চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির এক নেতা নাকি বলেছেন- বাংলাদেশে নির্বাচন বা বাংলাদেশের ভাগ্য ও সমস্যা এ দেশের লোকজন মিটাতে পারবে না। দুইদল আওয়ামী লীগ-বিএনপিও মেটাতে পারবে না।
এটা মেটাতে নাকি যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যকে লাগবে।
অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে কী হবে, না হবে- সেটা বাংলাদেশের জনগণ বুঝবে এবং চাইবে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের স্বাধীনতার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলার টি আলী কলেজ মাঠে এবি ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রায় ১৮০০ কৃষককে ১৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র যে শুধু বিদেশিরাই করে তা নয়। বিদেশিরা যেন ষড়যন্ত্র করতে পারে, তার জন্য আমাদের দেশীয় কিছু সাহেব তাদের কান ভারি করছে। এরা গিয়ে বিদেশিদের বলে বাংলাদেশের মানুষ বড় কষ্টে আছে, বহু অত্যাচারে আছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কথা সঠিক, আমরাও সেটা বুঝি। আমরাও চেষ্টা করি সেটা লাঘব করার। মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। কিন্তু এটা কেন হচ্ছে? এই দাম তো পাঁচ বছর আগে বাড়েনি। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সবকিছুর ঊর্ধ্বগতি। যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব এই জায়গায় পৌঁছেছে।
এবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান ও কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বাড়িতে প্রসবকে না বলি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরে প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত ও শূন্য বাড়িতে প্রসব সেবার ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট বুধবার আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কইকা এর অর্থায়নে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এসকেএস ফাউণ্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত মমতা প্রকল্পের আয়োজনে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় প্রায় শতাধিক গর্ভবতী মা, তাদের শাশুড়ি ও স্বামীসহ স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
এতে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা যত্ন সম্পর্কে সচেতনতার উপরে আলোচনা, বিতর্ক, কুইজসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। আরও বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক প্রসেনজিৎ প্রনয় মিশ্র, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি ডাঃ শামীমা বিলকিস, এসকেএস ফাউণ্ডেশন এর উপ-পরিচলক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার, মমতা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারি শাহ মোঃ হারুন অর রশিদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেলায় ৩টি স্টল ও ১টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম এবং গর্ভবতী মা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিথিরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সাঘাটা উপজেলায় শূন্য বাড়িতে প্রসবকে নিশ্চিতকরণে মমতা প্রকল্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
আজকের এই ব্যতিক্রমধর্মী মেলাটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সাঘাটা উপজেলায় মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে চুলায় পুড়েছে ফুটপাতে বসে কাঁচামাল দোকানী জুয়েল রানার সম্বল ৬৫ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার রাতে পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে।
দোকানী জুয়েল রানার মা জরিনা খাতুন বলেন, ” সামান্য পূঁজি নিয়ে শ্রীপুর বাজারের রাস্তার পাশে বসে কাঁচামাল বিক্রি করে জুয়েল। ছেলেটার অনেক জ্বর ছিল। জ্বর নিয়েই বেচা বিক্রি শেষে রাতে বাড়িতে আসে। হাড় কাঁপানো শীতে শরীর থরথর করে কাঁপতে ছিল তাঁর। তা নিবারণ করতে রান্নার চুলোয় আগুন পোহাতে যান। এসময় তার লুঙ্গির গোছে থাকা ৫৬ হাজার ৩৫৫ টাকা চুলোয় পড়ে যায়। পরে ধোঁয়া ছাড়তে দেখে নিচে তাকিয়ে তারাহুরো করে টাকাগুলো উঠিয়ে নেয় সে। এতে সব টাকার বেশীরভাগই পুড়ে যায়।
দোকানী জুয়েল রানা বলেন,”শীতে আমার মাথা ঘুরিয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। পরে আগুন পোহাতে গিয়ে চুলায় টাকা পড়ে যায়। উঠাতে গিয়ে আমার হাতও কিছুটা পুড়ে গেছে।
শ্রীপুর সোনালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, “পুড়ে যাওয়া টাকা গুলো ব্যাংকে নিয়ে এসেছিল। আমি উনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি”।
অনলাইন ডেস্ক :
উখিয়া বালুখলী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট কাজ করছে। এছাড়া আরো একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
আজ ৫ মার্চ রবিবার বিকেলে উখিয়া বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বাজার এলাকায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। এখনও আগুনের সূত্র বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ জানান, হঠাৎ করে তার শিবিরে আগুন জ্বলে উঠে। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে আমার লোকজনকে সড়িয়ে নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।
ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. সাইফুল জানান, তাদের ক্যাম্পের একটি ঘরে প্রথম আগুনের ঘটনা ঘটে। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে আগুনের তীব্রতা অনেক।
ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করি। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার ঘর পুড়ে যায়। একই বছরের ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালে আগুন লাগে। এতে কেউ হতাহত না হলেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের ১৬টি কেবিন পুড়ে যায়। এরপর একই বছরের ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামে একটি শরণার্থী শিবিরে এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যাওয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষের ঘর।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না।
আজ ৫ মে রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’ এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সকল এসআরও ও অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইন ভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে, যাতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার যাত্রী যাতয়াত করছে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য মেট্রোরেল একটা নিরাপদ যান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেট্রোরেল চালু হবার পরে ঢাকার যানজট অনেকাংশে কমে গেছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর যানজট সহনশীল করার জন্য আমরা ঢাকা মাস ট্রানজিট তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে ৬টা রুটে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হচ্ছে, একটা তো হয়েই গেছে। ইতোমধ্যে আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সার্ভে করছি। আমি থাকতে থাকতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আমি মেট্রোরেল করে দিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ, যাতে দেশের মানুষ দ্রুততম সময় যানজট মুক্ত হয়ে চলাচল করতে পারে।
আজ ২৯ জুন শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলে মন্তব্য করেছেন। আমি মোটেই তা মনে করি না। বাজেট শতভাগ কখনো পূরণ হয় না। তারপরও সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে। সেই লক্ষ্যে আমরা যেতে পেরেছি। কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট! আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই না সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কি? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
তিনি বলেন, এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের আছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের কিন্ত নিজেদের ঘোষণাপত্র আছে, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন সময়েও আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিক-নির্দেশনা সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থ-বছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ। বাজেটের উপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখে বাজেটের উপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাজেট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যে যাই করুক সকলকেই আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাসী বলেছেন, কেউ বলেছে ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতা বললেন- এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কমাতে হবে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমাতে হবে ইত্যাদি। এবং এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে কিনা। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো আমরা চলতে চাই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন হাত পাতার জায়গায় নেই। আমরা ঋণ নেই, ঋণ শোধ করি। এরশাদ সাহেবের সময় রংপুরে মঙ্গা লেগেই থাকতো। এখন মঙ্গা নেই। আজকের সাফল্যে কৃতজ্ঞতা দেশের জনগণের প্রতি। তারা বার বার আমাদের সমর্থন দিয়েছে। তাই আমরা কাজ করতে পেরেছি। কোভিড অতিমারীর সময় অনেক উন্নত দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ধণাত্মক। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অজনকারী দেশগুলোর তালিকায় সামনের সারিতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করি এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করি। যারা পরিবর্তনগুলো দেখেন না, তাদের বলবো গ্রামে যান। গ্রামের মানুষের যে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, সেটা গেলেই দেখবেন। এরশাদ সাহেবের উত্তরবঙ্গে যে মঙ্গা নেই, সেটাও দেখবেন। কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন এলকায় দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকতো। সেখানে ছুটে গেছি, মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। গ্রামের পর গ্রামে গিয়েছি, মানুষের শরীরে মাংস ছিল না চামড়া আর হাড় ছাড়া। এখন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের চলার পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। বার বার বাধা এসেছে। দেশের ভেতর থেকে যেমন বাধা এসেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েও চলতে হয়েছে। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন- নানা বাধা এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লাগলে সব কিছুর দাম বেড়ে গেল। ওই অবস্থার মধ্যেও বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়েছে। কোভিডের সময় উন্নত দেশ বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেয়নি। আমরা দিয়েছি। বিনা পয়সায় টেস্ট করেছি।