চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি বিশিস্ট আইনজীবী সংগঠক আলহাজ্ব এড. মাহবুবুল আলম খোকন আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মনোনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এক সভা আজ ৩ মে বুধবার সন্ধ্যায় ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে এবং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল বাছেদ এর পরিচালনায় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. শফিউল আলম লিটন, ৬ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আবদুল মালেক চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল সহ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতভাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা নিয়ে শহরে র্যালি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধারা
সকাল ১০টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বাঙ্গালী বীরের জাতি এর প্রমান করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। সীমান্তবর্তী অনেক জেলা মুক্ত হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত হয়। ওইদিন শহরের পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিন পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশে এখন নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে আসবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি ধ্বংসাত্মক ও নাশকতা করছে। তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে সরকারের কিছুই হবেনা, বিএনপি নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের আয়োজনে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা।
এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রæমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান বলেছেন, সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। সময় কিন্তু আমাদের জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। সময়কে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বেশি বেশি পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আয়োজিত দিনব্যাপী সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মরত সহায়ক কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পেশাগত বা ব্যক্তিগত জীবনে একটি লক্ষ্যে থাকতে হবে। আমরা এ লক্ষ্যেকে ভয় না করে জয় করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজকে যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তারা প্রশিক্ষণের জ্ঞানকে ব্যবহার করে বিচার প্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের একটাই উদ্দেশ্যে। আমরা চাই বিচার প্রার্থী কোন ব্যক্তি আমাদের মাধ্যমে যেন অবহেলিত না হয়। আমরা অফিসের শৃংখলাকে বজায় রেখে কাজ করে যাবো।
এসময় সরকারি চাকুরী আইন, সরকারি কর্মচারী শৃংখলা ও আপিল বিধিমালা এবং সরকারি কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিতি নিয়ে সকল প্রশিক্ষণার্থী উদ্দেশ্যে বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল আলম, ফৌজদারি মামলার বিধিমালা নিয়ে বক্তব্যে রাখেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এবং মাদক সেবনে বিভিন্ন রোগব্যাধি নিয়ে বক্তব্য রাখা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী ও রোকেয়া আক্তার। এ সময় কর্মরত সহায়ক কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করেন। পরীক্ষায় বেঞ্চ সহকারী আলমগীর চৌধুরী ১ম স্থান, তুলনা সহকারী কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া ২য় স্থান, প্রধান তুলনা সহকারী রায়হানা খানম ৩য় স্থান, মোঃ শহীদুর রহমান ৪র্থ স্থান এবং ডেসপাস সহকারী মোঃ মহিবুর রহমান ৫ম স্থান অর্জন করেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিন কে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। আলোচক থাকবেন কবি ও সাহিত্যিক কবি জয়দুল হোসেন ও আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলীফা কাজল, উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা এবং জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। “করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ১ মার্চ শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বীমা ফোরামের যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
এ উপলক্ষে আলোচনা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ জামসেদুল আলম, জেলা বীমা ফোরামের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ভিপি মফিজুল ইসলাম, ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর জে এ ভিপি শাহ মোঃ সেলিম, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কামরুজ্জামান ভূইয়া, চার্টাড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর তোরকান শাহ প্রমুখ। বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বীমা শিল্পকে স্মার্ট শিল্প হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, অদ্বৈতের তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাস এখনও একক এবং তুলনাহীন।’ ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম মূলত জেলে জীবনের পাঁচালি। জেলে জীবনভিত্তিক যে যে উপন্যাস রচিত হয়েছে, এদের কোনোটিই তিতাসের সমতুল্য নয়। নদীপাড়ের কৈবর্তজীবনের অনুপুঙ্খ দলিল বলা যেতে পারে তিতাসকে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ছিলেন অকৃতদার। স্বল্প আয়ের অদ্বৈত মল্লবর্মণ নিজের সাহিত্য আর জীবন দিয়ে তুলে এনেছিলেন নিম্নবর্গের মানুষদের আত্মকথা। ক্ষুদ্র জীবনে তিনি হয়ে উঠেছেন সাহিত্যে নিম্নবর্গের মানুষদের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি।
তিনি আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে কালজয়ী ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর জন্মভিটায় অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে তিনব্যাপী “অদ্বৈত গ্রন্থমেলা ২০২৩” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন, ভারতের ত্রিপুরার কবি বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস।
এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশনা করেন তিতাস সাহিত্য- সংস্কৃতি পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সঙ্গীত পরিবেশন করবেন আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।