চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনার তীরবর্তী গ্রাম চরলাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা পুলিশ নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যৌথ আয়োজনে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলোতে অপরাধ দমনে এক মতবিনিময় সভা গত ১ মে বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ, নবীনগর (প.) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলি আজ্জম নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার। আরো উপস্থিত ছিলেন মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওসার, বিট অফিসার এস আই মো. মহিউদ্দিন, ওয়ার্ড মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত মতবিনিময় সভায় অপরাধীকে সীমান্তবর্তী এলাকার আত্মীয়-স্বজন হলেও আশ্রয় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় এবং অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর নিকট অনুরোধ করা হয়। যদি পুলিশ ও জনগণ সম্মিলিত ভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করে তাহলে অবশ্যই অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে বলে মতবিনিময় সবাই মত প্রকাশ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিপুণ বাসা তৈরিতে দক্ষ কারিগর বাবুই পাখি ও এর বাসা এখন আর আগের মত চোখে পড়ে না। পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজার, নতুন বনায়নে বাসযোগ্য পরিবেশ ও খাদ্যের অভাব, নির্বিচারে তালগাছ কর্তন, অসাধু শিকারীর ফাঁদসহ বহুবিধ কারণে কালের আবর্তে প্রকৃতির স্থপতি, বয়ন শিল্পী এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি বাবুই পাখি ও এর দৃষ্টিনন্দন বাসা ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক ভাবে বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। নিরীহ, শান্ত প্রকৃতির এই বাবুই পাখি উচু এবং নিরিবিলি পরিবেশে বাসা তৈরি করে। এরা গ্রাম-গঞ্জের তাল, সুপারি, নারিকেল, খেজুর গাছে বাসা তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এ সব গাছের সংকটে মাঝে মাঝে হিজল গাছেও বাসা বাধতে দেখা যায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে বড় বড় গাছ নিধন ও পাখি শিকারের কারণে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি। উঁচু তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে বাসা বাঁধলেও এ সব গাছ বিলুপ্ত হওয়ায় বাবুই পাখিও হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতি থেকে। এই পাখি বাসা তৈরির কাজে ব্যবহার করে খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কঁচি পাতা, ঝাউ ও কাঁশবনের লতা। চমৎকার আকৃতির এই বাসা বিশেষ করে তাল গাছের ডালে এমন ভাবে সাটানো থাকে যাতে কোনো ঝড়-তুফানে সহসাই ছিড়ে না পড়ে। এদের বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগায় এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করে। ঠোট দিয়ে বাবুই পাখি আন্তর ছড়ায়। পেট দিয়ে ঘঁষে তা আবার মসৃণ করে। বাসা বানাতে শুরুতই দুটি নিম্নমুখী গর্ত করে থাকে। পরে তা একদিকে বন্ধ করে ডিম পাড়ার জায়গা করে। অন্যদিকে লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করে। ব্যালেন্স করার জন্য বাসার ভিতরে কাদার প্রলেপ দেয়। আধুনিক যুগে যা বড়ই যুক্তি সংগত। বাসার ভিতরে ঠিক মাঝখানে একটি আড়া তৈরি করে বাবুই পাখি। কি অপূর্ব বিজ্ঞান সম্মত চেতোনাবোধ। ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।
বাবুই ডিমে তা দেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। কৃষকের ধান ঘরে ওঠার মৌসুম হল বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। বাবুই পাখির বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই না, মানুষকে আত্মনির্ভশীল হতে উৎসাহ দেয়। কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি অলেক মিয়া বলেন- “গত কয়েক বছর ধরে তাদের গ্রামের কয়েকটি তালগাছে বাবুই পাখিন বাসা দেখছেন। পাখি ও পাখির বাসা দেখতে এবং কিচির মিচির শব্দ শুনতে খুবই ভাল লাগে। গৃহিনী আসমা বেগম বলেন- তাদের বাড়ির সামনের তাল গাছে বাবুই পাখি বাসা বানিয়েছে। সাংস্কৃতিককর্মী মাহমুদ জানান- দিন দিন তাল গাছ নিধনের ফলে বাবুই পাখি আজ বিলুপ্তির পথে। তাই বড় বড় তাল গাছ রক্ষা ও নতুন করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পাখি সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি। সুর সম্রাট আলাউদ্দীন খাঁ ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সারাবিশ্বে বাবুই পাখির প্রজাতির সংখ্যা ১১৭টি। তবে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাস।
তিনি আরও বলেন- বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। ধান, চাল, গম ও পোকা-মাকড় প্রভৃতি তাদের প্রধান খাবার। বাবুই পাখির জন্মগত ভাবেই শৈল্পিক দক্ষতা থাকে। কি ভাবে বাসা বাঁধবে এটা তারা তাদের মায়ের কাছ থেকেই শিখে নেয়। এই গুণ অন্য পাখির মধ্যে নেই। এরা সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে বলে তাদের সামাজিক পাখিও বলা হয়। এরা শস্য দানা, ধান, গম ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে। তিনি বলেন, এ পাখির মধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক গুণও আছে। পুরুষ পাখিরা বিশ্রামের জন্য বাসা বাঁধে আর নারী পাখিরা বাসা বাঁধে ডিম ফুটানো ও বাচ্চা সংরক্ষণের জন্য। যখন বাচ্চা ফোটার সময় হয় তখন মা পাখিরা এক টুকরা গোবর নিয়ে বাসায় রাখে। যাতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে বাচ্চাদের ক্ষতি করতে না পারে”।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ এর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ ২ জুন রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের রনাইয়া পাড়ায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ সাইফ (২০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে আহমদপুর গ্রামের সালাউদ্দিন এর ছেলে।
জানা যায়, আগামী পাঁচ জুন নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ তার কর্মীসমর্থকদের সাথে নিয়ে আহাম্মদপুর রনাইয়া পাড়ার মসজিদ সংলগ্ন একটি দোকানে গণসংযোগ করছিলেন।
এমন সময় ওই গ্রামের আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন ঐ দোকানের একটি টেবিলে বসা থাকা অবস্থায় ফারুক আহামেদ এর এক সমর্থককে টেবিলে বসা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ের হাতাহাতির হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আহামেদ এর গায়ে হাত তুলাসহ তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ব্যাপারে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তবে শুনেছি প্রার্থী ফারুক ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও নেক্কারজনক।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ বলেন, বাদল ভাইয়ের চাচাতো ভাই আজাদ ভাইকে বসার ব্যবস্থা করতে গিয়েই ঘটনাটা ঘটেছে। এরপর বিস্তারিত পরে কল দিয়ে বলবেন বলে তিনি কলটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ওসি মাহাবুব আলমের সরকারি নাম্বারে একাধীকবার কল দিলেও তিনি রিসিপ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সৌদি আরব প্রবাসী মো. কামরুল সরকার। ৩ মার্চ শুক্রবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বি-চাপিতলা গ্রামের মো. মনির হোসেনের মেয়ে কাকুলী আক্তারকে তিনি বিয়ে করেন। কামরুল উপজেলার ভিটিবিষাড়া গ্রামের মো. মুর্শিদ মেম্বারের ছোট ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকাল ৩টার দিকে বি-চাপিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হেলিকপ্টার চড়ে আসেন বর। হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বরকে এক নজর দেখতে চারপাশে ততক্ষণে উৎসুক জনতার বেশ ভিড় জমে উঠে। কিছুক্ষণ পরই বর কামরুল হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসেন।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, কামরুল সৌদি আরব প্রবাসী। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার। তাই নিজের স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করে বিয়ে করেন তিনি।
কামরুল সরকার জানান, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার। আমার সে ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এ জন্য আল্লাহর কাছে তিনি শুকরিয়া আদায় করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই বৃদ্ধার নাম শাহেরা খাতুন। তিনি উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার স্ত্রী।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুড়িঘর বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহেরা খাতুন কুড়িঘর বাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তা পার হওয়ার সময় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ধাক্কায় আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, সিএনজির ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে পুলিশের পৃথক অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন ও সাজাপ্রাপ্ত দুইজনসহ ওয়ারেন্টভুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরের দিকে নবীনগর থানা থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানানো হয়।
এর আগে সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীমারমপুর খেয়াঘাট থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি শহিদ মিয়া ও কনিকাড়া রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছয় কেজি গাঁজাসহ আরেক মাদক কারবারি মানিক হোসেনকে (২৪) আটক করা হয়। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত দুইজন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।