মীর রিয়াদ প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ হাবিবুল্লাহর ছোট ভাই শেখ আমানুল্লাহ ন্যায় বিচার পেতে সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জামাল নাছের শিক্ষার্থী (ছাত্রছাত্রী) দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ২০২৩ সালের নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এক শ্রেণির কোচিং নির্ভর শিক্ষক নিজেদের স্বার্থে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই কারিকুলাম তোমাদের ভবিষ্যৎ উন্নতির লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে তোমরা বিশ্বের যোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারো। তাই তোমাদেরকে সকল বিভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকতে হবে। লেখাপড়া খেলাধুলার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বিশ্বের যোগ্য মানুষ হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের পর আর মোবাইল আর মোবাইল ফোন থাকবে না। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তখন ৩০ সেকেন্ডে পৃথিবীর যেকোন স্থানে চলে যাওয়া যাবে। তোমাদেরকে তখন অত্যাশ্চর্য বিশ্বে বসবাস করতে হবে। রোগ নিরূপন করতে তখন ডাক্তার লাগবে না। যন্ত্র রোগ নিরূপন করবে। রোবট প্রায় সবকিছু করবে। সেজন্য বিশ্বের উপযোগী যোগ্য নাগরিক হয়ে গেেড় উঠতে তোমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, যারা আমাদেরকে এদেশ এনে দিয়েছেন তাদেরকে এবং মা বাবাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। নৈতিকতা অর্জন করতে হবে।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন চিনাইর গ্রামে অবস্থিত চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) এবং আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান চত্বরে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) গভর্ণিং বডি ও আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মাউশি’র (গ্রেড-১) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মহাবিদ্যালয় (কলেজ) পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারি ও বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ আজহারুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, উপাধ্যক্ষ এ.কে.এম শিবলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন, আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন।
মহাবিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় শিল্পীরা মন মুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পালাক্রমে অনুষ্ঠান উপাস্থাপনা করেন সহকারি অধ্যাপক মহিবুর রহিম, প্রভাষক স্বর্ণা আক্তার, প্রভাষক মোঃ শাহিন মিয়া, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক পংকজ মধু ও সিনিয়র সহকারি শিক্ষক রোখসানা বেগম।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।