চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল, নাছির উদ্দিন, আবদুল হাকিম মোল্লা, কামরুল ইসলাম, সদর ইউসিসির চেয়ারম্যান আবু কাউছার, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। তবে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিকে আরো ভালো করতে হবে। তিনি আনন্দ মুখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করতে পারায় ও ঈদের আগে ও পরে সড়ক মহাসড়কে কোন ধরনের যানজট না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, পবিত্র রজমান মাসে শহরের যানজট নিরসনে শহরের দুটি সড়ককে ওয়ানওয়ে করার সুফল শহরবাসী পেয়েছেন। তিনি এই দুটি সড়ককে স্থায়ীভাবে ওয়ানওয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।
মোতকাদির চৌধুরী বলেন, শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক সিস্টেম আরো জোরদার করতে হবে। অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখার আহবান জানান। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করার তাগিদ দিয়ে বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা যে দলেরই হোক, যত শক্তিশালীই হোক তাদেরক গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি আর যাতে নতুন করে রিকসা ও ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান। তিনি আইন-শৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে আইনের প্রতি আরো নিষ্ঠাবান হওয়ার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
সভায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশাররফ হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির তিন মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধন হয়েছে। আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরশহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের মিলনায়তনে ‘সাহিত্য একাডেমি’র আয়োজনে এ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়।
কর্মশালা উদ্বোধন করেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি ও আবৃত্তি কর্মশালা’র সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক কবি জয়দুল হোসেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা অঞ্চল) আহসান উল্লাহ তমাল। আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘প্রমিত বাংলা শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা এখনো সাংগঠনিক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে সাংগঠনিক চর্চার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে।’
কর্মশালা উদ্বোধক কবি জয়দুল হোসেন বলেন, ‘ব্যক্তি ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা পারস্পরিক ভাব বিনিময়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শুদ্ধ উচ্চারণের চর্চা ছড়িয়ে দিতে আবৃত্তি সংগঠনগুলো যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তার পাশাপাশি এর বাইরেও নানামুখী উদ্যোগ প্রয়োজন।’
প্রশিক্ষক ও আবৃত্তিকার আহসান উল্লাহ তমাল বলেন, ‘বর্তমানে আবৃত্তির সঙ্গে অসংখ্য তরুণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটি আমাদের জন্যে খুব আশার বিষয়। কারণ সাংগঠনিকভাবে সৃজনশীলতার চর্চা মানুষের চিন্তার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং সুন্দর ও সৃজনশীল চিন্তায় সহায়ক হয়।’
এছাড়াও সাহিত্য একাডেমি পরিচালিত শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নুসরাত জাহান বুশরা এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও কর্মশালার সমন্বয়ক নূরুল আমিন, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ ভুইয়া, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সচিব সঞ্জীব ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সিলেট অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, তরী বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য সোহেল আহাদ, খালেদা মুন্নী ও রিপন দেবনাথ, আবৃত্তি শিল্পী শারমিন সুলতানা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান দখলে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় দুই কসাই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের আনন্দ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান মিয়া ও হোসেন মিয়া নামে দুই কসাইকে গ্রেপ্তার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পৌর এলাকার কাজীপাড়ার তৌহিদ মিয়া আনন্দবাজারে মাংসের ব্যবসা করতো। তার ব্যবসা খারাপ হওয়ায় গত ঈদ-উল আজহার কিছুদিন আগে তৌহিদ মিয়া শহরতলীর বিরাসার গ্রামের সুলতান মিয়ার কাছে তার আনন্দ বাজারের দোকানের দখলটি বিক্রি করে দেন।
এদিকে তৌহিদ মিয়া তার ব্যবসা খারাপ হওয়ায় বিরাসার গ্রামের হোসেন মিয়ার কাছ থেকে তিনশত টাকার অলিখিত জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে দাদনে কিছু টাকা নেয়।
তৌহিদ মিয়া দাদনের টাকা ফেরত দিতে না পারায় হোসেন মিয়া আজ শুক্রবার বেলা ১১টার সময় সুলতান মিয়ার ক্রয় করা দোকানটি দখল করতে যায়। এসময় সুলতান মিয়া বাঁধা দেয়ায় হোসেন মিয়া ও তার সহযোগীরা সুলতানকে বেধরক মারধোর করে।
খবর পেয়ে সুলতান মিয়ার স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসলে দুইপক্ষ গরু জবাইয়ের ছুরি, টাকশাল নিয়ে মুখোমুখী হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান মিয়া ও হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সুলতান মিয়ার ক্রয়কৃত দোকান হোসেন মিয়া দখল করতে গেলে সুলতান মিয়া বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান মিয়া ও হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সমন্বয়ে সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (আবেশ) এর উদ্যোগে কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানে জিপিএ ৫ সহ প্রায় ৩ শত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবেশ এর সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাগীর আহমেদ।
স্বাগত জানান সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইমাম শামীম, বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৭ ব্যাচের ছাত্র শিল্প উদ্যোক্তা খলিলুর রহমান, ৭১ ব্যাচের ছাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক, আবেশ এর উপদেষ্টা মোঃ হাবিবুর রহমান. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবদুস সাকির ছোটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শুক্রবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে পুষ্পস্তক অর্পন ও বেলা ১১টায় স্থানীয় আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তক অর্পন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা।
এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রুমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে. এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।