চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর কনটেইনার ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৭টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে প্রচন্ড গরমে রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী মোঃ সৌমাক শাওন, বিভাগীয় প্রকৌশলী ঢাকা- ২ সিরাজ জিন্নাত ও বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রাসেল।
এদিকে বৃহস্পতিবার ১টার দিকে অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে কনটেইনার ট্রেনের ৭বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। উল্লেখিত পথের আন্তঃনগরসহ সব ধরণের ট্রেন বেশ বিলম্বে চলাচল করে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করায় ট্রেনগুলো বিলম্বে চলাচল করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুর এলাকায় অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী (কন্টেইনার) ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী রেলপথ (আপ লাইন) দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার সময় দাড়িয়াপুর এলাকায় রেলাইনের উপর ৫১ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিলো। রেললাইনের উপর সাধারনত ৪৫ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা গেলেই ট্রেনের গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরেই এ পথে গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া আছে। পাশাপাশি কচুরিপানা ও পানি দিয়ে রেললাইনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম. ঢাকা-সিলেট পথে বেশিরভাগ ট্রেনই বেশ বিলম্বে চলাচল করে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা বিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া আন্তঃনগর তূর্ণা নিশিথা, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, উপকুল এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম মেইল, ঢাকা মেইলসহ সব কয়টি ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুলল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে কনটেইনার ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগি গুলো উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে লাইন মেরামত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লাইনে ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাচীণ বেসরকারি বালক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৫তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ উৎসব মুখর পরিবেশে ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঞার সভাপতিত্বে সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য। মোট ৬৭টি ইভেন্টে ৭ শতাধিক ছাত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। প্রতিযোগিতার ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে প্রাণবন্ত করে রাখে।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকগণ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। উপস্থাপনা করেন সহকারি শিক্ষক মোঃ আবদুর রকিব। প্রতিযোগিতা চলাকালে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অভিভাবক উপস্থিত ছিল। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ নতুন জাতীয় কারিকুলাম অনুসারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশনা মতো পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি মেধা বিকাশমূলক অন্যান্য বিষয়ের দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের বিশ্বের সাথে তাল মিলানো যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠার জন্য সকল শিক্ষার্থীর প্রতি আহবান জানান। বিশেষ অতিথি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন এসএসসি পরীক্ষার পর সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের জন্য পৃথক এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচনের তফসিল।
নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্ভাব্য প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও সহকারী পোলিং অফিসারের তালিকা প্রস্তুত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সবকটি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণামূলক পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুর্নগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরফান আহমেদ জানান, সম্ভাব্য যারা ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন তাদের একটি তালিকা করে পাঠানোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় কাছ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সম্ভাব্যদের তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত করে শীঘ্রই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের লাগানো প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুর্নগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।